ঢাকা : কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ১৪ দিন পর দেশে চালু হলো ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুর ২টার পর থেকে বাংলাদেশ থেকেও স্বাভাবিক নিয়মে ব্যবহার করা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো।
গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বুধবার সকালে মেটার (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম) সিঙ্গাপুরের এশিয়া সদর দপ্তরের সঙ্গে (অনলাইন প্লাটফর্মে) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে অফিস স্থাপন, মিস-ইনফরমেশন, ডিস-ইনফরমেশনজনিত যেকোনো অস্থিরতা নিরসনে ফ্যাক্ট চেকিং জোরদারের উদ্যোগ গ্রহণসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের কিছু ভিডিও কন্টেন্টের ব্যাপারে গত ২৮ জুলাই ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে চিঠি দিয়ে তলব করে সরকার। চিঠিতে তাদের কাছে যৌক্তিক ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আজ সশরীরে বিটিআরসিতে প্রতিনিধিদের হাজির হতেও বলা হয়েছে।
তবে সরকারের দেওয়া চিঠির কোনো জবাব দেয়নি ফেসবুক ও ইউটিউব। কিন্তু চিঠির জবাবে মেইলে রিপ্লাই দিয়েছে আরেকটি প্ল্যাটফর্ম টিকটক।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) এসব তথ্য জানিয়েছেন জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, আমরা আগামীকাল (বুধবার) পর্যন্ত ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটককে একটা টাইম (সময়) দিয়েছিলাম। আমরা আশা করেছিলাম যে তারা লিখিত ব্যাখ্যাটা দেবে। কিন্তু আমরা এখনো তাদের লিখিত বা মৌখিক ব্যাখ্যা পাইনি।
টিকটক রিপ্লাই দিয়েছে জানিয়ে পলক বলেন, টিকটক ই-মেইলে একটা রিপ্লাই (প্রতিউত্তর) দিয়েছে যে তারা এ নিয়ে খুব আন্তরিক। সরকারকে সহযোগিতা করতে চান। তারা ব্যাখ্যাগুলোও দিতে চান। বাকি দুটি অর্থাৎ মেটা ও ইউটিউবের সাড়া পাইনি।
আইএ