• ঢাকা
  • শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১

ইসরায়েলের নতুন কৌশল পেজার বিস্ফোরণ, এই ডিভাইসটি কী কাজে লাগে?


বিজ্ঞান- প্রযুক্তি ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম
ইসরায়েলের নতুন কৌশল পেজার বিস্ফোরণ, এই ডিভাইসটি কী কাজে লাগে?

ঢাকা: গত কয়েকদিনে লেবানন ও সিরিয়ায় একের পর এক পেজার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দেশ দুইটিতে প্রায় তিন হাজারের মত মানুষ হতাহত হয়েছে। 

এখনও পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। যোগাযোগের এই যন্ত্রটি বিস্ফোরণের পর এটিকে নিয়ে গোটা দুনিয়াতে হৈচৈ পড়ে গেছে। পুরানো এই ডিভাইসটি সম্পর্কে জানতে মানুষের এখন কৌতূহলের শেষ নেই।

কেননা, পেজার এই প্রজন্মের কাছে নতুন শব্দ। তবে স্মার্টফোন আসার আগে এটি বেশ জনপ্রিয় ছোট্ট ডিভাইস ছিল। যা বার্তা আদান-প্রদানের জন্য ব্যবহার করা হতো। পেজার বা বিপার হলো পোর্টেবল কমিউনিকেশ ডিভাইস।

এই ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে ছোট বার্তা আদান-প্রদান করা যায়। সেই বার্তা মূলত নিউমেরিক বা আলফানিউমেরিক হতে পারে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিগন্যালের মাধ্যমে পেজারে বার্তা পাঠানো হয়। মেসেজ এলে পেজার সাউন্ড অ্যালার্ট দেয়। পেজারের স্ক্রিনেই সেই বার্তা ফুটে ওঠে।

যখন বাজারে মোবাইল ফোন আসেনি, তখন পেজারের গুরুত্ব ছিল অনেক বেশি। নব্বই দশকের আগেও হাসপাতালে চিকিৎসক, সাংবাদিক, টেকনিশিয়ানদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় ছিল এই ডিভাইস। মোবাইল এসে পেজারের গুরুত্ব অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর ব্যবহারও অনেক সীমিত হয়েছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ডেট্রয়েট পুলিশ ডিপার্টমেন্ট প্রথমবার পেজারের মতো ডিভাইস ব্যবহার করে। যদিও পেজারের পেটেন্ট পেয়েছিলেন আমেরিকার আলফ্রেড গ্রসের কাছে ১৯৪৯ সালে। ‘পেজার’ নামটি ১৯৫৯ সালে দেয় মোটোরোলা। মোটোরোলা প্রথম নিজস্ব পেজার তৈরি করে ১৯৬৪ সালে। তার নাম দেওয়া হল পেজবয় ১।

তখনতার পেজার এখনকার মতো এত উন্নত ছিল না। প্রযুক্তির উদ্ভাবনীর সঙ্গে পেজার আরও উন্নত হয়েছে। ১৯৮০ সালের পর পেজার আরও উন্নত হয়। তার রেঞ্জ আরও বিস্তৃত হয়। তবে মোবাইল ফোন এলেও এখনো বেশ কয়েকটি সেক্টরে পেজার ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

বিশেষ করে যারা গোপন কোড বা সাংকেতিক ভাষায় নিজেদের বার্তা আদান প্রদান করতে চান। বিভিন্ন গোষ্ঠী এখনো এই পিজার ব্যবহার করেন। দলের কথা, বার্তা, পরিকল্পনা গোপনে আদান-প্রদান করার জন্য।

এআর

Wordbridge School
Link copied!