ঢাকা : করোনা সংকট মোকাবিলায় সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও জনসচেতনতার অভাবে বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় ধরন) বিস্তার ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে আর ২৪ মে থেকে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলায় চলছে লকডাউন। এরই মধ্যে কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে দালালের মাধ্যমে চোরাইপথে ভারত থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অভিযোগ রয়েছে।
এদের অনেকেই নানা পন্থায় রাতের আঁধারে সীমান্ত এলাকা থেকে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়াণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছে। এভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় শঙ্কিত প্রশাসন।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)-এর ভ্রমণ সতর্কতায় সর্বোচ্চ ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। সিডিসির সুপারিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি, তাতে পূর্ণ ডোজ টিকা গ্রহণকারী ভ্রমণকারীরও ঝুঁকি আছে।
সিডিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে মার্কিন নাগরিকদের জন্য করোনা পরিস্থিতিতে ভ্রমণ সুপারিশ হালনাগাদ করা হয়েছে। সিডিসির ভ্রমণ সুপারিশে ঝুঁকির মোট পাঁচটি পর্যায় রয়েছে, যথা অজ্ঞাত পর্যায়, পর্যায়-১, পর্যায়-২, পর্যায়-৩ ও পর্যায়-৪।
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া ভ্রমণ সুপারিশে অজ্ঞাত পর্যায়ে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। তবে যদি এই দেশগুলোতে ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
পর্যায় ১-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা কম। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। পর্যায়-২-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা মাঝারি। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।
যারা টিকা নেয়নি, পাশাপাশি করোনায় সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
পর্যায়ে-৩-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা উচ্চ। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। যারা টিকা নেয়নি, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আর পর্যায়-৪-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা খুবই উচ্চ। এই পর্যায়টি মার্কিন নাগরিকদের কোনো দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে। পর্যায়-৪-এ ৬১টি দেশ রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও এই পর্যায়ে রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনাসহ বিভিন্ন দেশ।
সিডিসির করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া ভ্রমণ সুপারিশে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ভ্রমণ পরিহার করুন। তারপরও বাংলাদেশে যদি ভ্রমণ করতেই হয়, তাহলে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।’
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার (৯ জুন) সকাল ৮টা পর্যন্ত) নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৫৩৭ জন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
দেশে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভেরিয়েন্ট বিস্তারের মূল ক্ষেত্র এখন সীমান্তবর্তী জেলাগুলো, যেখান থেকে এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। সেদিকে নজর রেখেই সরকারের পক্ষ থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় স্থানীয়ভাবে লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধের ব্যবস্থা জারি করা হয়েছে।
কিন্তু সীমান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকেই শুরু থেকেই ঢিলেঢালা লকডাউনের চিত্র পাওয়া গেছে। এক শ্রেণির অসচেতন মানুষ বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই চলাফেরা করছে। সাধারণ মানুষও বিধিনিষেধের কড়াকড়ি মানছে না।
অন্যদিকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে বা মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেই ভারত-বাংলাদেশের দালাল মাধ্যমে প্রতিদিন অস্যংখ্য মানুষ অনুপ্রবেশ করছে। এর ফলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে অন্য জেলাগুলোর জন্যও।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিভিন্ন সময় ভারতে থাকা বাংলাদেশিদের সঙ্গে ওপারের দালালরা যোগাযোগ রাখে। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে রাতের আঁধারে এপারের দালালদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। সীমান্তে প্রবেশের সময় কিছু মানুষ আটক হলেও বেশিরভাগ অধরা থেকে যায়।
অন্যদিকে আটকের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ছাড়াতে আদালতপাড়ায় ভিড় করেন দালাল চক্রের সদস্যরা।
এমন দালালচক্রের এক সদস্য জানান, ভারতে অপু ভাই নামে একজন দালাল আছেন, তিনি নৌকা চালান। তার সঙ্গে কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। ওপারে তার একটি গোডাউন রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের এনে রাখা হয়। বর্ডারে তার লোক আছে। রাতে সুযোগ বুঝে গ্রুপ করে তাদের কাছে এসব মানুষকে ছেড়ে দেন। এপারে (বাংলাদেশ) সাইফুল নামে একজন তাদের বুঝে নেন।
দালালচক্রের এ সদস্য আরো বলেন, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় যারা বিজিবির হাতে আটক হয়, তাদের নাম-ঠিকানা ও আইডিকার্ড দালাল অপু ভারত থেকে আমাদের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়ে দেন। আমাদের টাকা পাঠান বিকাশে। এরপর আমরা তাদের ছাড়ানোর ব্যবস্থা করি। বাংলাদেশ থেকে দালাল সাইফুল যাদের পাঠায় ভারতে অপু তাদের বুঝে নেন। এ কাজে একাধিক চক্র আছে।
গত ২৬ এপ্রিল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে যারা অবৈধ ভাবে অনুপ্রবেশ করছে তাদের মধ্যে অনেকে ধরাও পরেছেন। ১০ মে থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে ভারত থেকে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ৬৫ জন।
সূত্র জানায়, ঝিনাইদহে ভারতীয় সীমান্ত এলাকা রয়েছে ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে কাঁটাতারবিহীন এলাকা প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার। এসব এলাকা দিয়ে প্রায়ই অবৈধভাবে মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে রাতের আঁধারে বেশি যাতায়াত হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দা, বিজিবি ও পুলিশ জানিয়েছে।
এসব এলাকায় ৫৮-বিজিবির ১০টি বিওপি ক্যাম্প রয়েছে। এগুলো হলো-যাদবপুর, মাটিলা, সামান্তা, পলিয়ানপুর, বাঘাডাঙ্গা, খোসালপুর, লড়াইঘাট, বেনিপুর, কুসুমপুর ও শ্রীনাথপুর।
৫৮-বিজিবির আওতাধীন আরও নয়টি বিওপি ক্যাম্প রয়েছে, যা পার্শ্ববর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গার মধ্যে পড়েছে। সীমান্তের এসব এলাকার চোরইপথ দিয়ে ভারত থেকে লোক আসে। তারা সীমানা অতিক্রম করে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নেন।
একইভাবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান, আবার ভারত থেকে বাংলাদেশে আসেন। এরা মূলত এক শ্রেণির দালালের মাধ্যমে এপার ওপার গিয়ে যান। যাদের কাছে কোনো দেশেরই বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা নেই।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, বিধিনিষেধ কার্যকর করার পাশাপাশি সীমান্তে নজরদারির দরকার। এ ক্ষেত্রে যারা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে আসছে তাদেরও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নেওয়া দরকার। নয়তো তারা পালিয়ে বেড়ালে তাদের মাধ্যমে সংক্রমণ আরো ছড়ানোর সুযোগ থাকবে।
তাছাড়া সীমান্ত এলাকার থেকে কোনোভাবে যেন কেউ অন্য এলাকাতে যাতায়াত করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সীমান্তবর্তী কিছু জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরামর্শে স্থানীয় প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করছে। এটা সবার মঙ্গলের জন্য করা হচ্ছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ আরোপের যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে শিথিলতার পরিচয় দিলে পরিস্থিতি খারাপ হতে হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো জায়গায় শিথিলতার পরিচয় দিলে সেটি আমাদের জন্য ভালো ফলাফল বয়ে আনবে না।
তিনি বলেন, জয়পুরহাটে শতকরা হিসেবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশের বেশি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৯ শতাংশের বেশি, রাজশাহীতে ২৩ শতাংশের বেশি। এই জায়গাগুলোতে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এসব জায়গায় লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরোপ করায় স্থিতি অবস্থা আছে। এটি যদি অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে ঊর্ধ্বগতি থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি।
চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩৭ জন করোনায় আক্রান্ত : চুয়াডাঙ্গায় আরও ৩৭জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গতকাল বুধবার (৯ জুন) ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এ সংখ্যক সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৪৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। যা আশঙ্কাজনক।
নতুন আক্রান্ত ৩৭ জনের মধ্যে সদর উপজেলার ১৭ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৩ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জন ও জীবননগর উপজেলার ৩ জন।
বুধবার (৯ জুন) আরও ৮১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরদিকে রেজিস্ট্রি অফিসসহ বেশ কিছু স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৭ জনের মধ্যে রেলপাড়ার ৪জন, দৌলাতদিয়াড়ের ৫জন, সিঅ্যান্ডবিপাড়ার ৩জন, পলাশপাড়া, কোর্টপাড়া, সাতগাড়ি, দশমাইল ও শঙ্করচন্দ্রের একজন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩জনের মধ্যে নতুন বাস্তপুরের ১জন, চিৎলার ১জন, ধান্যঘরার ২জন, বিষ্ণপুরের ১জন, সুলতানপুরের একজন, মুক্তারপুরের ১জন, হাতিভাঙ্গার ১ জন, কুতুবপুরের ২ জন, দর্শনার একজন ও দলকা লক্ষ্মীপুরের ১জন।
জীবননগর উপজেলার ৩ জনের মধ্যে একজনের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের এবং অপর দুজনের মধ্যে একজনের বাড়ি খয়েরহুদায় ও অপরজনের বাড়ি নিশ্চিন্তপুরে। আলমডাঙ্গা উপজেলার ৪ জনের মধ্যে কয়রাডাঙ্গার ২ জন, পুলতাডাঙ্গার ১ জনও খুদিয়াখালীর ১ জন।
বুধবার (০৯ জুন) শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় সক্রিয় রোগী ছিলেন ২৪১ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলার ৫৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৮ জন, দামুড়হুদা উপজেলার ১৩২জন, জীবননগর উপজেলার ৩২ জন।
সদর উপজেলার ৫৯ জনের মধ্যে ৪৮ জন বাড়িতে, ১০ জন হাসপাতালে একজন রেফার্ড, আলমডাঙ্গা উপজেলার ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জন বাড়িতে, ১জন হাসপাতালে একজন রেফার্ড। দামুড়হুদা উপজেলার ১৩২ জনের মধ্যে ১২০ জন বাড়িতে, ১১ জন হাসপাতালে ১ জন রেফার্ড, জীবননগর উপজেলার ৩২ জনের মধ্যে ৩১ জন বাড়িতে একজন হাসপাতালে রয়েছেন।
দামুড়হুদা উপজেলার ১৮টি গ্রাম লকডাউন করে প্রশাসনের তরফে নানামুখি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সংক্রমণ রোধে প্রচার প্রচারনার পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার পশুহাট বন্ধেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পুনঃপুন অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। অনেকে অর্থদন্ডাদেশও দেয়া হচ্ছে।
এর মধ্যে মঙ্গলবার ও বুধবার দামুড়হুদা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়নি। ঠাসাঠসি ভিড়ের মধ্যেই ক্রেতা বিক্রেতাদের ঘুরতে দেখা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর সহ জেলার সব উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের চিত্র অভিন্ন। এদিকে যেসব বাড়িতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, ওসব বাড়িতে লাল পতাকা লাগিয়ে সতর্ক করার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও সর্বক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সেনেটারি ইন্সপেক্টর বলেছেন, অনেকের বাড়িতে লাল পতাকা লাগাতে গেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বুধবার সাতগাড়ির একটি বাড়িতে লাল পতাকা লাগাতে গেলে এলাকার কাউন্সিলরকেও হুমকি ধামকির মধ্যে পড়তে হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :