ঢাকা : করোনায় দৈনিক সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্তে বর্তমানে বিশ্বে ৮টি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। এই জরিপ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
আর সপ্তাহ দুয়েক আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন, জুলাই মাস হবে ভয়াবহ। কিন্তু সব সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ঈদের আগে ৮দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। যার ভয়াবহতা শুরু হয়েছে। কারণ গত দেড় বছরে করোনা সংক্রমণে যত মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন তারমধ্যে ২৫ শতাংশেরও বেশি মারা গেছেন চলতি জুলাই মাসে।
বর্তমানে দেশের অধিকাংশ হাসপাতালে খালি নেই কোনো শয্যা। আইসিইউ যেন সোনার হরিণ। নিজের শরীরের সাথে স্ত্রীকে বেঁধে মোটরসাইকলে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ছুটছেন স্বামী। মৃত্যুশয্যায় থাকা মা-ছেলের জন্য আইসিইউ ছেড়ে দিয়ে ঢলে পড়ছেন মৃত্যুর কোলে। ভর্তি হতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় হাসপাতাল এলাকায় মৃত্যু হচ্ছে মুমূর্ষু রোগীর। এরকম করুণ চিত্র এখন প্রতিদিনই দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। অসহায় চিকিৎসকরা রোগীদের করুণ পরিণতি দেখে নীরবে অশ্রু ফেলছেন।
অথচ দুই সপ্তাহ আগেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জুলাই মাসকে কঠিন বলে হুঁশিয়ারি করেছিল।
তারা শঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছিল, দেশে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। তাদের সেই আশঙ্কার চেয়েও করোনা এখন মহামারিকালের সবচেয়ে উদ্বেগজনক ও ভয়ানক পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে।
কারণ, বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ সৃষ্টিকারী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপটে বাংলাদেশেও দৈনিক রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়ছে কয়েকগুণ।
করোনার ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে আবারো চলতি মাসের ২৩ তারিখ থেকে দুই সপ্তাহ দেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কিছুটা শিথিল করা হয়েছিল।
এই সুযোগে বাস, লঞ্চ, ফেরিতে গাদাগাদি করে ঢাকা ছেড়ে গ্রামমুখী হয় লাখো মানুষ। আবার শিথিল লকডাউন শেষে কঠোর লকডাউনের আগে যেভাবে ঢাকা ছেড়েছিল, ঠিক সেভাবেই ফিরেছে তারা।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যরা সে সময়ে বলছিলেন, শিথিলতার এ নির্দেশনায় তাদের ‘সায়’ নেই। আর সরকারের শিথিল বিধিনিষেধের এ ঘোষণা তাদের পরামর্শের উল্টো চিত্র।
এছাড়া জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেখানে বার বার ভিড় এড়িয়ে চলার কথা বলছে; সেখানে সংক্রমণের ‘পিক টাইমে’ এ ধরনের ঘোষণা আমাদের আরো খারাপ অবস্থায় নিয়ে যাবে।
সে আশঙ্কাকে সত্যি করে দেশে ঈদের পর থেকে দৈনিক রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর একের পর এক রেকর্ড দেখতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আর এতে করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করা তালিকায় বিশ্বে এখন দিনে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হচ্ছে যেসব দেশে, সেই তালিকায় অষ্টম অবস্থানে বাংলাদেশ।
গত ১৪ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেছিলেন, জুনে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল, আর জুলাইয়ের ১৪ দিনেই আমরা এই সংখ্যার রোগী পেয়ে গেছি। এই মাসের আরো ১৬ দিন বাকি।
যেহেতু সংক্রমণের মাত্রা এখন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা যদি না নেওয়া হয়, দুই সপ্তাহ পর্যন্ত টানা এভাবে চলতে পারে। আর মৃত্যু তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এভাবে চলতে পারে।
অধ্যাপক রোবেদ আমিনের সে আশঙ্কাকে সত্যি প্রমাণ করে দেশে দৈনিক শনাক্তে রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত ও মৃত্যু হচ্ছে বাংলাদেশে। কেবলমাত্র জুলাই মাসে রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৯৭ হাজার ৭২৪ জন আর মোট মৃত্যু এক চতুর্থাংশ হয়েছে এই মাসে। জুলাইতে মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৫১৩ জন।
গত বছর থেকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট ও ভ্যারিয়েন্ট অব কনসার্ন নিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রাম করে যাচ্ছে জানিয়ে অধ্যাপক রোবেদ আমিন সেই সময় আরো বলেছিলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, বর্তমান সময়ের করুণতম পরিস্থিতির উপক্রমে আমরা চলে এসেছি। যেখানে সংক্রমণের মাত্রা ও মৃত্যু ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশে শনাক্ত হওয়া মোট ১২ লাখ ১০ হাজার ৯৮২ জনের মধ্যে সর্বশেষ ১০ দিনে এক লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এর মধ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় গত একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরো ২৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ২৫৫ জনে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ সময়ে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ১৫ হাজার ২৭১ জন। এর ফলে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১২ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ জনে। এছাড়া গত ২৮ জুলাই শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৩০ জন, ২৭ জুলাই ১৪ হাজার ৯২৫ জন, ২৬ জুলাই ১৫ হাজার ১৯২ জন, ২৫ জুলাই ১১ হাজার ২৯১ জন, ২৪ জুলাই ছয় হাজার ৭৮০ জন, ২৩ জুলাই ছয় হাজার ৩৬৪ জন, ২২ জুলাই তিন হাজার ৬৯৭ জন, ২১ জুলাই সাত হাজার ৬১৪ জন, ২০ জুলাই ১১ হাজার ৫৭৯ জন, ১৯ জুলাই ১৩ হাজার ৩২১ জন আর ১৮ জুলাই শনাক্ত হন ১১ হাজার ৫৭৮ জন।
এদিকে করোনার চরম পরিস্থিতিতে করুণ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে হাসপাতলগুলোতে। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে খালি নেই কোনো আইসিইউ। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের নিয়ে রাজধানীর দিকে ছুটে আসছে স্বজনরা। কিন্তু এখানে এসেও হতাশ হতে হচ্ছে তাদেরকে। রোগী নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ছুটছেন তারা। কিন্তু হাসপাতালের সদর দরজাতেই লিখে রাখা ‘শয্যা খালি নেই’ বার্তাটি হতাশ করছে তাদেরকে। ভর্তি হতে না পেলে রাস্তা কিংকা হাসপাতালের বাইরে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যাওয়া রোগীদের একজন খিলগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক হাফিজুর রহমান। অ্যাম্বুলেন্সে করে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে যখন তাকে আনা হয়, তখন শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল তার।
হাফিজুরের ছেলে মো. ফারুক হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নানাভাবে অনুরোধ করলেও কোনো শয্যা খালি না থাকায় ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষার পর বাবাকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হন ফারুক। হাসপাতালে পৌঁছার পর জরুরি বিভাগের একটি কক্ষে বাবাকে রেখে তিনি ছুটে যান ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে। মাঝে একবার বাবার অবস্থা দেখতে সেখানে আসেন। ওই কক্ষে ঢুকেই দেখেন তার মা চিৎকার করে কাঁদছেন। ফারুকের আর বুঝতে বাকি থাকে না সব চেষ্টা ব্যর্থ করে তার বাবা চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
গত বুধবার দুপুরে মুগদা হাসপাতালে স্ত্রী নাসরিন সুলতানাকে ভর্তি করাতে এসেছিলেন আবদুর জাহেদ। করোনায় আক্রান্ত স্ত্রীকে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে মোটরসাইকেলে করে এখানে এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, শয্যা খালি না থাকায় ভর্তি করানো সম্ভব নয়। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর নাসরিনকে আবার নিজের শরীরের সঙ্গে ওড়না দিয়ে বেঁধে জাহেদ মোটরসাইকেলে করে রওনা হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) দিকে। সেখান থেকেও তাকে ফিরতে হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, শয্যা খালি নেই। পরে জাহেদ একজনের কাছে জানতে পারেন, মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালে শয্যা খালি আছে। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে চলে যান মহাখালীতে। সেখানে স্ত্রীকে ভর্তি করাতে সক্ষম হন তিনি।
আবদুর জাহেদ বলেন, একটি সাধারণ শয্যা পাওয়ার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা আমি এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরে বেড়িয়েছি। আমি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, তা যেন আর কারো না হয়।
আরো করুণ ঘটনা ঘটে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত মা কানন প্রভা পাল (৬৫)। একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছেলে শিমুল পালেরও আইসিইউয়ের দরকার হয়। এই সংবাদ মা জানতে পেরে খুলে ফেলেন নিজের শরীরে চিকিৎসার সকল সরঞ্জাম। জানান এই সিটে তার ছেলেকে ভর্তি করাতে। এক পর্যায়ে চিকিৎসকরা বাধ্য হন মাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে ছেলেকে সেখানে নিতে। আইসিইউ থেকে বের করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হয় মা কানন প্রভার।
সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের ভর্তি করতে না পারার বিষয়ে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বলেছেন, যে পরিমাণ রোগী ভর্তি আছে এর অতিরিক্ত ভর্তি করাতে গেলে ভর্তিকৃত রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ বিঘ্নিত হবে।
মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অসীম কুমার নাথ বলেন, আমাদের হাসপাতালে পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যে আমরা নতুন রোগী ভর্তি নিতে পারছি না।
আমরা যদি আর কোনো রোগী ভর্তি করি, তাহলে এখন হাসপাতালে যেসব রোগী ভর্তি আছে, তাঁদের অনেকে অক্সিজেন পাবেন না। বাধ্য হয়ে এ মুহূর্তে নতুন করে রোগী ভর্তি করানো যাচ্ছে না।
বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান বলেন, অক্সিজেন প্রয়োজন হবে, এমন রোগীকে এ মুহূর্তে ভর্তি নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা মেডিকেল কলেজে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা রয়েছে ৭০৫টি। সেখানে গত বুধবার চারটি শয্যা ফাঁকা থাকার তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, করোনা রোগীর চাপ এতোই বেড়েছে যে সাধারণ শয্যাতেও রোগী ভর্তি করানো কঠিন হয়ে গেছে। পুরোনো রোগী ছাড়ার পর নতুন রোগী নেওয়া সম্ভব হচ্ছে। সব সময় শয্যা পরিপূর্ণ থাকছে। আর আইসিইউ শয্যা তো কোনো সময় খালি থাকছে না।
ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের গত বুধবার শয্যা খালি দেখানো হয় ৪৭৩টি। তবে হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের যে শয্যাগুলো খালি আছে, সেখানে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ নেই। সার্বক্ষণিক অক্সিজেন লাগবে, এমন রোগীদের ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
ঢাকার বাইরে হাসপাতালগুলোতেও শয্যা পেতে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে করোনা রোগীদের স্বজনদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে করোনার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত সাতটি সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ২২টি। এর একটিও গতকাল খালি ছিল না। চট্টগ্রামে সরকারি চারটি হাসপাতালের আইসিউ শয্যা আছে ৩৩টি। এর মধ্যে ২৫টি আইসিউ শয্যায় রোগী ভর্তি ছিল। খুলনা বিভাগে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৭৭টি। এর মধ্যে মাত্র চারটি শয্যা খালি ছিল। রাজশাহী বিভাগের ১০টি সরকারি হাসপাতালে ৫৮টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল মাত্র ৯টি। বরিশাল বিভাগের সাতটি সরকারি হাসপাতালে ৩৩টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে খালি ছিল ১১টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, সারা দেশে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১ হাজার ৩১২টি। এর মধ্যে গত বুধবার পর্যন্ত ১ হাজার ১২১টিতে রোগী ভর্তি ছিল। রাজধানীতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে ৩টি হাসপাতালে আইসিইউ নেই। বাকি ১৩টি হাসপাতালের মধ্যে ৯টি হাসপাতালেই গত বুধবার কোনো আইসিইউ শয্যা ফাঁকা ছিল না। বাকি চারটি হাসপাতালে ফাঁকা ছিল ৯টি আইসিইউ।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :