• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

চাপ ঠেলে নির্বাচনের দিকে সরকার


বিশেষ প্রতিনিধি নভেম্বর ২১, ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম
চাপ ঠেলে নির্বাচনের দিকে সরকার

ঢাকা : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলমান। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ চাপকে পাশে ঠেলে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকার। এক্ষেত্রে কোন ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে আরেকটি একতরফা নির্বাচনের আশঙ্কা করছেন নির্বাচন বিশ্লেষকরা।

যদিও ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল দেশে-বিদেশে। সেজন্য এবার বেশ আগে থেকেই আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন সময় অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের তাগাদা দিয়ে আসছিলো।

এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির উৎসব চললেও ভিন্ন চিত্র বিএনপি অঙ্গনে। আর মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না- সে বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করেনি দলটির হাইকমান্ড।

তবে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু গণমাধ্যমকে বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ৩০ নভেম্বরের আগে নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

এমন অবস্থায় বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে পরিস্থিতি বিবেচনায় পুনঃতফসিলের ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।গতকাল সোমবার (২০ নভেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের একথা জানান  নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

রাশেদা সুলতানা বলেন, বিএনপিসহ নির্বাচনে আসতে না চাওয়া দলগুলো ভোটে এলে, আইন অনুযায়ী সুযোগ তৈরি করে দেয়া হবে। বিভাজন ভুলে নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করলে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশন প্রাণান্তর চেষ্টা করবে বলেও জানান, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

এ প্রসঙ্গে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিপপ এর চেয়ারম্যান ড. নাজমূল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর সমঝোতা চাপের অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশনের এমন বক্তব্য। তবে যে কোন ভাবেই সবার অংশগ্রহণে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন কাম্য বলেই মনে করেন এ নির্বাচন বিশ্লেষক।

বিএনপি এবং তাদের সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোও ক্রমাগত বলেছে যে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। সেজন্য তারা আন্দোলনও করছে। তবে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে বিরোধীদলের রাজনৈতিক দুর্বলতা। এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকরা।

২০১৮ সালের বিতর্কিত নির্বাচনের পরেও বিরোধীদলগুলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। ফলে নির্বাচন নিয়ে কোন কোন সমঝোতার পথে হাটার প্রয়োজন অনুভব করেনি সরকার।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, সরকার জনগণের চাপ উপেক্ষা করছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে সঙ্গে নিয়ে। তার মতে, বিরোধীদল সরকারের উপর তেমন কোন রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে পারেনি এবং ২০১৪ সালের তুলনায় সরকার এখন অনেকটা ‘স্বস্তি-দায়ক অবস্থায়’ আছে।

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে ক্ষমতার কাঠামোর সাথে তাদের একটা ‘গভীর সম্পর্ক’ তৈরি হয়েছে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবিরের মতে, রাজনৈতিকভাবে তারা যে সংগঠিত এটা তো সত্যি কথা। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো আছে এবং পাশাপাশি প্রশাসনিক কাঠামো মোটামুটি তাদের পক্ষে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!