ঢাকা : আবারও পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। ১০ ডিসেম্বর ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস’ উপলক্ষে রাজপথে সমাবেশ করবে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল দুটি।
এতদিন বিএনপির ব্যানারে অবরোধ ও হরতালের বাইরে রাজপথে সমাবেশের মতো কোনো কর্মসূচি দেওয়া হয়নি। তবে এবার গুম-খুনের শিকার এবং দলটির কারাবন্দি নেতাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ১০ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
অন্যদিকে, একই দিন বিকেল ৩টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে দলটি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও পেট্রোল বোমা হামলার দ্রুত বিচারের দাবিতে দিনটিতে সমাবেশের আয়োজন করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। দলের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
এ সমাবেশের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি। এরই মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা সর্বাত্মক নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠলেও বায়তুল মোকাররমের সমাবেশকে ঘিরেও সর্বোচ্চ জমায়েতের প্রস্তুতি চলছে।
সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে মৌখিকভাবে ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ড-থানা পর্যায়ের নেতাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে সমবেত হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, গুম, খুন আর কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীর পরিবার নিয়ে রাজধানীতে সমাবেশ ও মানববন্ধন করবে বিএনপি। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের পরিবেশ না থাকলেও ভিন্ন উপায়ে মাঠে থাকার কৌশল নিয়েছে দলটি।
গত ১৫ বছরে ক্ষমতাসীন সরকারের হত্যা, গুম, খুন আর কারা নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র দেশে-বিদেশে তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
বিএনপি নেতারা জানান, ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারাদেশে ২০ হাজারের ওপর নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু ঢাকাতেই ১০ হাজার নেতাকর্মী এখন কারাগারে। এসব পরিবারের সদস্যদের সমাবেশে হাজির করা হবে। তাদের হাতে নির্যাতনের ব্যানার, ফেস্টুনসহ মুক্তির দাবিতে স্লোগানও থাকবে।
এর সঙ্গে বিগত দিনে সারাদেশে গুম-খুনের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন। সব মিলিয়ে এসব পরিবারের কান্না, ভোগান্তি আর নির্যাতনের চিত্র দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরবেন।
এমটিআই