ঢাকা : বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এক ধরনের মূল্যস্ফীতির চক্রে পড়েছে।
এ সময়ে ঝড়, বন্যা, কৃষিক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ নানা কারণে উৎপাদন ব্যাহত হয়। মূল্যস্ফীতি থাকে আকাশছোঁয়া। বর্তমানে এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পড়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন উপদেষ্টা পরিষদ।
আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া অর্থনীতির সংকট কাটাতে গিয়ে ২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে নতুন সরকার।
দেশের তিনজন সেরা অর্থনীতিবিদ অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছেন। আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরও শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতি নিয়ে এ সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বেশি। কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই মাসে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার পরও নিত্যপণ্যের দাম কমাতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ অর্থনীতিবিদরা সরকারে যোগদানের আগে মূল্যস্ফীতি কমাতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে এলেও এখন সরকারের অংশ হয়েও তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ যে পদক্ষেপ নিয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে সফল হয়েছে, সেই সুদহার বাড়িয়েও কোনো সুফল মেলেনি বাংলাদেশে। আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় এ পদক্ষেপ বরং উল্টো ফল দিয়েছে, পণ্যমূল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
এ সময়ে বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। যদিও বন্যা দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলেই হয়নি।
সাধারণত বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকারের সময় ব্যবসায়ীরা থাকেন নির্ভার। লুটপাটের বড় নজির থাকলেও সরবরাহ সংকট খুব একটা দেখা যায় না। রাজনৈতিক সরকারের সময় ব্যবসায়ীরাও সংকটকালে এগিয়ে আসে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীরা চিহ্নিত হয়ে যাওয়ার ভয়ে সেভাবে যুক্ত হতে চান না।
২০০৭ সালে এক-এগারো পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো ছিল। কিন্তু ওই সময়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থান ও অনিশ্চয়তার কারণে ব্যবসায়ীরা ছিলেন আতঙ্কে। ভয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী। বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন অনেকে। ফলে বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছিল।
এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় সিডরসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘনঘটা ছিল বছর জুড়ে। এসব কারণে তখন সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি প্রায় ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছিল। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও মূল্যস্ফীতির একই ধারা দেখা দিয়েছে। সবজি, ডিমসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে রেকর্ড মূল্যস্ফীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ আপডেট নিয়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বিশ্বব্যাংকও আগামী এক বছর মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
অন্তর্বর্তী কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়টায় দ্রব্যমূল্যে কেন এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয় এমন প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে এ ধরনের সরকারগুলোর দেশের জন্য ভালো কিছু করার ইচ্ছা থাকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অনেক বেশি শক্তিশালী অবস্থানে থাকলেও এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। সেনাবাহিনী বর্তমান সরকারকে সমর্থন জানালেও বিগত সময়ের মতো পুলিশ ততটা সক্রিয় নয়। এখনো অনেক পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেননি। আবার পুলিশের আচরণেও পরিবর্তন এসেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দুর্বলতা এখনো রয়েছে।
এবার ব্যবসায়ীরা ২০০৭ সালের মতো ভয়ের পরিবেশে না থাকলেও তাদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে দেশে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী ছিলেন ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আমলাতন্ত্র ও ব্যাংক খাতের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এ গোষ্ঠী। ফলে খেলাপি ঋণ কয়েকগুণ বেড়ে যায় দেড় দশকে। অর্থ পাচারের ঘটনা ছিল নজিরবিহীন। এমন পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতি, অনিয়ম ও মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আওয়ামী শাসনামলের সুবিধাভোগী কিছু বড় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
গত দেড় দশকে দেশের নিত্যপণ্যের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে ৮-১০টি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের হাতে। ইতিমধ্যে এসব শীর্ষ ব্যবসায়ীর কারও কারও বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। অন্যরাও মামলার আশঙ্কায় ভীত।
এসব ব্যবসায়ীর পণ্য আমদানি, সরবরাহ ব্যাহত হলে সংকট আরও বাড়তে পারে। গুটিকয়েক গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ থেকে সরবরাহ ব্যবস্থা অন্য ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ করা না গেলে দেশের সরবরাহ চেইনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার, বেশ কিছু জিনিস একসঙ্গে করা দরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়াচ্ছে, যদিও এর ফল পেতে অনেক সময় লাগবে।
কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারে চাহিদা আসলেই কেমন, সরবরাহ কেমন, সরবরাহ ঘাটতি কেমন আছে এসব ব্যাপারে ভালো ধারণা থাকা দরকার। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপণ্যে সরবরাহ ঘাটতি আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার ধারণা পুরো সরবরাহ ব্যবস্থায় সমস্যা হয়েছে। যারা খবরদারি করত তাদের পুরনো চেইন ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। তাদের জায়গায় নতুন লোকজন এসেছে, তাদের বিরুদ্ধেও চাঁদাবাজির অভিযোগ আছে। অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যে ভালো উন্নতি হয়েছে তাও নয়। এ সময়ে এসে সেটি আরও জটিল হয়েছে, নিত্যপণ্যের মূল্য কমছে না।’
বাজারে গিয়ে দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়, এতে খুব একটা লাভ হবে না বলে মনে করেন সেলিম রায়হান। বরং সরবরাহের ঘাটতি কোথায় কোথায় আছে সে ব্যাপারে ভালো একটি ধারণা নিতে হবে এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বার্ষিক চাহিদা কেমন, উৎপাদন কেমন, আমদানি করতে হবে কি না সেগুলোর ধারণা নিতে হবে। এখন আমদানির সিদ্ধান্ত হলেও বড় ধরনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘একটা সামগ্রিক পরিকল্পনার অধীনে অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার। এ নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম হওয়া দরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজস্ব বোর্ড, খাদ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে একটি প্ল্যাটফর্মের অধীনে কাজ করতে হবে। এর নেতৃত্ব দিতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাতে যেটি হবে একটি সংস্থার পদক্ষেপের সঙ্গে মিলিয়ে অন্যরাও পদক্ষেপ নেবে।
যেমন বাংলাদেশ ব্যাংক যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার সঙ্গে মিলিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড করহার ছাড় দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমিশনকেও এ প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করা দরকার।’
ট্যারিফ কমিশন একটি দেশের পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশে এ প্রতিষ্ঠানটি কোনো কাজেই আসছে না। দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু ভোক্তা অধিদপ্তর খুচরা পর্যায়ে অভিযান চালায় এবং নামমাত্র জরিমানা করে। এ ধরনের কার্যক্রমের সুফল কখনই দেখা যায়নি। বর্তমান সরকারকে এমন প্রতিষ্ঠান দিয়েই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হচ্ছে। তবে সুফল মিলছে না।
অন্য দেশে প্রতিযোগিতা কমিশন পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও বাংলাদেশে কেন পারছে না এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিম রায়হান বলেন, ‘এটাকে ইচ্ছাকৃতভাবেই অকার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখা হয়েছে।
আগের সরকারের আমলে দেখেছি, ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিতেই প্রতিষ্ঠানটিকে অকার্যকর করে রাখা হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশন শক্তিশালী হলে অনিয়মে জড়িত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারে। এখন যেহেতু এ সরকারের কোনো গোষ্ঠীস্বার্থ নেই, এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময় প্রতিযোগিতা কমিশনকে শক্তিশালী করা।’
তিনি বলেন, শক্তিশালী সদস্যদের দিয়ে প্রতিযোগিতা কমিশন পুনর্গঠন করা দরকার যাতে তারা যাচাই-বাছাই করে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। প্রতিযোগিতা কমিশনসহ সব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না।
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে সেলিম রায়হান বলেন, ‘সিন্ডিকেট আছে কি নেই, এটা ধরার দায়িত্ব হচ্ছে প্রতিযোগিতা কমিশনের। এ ধরনের অভিযোগ যদি আসে যে, কোনো একটা পণ্যের সিন্ডিকেট বাজারে আছে, তাহলে প্রতিযোগিতা আইনের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা জানেন প্রতিযোগিতা কমিশন একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠান। অকার্যকর প্রতিযোগিতা আইন আছে, যেগুলো দিয়ে তাদের ধরা যাবে না।’
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পণ্যমূল্য বৃদ্ধির নেপথ্যে আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে সুদহার। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত এক বছরে নয়বার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। এতে করে ব্যাংকঋণের সুদহার এখন ১৪-১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) খোলাও কঠিন হয়ে গেছে। গত দুই বছরে টাকার ব্যাপক অবমূল্যায়ন ও সুদহার বাড়ার কারণে পণ্য আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমদানি করা পণ্যের দাম বেড়েছে।
তবে দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যও এখন নাগালের বাইরে চলে গেছে। দেশের দুই অঞ্চলে দুই দফা বন্যার অজুহাতে প্রায় সব সবজির দামই এখন ১০০ টাকার ওপর। ডিমের ডজন ১৮০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে নিম্নআয়ের মানুষের।
সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের সবজি উৎপাদনের হাবগুলোর বেশিরভাগ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও সিন্ডিকেট ও যথাযথ নজরদারির অভাবে অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ সারা দেশের অন্যসব জেলা থেকে আসা সবজি দিয়ে রাজধানীবাসীর সবজির চাহিদা মেটানো হয়। কিন্তু চাহিদার সিংহভাগ সবজির জোগান হয় ধামরাই, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ ও ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে আসা সবজি দিয়ে। এসব অঞ্চল প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির শিকার না হলেও, দেশের অন্যান্য জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ সংকটের অজুহাত দিয়ে কৃষকের পরেই রাজধানীর অসাধু ব্যবসায়ীদের কয়েকটি হাত ঘুরে সবজির দাম বাড়ানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিন্ডিকেট ভাঙার সহজ পদ্ধতি হলো পণ্যের সংকট দেখা দিলে আমদানির অনুমতি দেওয়া। তবে সে ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, আমদানির অনুমতি দিতে গিয়ে দেশের কৃষির যেন ক্ষতি না হয়। বিকল্প পথ হিসেবে সরকারকে দায়িত্ব নিয়ে কৃষকের সবজি খুচরা পর্যায়ে বিক্রির ব্যবস্থা করা। তাছাড়া পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত অসাধু ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ভোক্তা আইন অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, ‘বাজার মনিটরিং চলছে ঢিমেতালে। অথচ এটাই প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি পণ্যসংকট দেখা দিলে দুই ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার।
প্রথমত দেশের কৃষিকে বাঁচিয়ে আমদানির অনুমতি দেওয়া। দ্বিতীয়ত কৃষকের পণ্য সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা সরকার নিজ দায়িত্বে নিতে পারে। এতে কিছু অসুবিধাও রয়েছে। তবে অসুবিধার চেয়ে লাভের অংশটাই বেশি থাকে। এর বাইরে কৃষককে ঋণ দিয়ে দেশের কৃষি ও কৃষককে বাঁচিয়ে রাখলে উৎপাদন বাড়বে।’ সূত্র : দেশ রূপান্তর
এমটিআই