• ঢাকা
  • শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১
মত বিশিষ্টজনের

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে বন্ধ হতে পারে স্বৈরশাসনের পথ


বিশেষ প্রতিনিধি অক্টোবর ১৯, ২০২৪, ১১:৪৭ এএম
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে বন্ধ হতে পারে স্বৈরশাসনের পথ

ঢাকা : সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুর বিষয়টি তিন দশক আগে আলোচনায় এসেছিল। গত আগস্টে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আবারও সে আলোচনা জোরালোভাবেই শুরু হয়েছে।

সম্প্রতি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির পক্ষে নিজেদের মত জানিয়েছে।

এসব দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে নিজেদের লাভ যেমন দেখছে, তেমনি সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত ও স্বৈরশাসনের পথ বন্ধ হবে বলে মনে করছে। এসব দলের বেশিরভাগই কম সাংগঠনিক শক্তির দল। তাদের চেয়ে বেশি সাংগঠনিক সামর্থ্যরে জামায়াতও এ ব্যবস্থার পক্ষে। দুর্বল হয়ে পড়া জাতীয় পার্টিও (জাপা) এ কাতারে আছে।

তবে দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি আনুপাতিক ব্যবস্থার পক্ষে নয়। তারা বর্তমান নির্বাচনব্যবস্থার পক্ষে। অন্যদিকে পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের অবস্থান জানা যায়নি।

সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা নিয়ে বিশিষ্টজনের মধ্যেও আলোচনা শুরু হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর ‘রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান সংশোধনী’বিষয়ক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নেওয়া আলোচকরা এ ব্যবস্থার পক্ষে মত দেন। তাদের মতে, স্বৈরশাসন ঠেকাতে সবচেয়ে কার্যকর ব্যবস্থা হতে পারে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি।

একই দিন রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিএনপি, সিপিবি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী, গণসংহতি আন্দোলন, এবি (আমার বাংলাদেশ) পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।

এর মধ্যে বিএনপি ছাড়া অন্য দলগুলোর প্রতিনিধিরা সংসদ নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি চালুর পক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরেন।

সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী তাদের সংস্কার প্রস্তাবে এ ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছে।

সম্প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তৃতীয় দফা বৈঠক করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বৈঠকে আটটি দল ও জোটের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট, গণতন্ত্র মঞ্চ, জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও গণ অধিকার পরিষদের নেতারা বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবের পাশাপাশি সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানান। অন্যদিকে জাতীয় পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি দল সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির পক্ষে আগেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে।

বাম জোটের শীর্ষ নেতা ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, নব্বই দশক থেকে সিপিবি ও অন্যান্য বামপন্থি দলগুলো সংখ্যানুপাতিকের পক্ষে কথা বলে আসছে।

ঐকমত্যের প্রয়োজনে নতুন ‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব’ ব্যবস্থা প্রবর্তনের পাশাপাশি বর্তমান ‘একক এলাকাভিত্তিক প্রতিনিধিত্ব’ বা সংসদীয় আসনভিত্তিক ব্যবস্থাও আংশিকভাবে (অর্ধেক আসনে) অব্যাহত রাখা যেতে পারে। সবার মতামতের ভিত্তিতে এই অনুপাত কমবেশি করা যেতে পারে। তবে আমরা ৩০০ আসনেই সংখ্যানুপাতিকের পক্ষে।

বিশ্বব্যাপী গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রধানত দুটি ব্যবস্থা বিদ্যমান।

প্রথমত, একটি নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থীদের মধ্যে যিনি সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনি নির্বাচিত হবেন। এ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট’। এ পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু রয়েছে। অন্যটি সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা বা প্রপোরশনাল রিপ্রেজেনটেশন (পিআর) পদ্ধতি।

এ পদ্ধতিতে একটি দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সেই অনুপাতে সংসদে দলটির প্রতিনিধিত্ব নির্ধারণ হবে। অনেক দেশে এ দুটি পদ্ধতির সমন্বিত ব্যবস্থাও চালু রয়েছে।

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা পৃথিবীর শতাধিক দেশের চালু আছে। উন্নত দেশগুলোর সংস্থা অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনভুক্ত (ওইসিডি) ৩৬টি দেশের মধ্যে ২৫টি, অর্থাৎ প্রায় ৭০ শতাংশ দেশই আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা অনুসরণ করে। এশিয়ায় শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশ্য সব দেশ একই পদ্ধতি অনুসরণ করে না। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা তিন ধরনের।

এর মধ্যে একটি হচ্ছে দলভিত্তিক, আরেকটি হচ্ছে ব্যক্তিভিত্তিক। আর অন্যটি হচ্ছে মিশ্র পদ্ধতি। দলভিত্তিক ব্যবস্থায় কোনো দলীয় প্রার্থী নির্বাচন করেন না। নির্বাচন করে দল। সেখানে ভোটাররা দলীয় প্রতীকে ভোট দিয়ে থাকেন। ভোটের হার অনুযায়ী দলগুলো সংসদে তাদের প্রতিনিধি নির্ধারণ করে।

আবার ব্যক্তিভিত্তিক নির্বাচনে দলগুলো আগেই তাদের মনোনীত প্রতিনিধিদের নাম প্রকাশ করে। তারপর আঞ্চলিক ও জাতীয়ভিত্তিক ভোটের হার অনুযায়ী দলগুলো তাদের প্রতিনিধি নিশ্চিত করে। নেদারল্যান্ডসে দলভিত্তিক ও স্পেনে ব্যক্তিভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে। এ দুই পদ্ধতি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে। তবে পদ্ধতিগত ভিন্নতা আছে। আবার অনেক দেশে ফার্স্ট পাস্ট দ্য পোস্ট এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব দুই ব্যবস্থার সংমিশ্রণও আছে। যেমন এশিয়ার নেপাল। দেশটিতে নিম্নকক্ষের মোট আসন ২৭৫টি।

এর মধ্যে ১৬৫ আসনে বাংলাদেশের মতো যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, তিনিই বিজয়ী হন। আর ১১০ আসনে আনুপাতিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। উচ্চকক্ষের মোট ৫৯টি আসনের পাঁচটি সংরক্ষণ করে বাকি ৫৪টিতেও আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয়।

বাংলাদেশে সংসদীয় আসনভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু আছে। এ পদ্ধতিতে যে প্রার্থী বেশি ভোট পাবেন, তিনি নির্বাচিত হবেন। আবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকলে তিনি বিনাভোটে বিজয়ী হবেন। সংসদে মোট ৩৫০ আসনের মধ্যে ৩০০টিতে সরাসরি ভোটে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন। বাকি ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন, যারা দলগুলোর আসন অনুপাতে নির্বাচিত হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা যে দলই পেয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে কোনো দলেরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া সম্ভব হবে না বললেই চলে। ফলে জোট সরকার গঠন করতে হবে। এতে করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথও বন্ধ হয়ে যাবে।

তারা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বৈরাচারী হওয়ার পথ বন্ধ করার একমাত্র উপায় হলো সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা।

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন বলেছে, নিজে থেকে তারা এ পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব দেবে না। তাদের মতে, এ পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য সংবিধান সংশোধন প্রয়োজন। সংবিধান সংস্কার কমিশন চাইলে বিষয়টি প্রস্তাবের সঙ্গে যোগ করবে তারা।

কমিশনের সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তাব করতে পারে। এটি মাঠে কতটা কার্যকর হবে, সেটা সরকার দেখবে। তবে এ পদ্ধতি চালু করতে হলে সংবিধানে পরিবর্তন আনতে হবে। এখানে সংবিধান কমিটির বিষয় আছে। নির্বাচন সংস্কার কমিটির বিষয় আছে।

দেশে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তনের আলোচনা নতুন নয়। চার দশক আগে এ ব্যবস্থার পক্ষে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) ফেরদৌস আহমেদ কোরেশি। নব্বইয়ের দশকে তিনি এর পক্ষে প্রচারপত্র বিলি করেন। কয়েকটি বামপন্থি দলও তখন এ ব্যবস্থার পক্ষে নিজেদের মত দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্মতি না থাকায় তা আর আলোর মুখ দেখেনি।

তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সারা দেশে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জনআকাক্সক্ষা তৈরি হয়। দেশের শাসনতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সংস্কার প্রস্তাবগুলোর মধ্যে গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় সংসদে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের মূল্যায়ন হয়। কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব থেকে মুক্ত থাকার সুযোগ তৈরি হয়। এ পদ্ধতিতে সংসদ সদস্য তৈরি হলে জাতীয় সরকারের একটা নমুনা প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই আলোচনায় বসব।’

গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার পক্ষে অবস্থান রয়েছে। সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি অনেক বেশি গণতান্ত্রিক ও প্রতিনিধিত্বমূলক।’

তবে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘বিএনপির যে জনসমর্থন আছে, সেটা ভাঙার জন্য সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা কৌশল হিসেবে নিয়েছে একটি পক্ষ। আমাদের যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব রয়েছে, সেখানে নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে স্পষ্ট বলা আছে। অন্য আরও অনেক দলের সঙ্গে কথা বলেই এ সংস্কার প্রস্তাব আনা হয়েছে। আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী সংসদ নির্বাচন হলে সব দলেরই প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আনুপাতিক পদ্ধতির আর প্রয়োজন হবে না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিশিষ্টজনের অনেকেই সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা চালুর পক্ষে। তারা বলছেন, পদ্ধতিটি ভালো বলেই অনেক দেশ তা গ্রহণ করেছে। তবে বাংলাদেশে চালু হওয়ার আগে আলোচনা ও বিশ্লেষণ দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোরও মতৈক্য দরকার। ভোটারদেরও এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে।

শিক্ষাবিদ ও রাষ্ট্রচিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বিশ্বের ১৭৫টি দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার গঠিত হয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরেকটি পদ্ধতি হলো সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি। শতাধিক দেশে এ পদ্ধতি রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে নব্বই দশকের প্রথম দিকে বামপন্থিরা এর পক্ষে প্রচার শুরু করে। পরে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ অনেক দল এটির পক্ষে মত দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এ পদ্ধতি চালু করা যায়নি।

অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ‘আমি মনে করি, অবশ্যই দলভিত্তিক আনুপাতিক পদ্ধতিতে সরকার গঠনের বিষয়ে আরও বেশি কথা বলা দরকার। অনেকে দলভিত্তিক শব্দটা উচ্চারণ করে না। তার কারণ অনেক বিদেশি শক্তি চায় না এখানে দল গড়ে উঠুক।’

গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা চালু হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার কিছুটা উন্নতি হবে। কারণ এ পদ্ধতিতে ভোটের আয়োজন হলে অঞ্চলভিত্তিক সংসদ সদস্য মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতা, টাকার খেলা ও সন্ত্রাসের গুরুত্ব থাকবে না। আগেই দল থেকে তালিকা প্রকাশ করবে। দলগুলো যত শতাংশ ভোট পাবে সে অনুযায়ী আসন পাবে।

তিনি বলেন, সংখ্যানুপাতিক ব্যবস্থা চালুর বিষয়টি গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। বিভিন্ন পর্যায়ে এটার পক্ষে সম্মতিও তৈরি হচ্ছে। বড় দলগুলো এখন পরিষ্কারভাবে অবস্থান নেয়নি। এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনমত তৈরি করতে পারে, তাহলে আংশিকভাবে হলেও এ পদ্ধতি বাস্তবায়ন হবে। সূত্র : দেশ রূপান্তর

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!