ঢাকা : দুই গোলে এগিয়ে গিয়েও লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় রিয়াল মাদ্রিদ। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফেরায় ইন্টার মিলান। তবে স্প্যানিশ জায়ান্টকে দমাতে পারেনি তারা। পাঁচ গোলের রোমাঞ্চে ৩-২ এ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয় পেয়েছে রিয়াল।
এডেন হ্যাজার্ড ও টনি ক্রুসের সমন্বিত চেষ্টায় রিয়াল প্রথম সুযোগ তৈরি করে। ৪ মিনিটে বক্সের মধ্যে থেকে হ্যাজার্ডের পাসে লক্ষ্যে শট নেন মার্কো আসেনসিও। কিন্তু গোলকিপার সামির হান্দানোভিচ বল ক্রসবারে উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠিয়ে কর্নার বানান। ক্রুসের পাস থেকে ৭ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভার্দের শক্তিশালী শট বারের উপর দিয়ে যায়।
ইন্টার গোলের সুযোগ পায় ১০ মিনিটে। রিয়াল বলের দখল হারালে ইভান পেরিসিচ বক্সে লাউতারো মার্তিনেজকে খুঁজে নিয়ে পাস দেন। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শট ডান হাত দিয়ে ঠেকান থিবো কোর্তোয়া। পরের মুহূর্তে আচরাফ হাকিমির নিচু শটের বল গোলমুখের সামনে পান পেরিসিচ। তবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বল ভাসিয়ে দেন বারেয়ার দিকে। তার হেড লক্ষ্যে ছুটলেও কোর্তোয়া দক্ষতার সঙ্গে বল আটকান। ১৪ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে আর্তুরো ভিদালের রকেট গতির শট বাঁ পোস্ট ঘেষে বাইরে গেলে ফের হতাশ হতে হয় ইন্টারকে।
২৩ মিনিটে ভালভার্দের হাফ ভলি বারের উপর দিয়ে চলে যায়। দুই মিনিট পর রিয়ালকে গোলের সুযোগ করে দেয় ইন্টার। হাকিমি মাঝমাঠ থেকে হান্দানোভিচের দিকে বল পাঠান। আগেই তা আন্দাজ করতে পেরে বল দখলে নেন বেনজেমা এবং ইন্টার গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে খালি জালে সহজেই বল জড়ান।
৩৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া ক্রুসের কর্নার কিক থেকে চতুর হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সার্জিও রামোস, সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটি ছিল রিয়ালের হয়ে স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের শততম গোল।
অবশ্য দুই মিনিট পর ব্যবধান কমায় ইন্টার। বারেয়ার পাস থেকে মার্তিনেজের দারুণ ফিনিশিংয়ে স্কোর ২-১ করে তারা। বিরতি থেকে ফিরে রিয়ালের বক্সে আক্রমণ চালালেও জমাট রক্ষণভাগের সঙ্গে পেরে উঠছিল না ইন্টার। শেষ পর্যন্ত তারা সমতা ফেরায় ৬৮ মিনিটে। ব্রোজোভিচের পাস থেকে মার্তিনেজ বল দেন পেরিসিচের সামনে। তার হাফ ভলি দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ হয়।
দুই মিনিট পর ক্রুসের লম্বা শট সহজে ঠেকান হান্দানোভিচ। ৭৫ ও ৭৬ মিনিটে মার্তিনেজ ও পেরিসিচের শট বারের পাশ দিয়ে যায়। এই সুযোগ নষ্টের খেসারত দেয় ইন্টার।
৮০ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে মাপা শটে বল পেয়ে ডান পায়ের জোরালো শটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন রোদ্রিগো। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম জয় পায় ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
বরুশিয়া মনশেনগ্লাদবাখ উড়িয়ে দিয়েছে এই গ্রুপের চমক শাখতার দোনেৎস্ককে। ৬-০ গোলে ইউক্রেনিয়ান ক্লাবকে হারিয়েছে জার্মানরা। প্রথমার্ধে চার গোল করে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নেয় গ্লাদবাখ। দুই গোল করে বিরতিতে যাওয়া আলাসানে প্লিয়া হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন ৭৮ মিনিটে।
দুই ড্রর পর প্রথম জয়ে 'বি' গ্রুপের শীর্ষে গ্লাদবাখ (৫)। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শাখতার। তাদের সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে তৃতীয় রিয়াল। ২ পয়েন্টে সবার শেষে ইন্টার।
'এ' গ্রুপের খেলায় এগিয়ে থেকেও বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত সলজবুর্গ। ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। লোকোমোতিভ মস্কোর সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
ম্যানসিটি টানা তৃতীয় জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে 'সি' গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে। অলিম্পিয়াকোসকে ঘরের মাঠে তারা ৩-০ গোলে হারিয়েছে। একই ব্যবধানে পোর্তো জিতেছে মার্শেইর বিপক্ষে। ৬ পয়েন্টে তারা দ্বিতীয় স্থানে।
ডিয়েগো জোতার হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলে আতালান্তার মাঠে জিতেছে লিভারপুল। তিন জয়ে 'ডি' গ্রুপের শীর্ষে তারা ৯ পয়েন্ট নিয়ে। আয়াক্স ২-১ গোলে মিডজিল্যান্ড থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ডাচরা।
সোনালীনিউজ/এএস
আপনার মতামত লিখুন :