• ঢাকা
  • শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

৩৬ রানেই অলআউট ভারত


ক্রীড়া ডেস্ক ডিসেম্বর ১৯, ২০২০, ১২:৪১ পিএম
৩৬ রানেই অলআউট ভারত

ফাইল ফটো

ঢাকা: অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের লড়াইয়ে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের বেশ ভুগিয়েছে ভারতীয় পেসাররাও। অ্যাডিলেডে ব্যাটিংটাই যেন ভুলে গেছে সফরকারীরা। তাইতো ১৯ রান তুলতেই কোহলিরা হারায় ৬ উইকেট। এর আগে এতো অল্পরানে কখনো ৬ ব্যাটসম্যানকে হারায়নি ভারত। শেষমেশ ভারতের ইনিংস শেষ হলো ৩৬ রানে। সেটাও তাদের টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন দলীয় রান। 

এর আগে ১৯৭৪ সালে লর্ডসে ৪২ রানে অলআউট হয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। সব মিলিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে এটি পঞ্চম সর্বনিম্ন দলীয় রান। ১৯৫৫ সালে নিউ জিল্যান্ডকে ২৬ রানে অলআউট করেছিল ইংল্যান্ড। যা টেস্ট ক্রিকেটের সর্বনিম্ন দলীয় রান।  

প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রান করা ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি। শেষ জুটি হিসেবে মোহাম্মদ শামি ও উমেশ যাদব ক্রিজে ছিলেন। কামিন্সের শর্ট বলে হাতে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ট হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন শামি। ভারতের ইনিংস শেষ হয় সেখানেই। অফিসিয়াল রেকর্ডবুকে এ রানই সর্বনিম্ন রান হিসেবে বিবেচিত হবে। ১৯৩২ সালে টেস্ট ক্রিকেটে পথ চলা শুরু ভারতের। ৫৪৩ টেস্ট ম্যাচ খেলা ভারত এর আগে এমন লজ্জায় পড়েনি।

৯ রানে ১ উইকেট নিয়ে শনিবার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। দ্বিতীয় দিনের শেষ সময়ে পৃথ্বি শ বোল্ড হন কামিন্সের বলে। শনিবার সকালে এ পেসারের বলেই ফিরতি ক্যাচ দেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা বুমরাহ। কামিন্স টিকতে দেননি প্রথম ইনিংসে ৪৩ রান করা চতেশ্বর পূজারাকেও। কামিন্সের শুরুর ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে হ্যাজেলউড আরেক প্রান্ত থেকে আক্রমণ শুরু করেন।

শুরুটা মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে দিয়ে। ডানহাতি ওপেনার উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ১৩তম ওভারের প্রথম বলে। ওই ওভারের পঞ্চম বলে রানের খাতা খোলার আগেই আউট আজিঙ্কা রাহানে। হ্যাজেলউডের ডাবল উইকেট মেডেন। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল অপরপ্রান্ত থেকে দেখছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু ধীরস্থির থাকতে পারেননি ভারতের অধিনায়কও। কামিন্সের অফস্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন গালিতে।

কোহলির আউটের মধ্য দিয়ে ষষ্ঠ উইকেট হারায় ভারত। ততক্ষণে লজ্জার রেকর্ডে নাম লিখানো শুরু করে কোহলির। এর আগে ১৯৯৬ সালে ডারবানে ২৫ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানে অলআউটের শঙ্কাও তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু হনুমা বিহারী ও সাহার কল্যাণে সেই রেকর্ড থেকে বেঁচে যায় ভারত। বিহারি ৮ ও সাহা ৪ রান করে দলের রান ত্রিশের ঘরে নিয়ে যান। ১৯তম ওভারে সাহা ও অশ্বিনকে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে আবার ডাবল উইকেট মেডেনের স্বাদ পান। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি হলেও শামি তা হতে দেননি। বিহারীকে এক ওভার পর ফিরিয়ে হ্যাজেলউড অষ্টমবারের মতো পাঁচ উইকেটের স্বাদ নেন। পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিংয়ে দুইশ উইকেটের ঘরে পৌঁছান। বল হাতে ঝড় তোলা কামিন্সেরও সুযোগ ছিল ৫ উইকেট পাওয়ার। কিন্তু শামি আঘাত পাওয়ায় সেই সম্ভাবনা শেষ হয়ে যায়। তবে ছুঁয়েছেন দেড়শ উইকেটের মাইলফলক। 

৯ রানে দিন শুরু করা ভারত ২৭ রান তুলতে হারায় ৮ উইকেট। ভারতের কোনো ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৯ রান করেন আগারওয়াল। ৮ রান করেন বিহারী।

প্রথম ইনিংসে ৫৩ রানের লিড পেয়েছিল সফরকারীরা। ম্যাচটি জিততে অস্ট্রেলিয়ার করতে হবে ৯০ রান।

সোনালীনিউজ/এমএইচ

Wordbridge School
Link copied!