• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১

হোয়াইটওয়াশ করতে এসে বাংলাওয়াশের পথে ক্যারিবীয়রা


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ২৪, ২০২১, ০৫:৪৯ পিএম
হোয়াইটওয়াশ করতে এসে বাংলাওয়াশের পথে ক্যারিবীয়রা

ফাইল ছবি

ঢাকা : বাংলাদেশ সফরে এসে রীতিমতো ধরাশায়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এক ম্যাচ হাতে থাকতেই ওয়ানডে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে তাদের। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে হোয়াইওয়াশ এড়ানোর পরিকল্পনায় মাঠে নামবে জেসন মোহাম্মদের দল। অবশ্য বাংলাদেশ সফরে আসেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটাররা। তারপরও জেসন মোহাম্মদের নেতৃত্বে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যেই এসেছিল ক্যারিবীয়রা। 

তবে প্রথম দুই ম্যাচের পর উল্টো হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর জন্য শেষ ম্যাচে লড়বে সফরকারীরা। দলটির প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানিয়েছেন, ওয়ানডে সুপার লিগের অন্তত ১০ পয়েন্ট পেতেই এখন লড়বে তার দল। ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম দুই ম্যাচে পুরোপুরি বিবর্ণ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুটোতেই প্রথমে ব্যাট করে ১৫০'র আগেই গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা। যে কারণে শেষ ওয়ানডেতে স্কোরবোর্ডে ২৩০-২৫০ রান চান ফিল সিমন্স।

প্রথম ওয়ানডেতে উইকেট থেকে ক্যারিবিয়ান স্পিনাররা সুবিধা পেলেও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তা ছিল না। শেষ ওয়ানডে চট্টগ্রামে। উইকেট বেশীরভাগ সময়েই কথা বলে ব্যাটসম্যানদের পক্ষে। তাই প্রতিপক্ষকে আটকাতে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মতো পুঁজি চান এই ক্যারিবীয় কোচ। এই মুহূর্তে ক্যারিবীয়দের মূল লক্ষ্য একটাই, ১০ পয়েন্ট অর্জন। 

সিমন্স বলেন, আমরা এখানে এসেছিলাম ৩০ পয়েন্টের লক্ষ্য নিয়ে। এখনও আমাদের এই প্রতিযোগিতার ১০টি পয়েন্ট নেয়ার সুযোগ আছে। তবে সবচেয়ে বেশি দরকার উন্নতির ধারা বজায় রাখা।

তিনি আরো বলেন, আমরা ১২২ থেকে ১৪৮ পর্যন্ত গিয়েছি। কিন্তু আমাদের করতে হবে ২৩০-২৫০। তাহলেই আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারব। বোলারদের জন্য কিছু করার থাকবে, সাহস নিয়ে খেলা যাবে। তবে আমাদের মূল লক্ষ্য ১০ পয়েন্ট। আরও যোগ করেন ক্যারিবীয়ান এই প্রধান কোচ।

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাই ২০২৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলতে চায় তারা। কিন্তু এই পর্যন্ত ৭জন ক্রিকেটারকে অভিষেক করিয়েছে দলটি। এমন অনভিজ্ঞ দল নিয়েও এক ম্যাচের জয়ের আশা করছে সফরকারীরা। এই সিরিজে যারা সুযোগ পাচ্ছেন তাদের সুযোগ আছে ২০২৩ বিশ্বকাপেও খেলার। এমনকি সামনের সিরিজেও। তাই তো ক্রিকেটারদের কাছ থেকে পারফরম্যান্স চান সিমন্স। 

তিনি বলেন,  এটা আসলে আমার চেয়ে দলেরই বেশি দরকার। নতুনদের জন্য সুযোগ তারা এই লেভেলে কি করতে পারে দেখিয়ে দেয়ার। এখান থেকে তারা ২০২৩ (বিশ্বকাপ) সালে নিজেদের নাম তুলতে পারে। জায়গা করে নিতে পারে শ্রীলঙ্কা সফর কিংবা বছরের শেষভাগে অন্য খেলাতেও। কিভাবে তারা তৈরি হয় এটা দেখতে পারা ভালো ব্যাপার।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!