• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১

বেধড়ক পিটিয়ে ২ ওভার হাতে রেখেই বাংলা টাইগার্সের জয়


ক্রীড়া ডেস্ক জানুয়ারি ৩০, ২০২১, ০৮:২৮ পিএম
বেধড়ক পিটিয়ে ২ ওভার হাতে রেখেই বাংলা টাইগার্সের জয়

সংগৃহীত

ঢাকা : আবুধবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টি-টেন টুর্ণামেন্টের ৭ম ম্যাচে বাংলা টাইগার্স বোলারদের কোনও উইকেট না দিয়ে বড় রানের স্কোর গড়ে মারাঠা এ্যারাবিয়ান্স। জবাবে মারাঠার বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে দুই ওভার হাতে রেখেই ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় আফিফদের বাংলা টাইগার্স। 

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) আবুধবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টি-টেন টুর্ণামেন্টের ৭ম ম্যাচে নির্ধারিত ওভারে বিনা উইকেটে ১০৩ রান সংগ্রহ করে মোসাদ্দেক হোসাইনের দল। জবাবে মাত্র অষ্টম ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলা টাইগার্স। 

মারাঠা এ্যারাবিয়ান্স বোলারদের বিপক্ষে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় আফিফ-ফ্লেচারদের দল। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। তার ১৬ বলের এই ঝড়ো ইনিংসে ছিল দুটি করে চার ও ছক্কার মার। আউট হওয়ার আগেই স্বদেশী জনসন চার্লসের সঙ্গে মাত্র তিন ওভারেই ৩৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। যাতে চার্লসের অবদান ছিল ১১ বলে ২৩ রান। তিনিও হাঁকান সমান দুটি করে চার ও ছক্কা।

এরপর দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়ার কাজটি করেন তরুণ টাইগার আফিফ হোসাইন। মাত্র ১০ বল খেলে দুটি ছক্কা ও একটি চারের মারে ২২ রান করে আউট হন আফিফ। এছাড়া চেরাগ সুরির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭ বলে ১৯ রান। তিনিও আফিফের সমান বাউন্ডারি হাঁকান। যাতে ২ ওভার হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বাংলা টাইগার্স। মারাঠার হয়ে মুক্তার আলী, সোহাগ গাজী ও ইয়ামিন আহমাদজাই ১টি করে উইকেট লাভ করেন। 

এদিকে, এর ফলে দুই ম্যাচে এক জয় নিয়ে এ গ্রুপ থেকে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে ফ্লেচারের দল। অন্যদিকে, তিন ম্যাচে দুই হারে তিন নাম্বারে মোসাদ্দেকের দল।

এর আগে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে টস জিতে মারাঠা এ্যারাবিয়ান্সকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলা টাইগার্স। তবে অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচারের এই সিন্ধান্তকে স্বাগত জানাতে পারেননি দলের বোলাররা। মোহাম্মদ ইরফান, মুজিব উর রহমান, কাইস আহমাদ, জর্জ গার্টন ও করিম জানাতের সমন্বয়ে গঠিত বোলিং আক্রমণকে একেবারেই তুনোধুনো করে নির্বিঘ্নে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটান মারাঠার দুই ওপেনার।

প্রথম পাঁচ ওভারে দেখেশুনে খেলে মাত্র ৩৭ রান তুললেও পরের পাঁচ ওভারে রানের বন্যা বইয়ে দেন মোহাম্মদ হাফিজ ও আব্দুল শাকুর। একে একে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ পাঁচ ওভারে আরও ৬৬ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। দলের কোনও ক্ষতি হতে না দিয়েই দলের রানকে একশ পার করেন তারা। 

এরমধ্যে নিজের ফিফটি তুলে নেন প্রফেসর খ্যাত হাফিজ। মাত্র ৩০ বল খেলে সাতটি চার ও তিনটি চক্কা হাঁকিয়ে ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন এই ওপেনার। ওপর প্রান্তে তাকে যোগ্য সঙ্গ দেয়া আরেক ওপেনার আব্দুল শাকুর অপরাজিত থাকেন সমান বল খেলে ৩৪ রান করে। যাতে ছিল তিনটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার। 

ওপেনিং জুটিতে এই টুর্ণামেন্টে এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।বাংলা টাইগার্স বোলারদের মধ্যে কেউ সাফল্য না পেলেও রান কম দেয়ার ক্ষেত্রে সফল ছিলেন একমাত্র কাইস আহমাদ। ২ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করেন এই আফগানি। বাকিরা ছিলেন রান দেয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধহস্ত। যাতে ১০৩ রানের স্কোর গড়ে মোসাদ্দেক বাহিনী।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!