ঢাকা: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরির কীর্তিটা আছে তার। টি-টেন সংস্করণটা যদিও এখনো আইসিসি স্বীকৃত নয়, তবু এই সংস্করণের প্রথম সেঞ্চুরিটাও মারাঠা অ্যারাবিয়ান্সের বিপক্ষে করতে চলেছিলেন ক্রিস গেইল। যদিও শেষমেশ সেটা আর হয়নি, তবু ক্যারিবিয়ানস এই ব্যাটসম্যানের ২২ বলে অপরাজিত ৮৪ তে ভর করে তার দল টিম আবুধাবি ৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করেছে মাত্র ৬ ওভারে!
আলিশান শারাফুর ৩৩, মোক্তার আলির ১৪ আর মোহাম্মদ হাফিজের ২০ আর শোয়েব মালিকের ১৫ রানের ছোট ছোট অবদানে ভর করে বুধবার রাতে মারাঠা ৯৮ রানের লড়াকু এক লক্ষ্য দাঁড় করিয়েছিল টিম আবুধাবির সামনে। তবে প্রতিপক্ষ দলে গেইলের মতো এক ব্যাটসম্যান ছন্দে থাকলে যা হয়, সে লক্ষ্য আবুধাবি তাড়া করেছে মাত্র ৫.৩ ওভারে।
‘বড়’ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গেইল শুরু থেকেই ছিলেন স্বরূপে। প্রথম দুই বল খেলেছেন দেখেশুনে, তিন নম্বর বলটায় ইয়ামিন আহমাদজাইকে ছক্কা হাঁকালেন। এরপর থেকে আর কোনো বলই ‘নষ্ট’ করেননি তিনি। ৯ ছক্কা আর ৬টি চারের সাহায্যে মাত্র করেন ২২ বলে করেন ৮৪।
ম্যাচটায় কিছুটা আফসোসও কি সঙ্গী হয়েছিল তার? যে ছন্দে খেলছিলেন, লক্ষ্যটা আরেকটু বড় হলে হয়তো হয়ে যেত ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টেন সেঞ্চুরিটাও! তবে যা হয়েছে তাও কম কী? যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই দ্রুততম অর্ধশতক বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি, দ্বিতীয়বারের মতো।
২০০৭ সালে যুবরাজ সিংয়ের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ বলে অর্ধশতকের কীর্তি ছুঁয়েছেন টিম আবুধাবির এই ওপেনার। তবে এ কীর্তি ছোঁয়ার স্বাদটা অবশ্য প্রথমবারের মতো পাননি তিনি। অর্ধশতক ছুঁয়েছেন মাত্র ১২ বলে, যে কোনো ফরম্যাটের ক্রিকেটেই যা তার দ্রুততম। এর আগে ২০১৬ বিগব্যাশে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ১২ বলে ৫০ ছুঁয়েছিলেন তিনি। নিজেকে ‘ইউনিভার্স বস’ তো আর এমনিই দাবি করেন না গেইল!
সোনালীনিউজ/এইচএন
আপনার মতামত লিখুন :