ঢাকা : ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চতুর্দশ আসরের নিলাম শুরু হয়েছে। এক মৌসুম বিরতি দিয়ে আবারো আইপিএলে ফিরলেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে ভিত্তিমূল্যে কিনে নিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। নিলামে মুস্তাফিজুর রহমানের ভিত্তিমূল্য ছিল ১ কোটি টাকা। তার নাম ওঠার পর রাজস্থান ছাড়া আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি। ফলে ভিত্তিমূল্যেই তাকে কিনে নেয় দলটি।
এদিকে চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নিলাম থেকে মুস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিয়ে রাজস্থান বাজিমাৎ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গৌতম গম্ভীর। প্রথম মৌসুমে ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসনরা থাকলেও হায়দরাবাদের শিরোপা জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন গম্ভীর।
মুস্তাফিজকে রাজস্থান দলে নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই নিলামের বাজিমাৎ ফিজ। রাজস্থান তাঁকে ভিত্তিমূল্যে দলে নিয়ে দারুণ কৌশল দেখিয়েছে। এখনও মনে পড়ে যখন সানরাইজার্সকে একাহাতে আইপিএল শিরোপা এনে দিয়েছিল। যদিও সেখানে ওয়ার্নার, কেন এবং অন্যরা ছিল বোলিং আক্রমণে। সে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল দলকে শিরোপা জেতাতে।’
এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মুস্তাফিজকে আইপিএলের মাঠ মাতাতে দেখা গিয়েছিল। ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম ১ কোটি ৪০ লক্ষ রুপিতে মুস্তাফিজকে দলে নিয়েছিল হায়দরাবাদ। সেবার বল হাতে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। ১৬ ম্যাচে তাঁর উইকেট সংখ্যা ছিল ১৭ টি।
একইসঙ্গে প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টুর্নামেন্টের উদীয়মান ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। দলটিকে শিরোপা জেতাতেও তাঁর অবদান কম ছিল না। বলতে গেলে একাই ফ্র্যাঞ্চাইজিটিকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। ফলে মুস্তাফিজকে পরের মৌসুমের জন্য দলে রেখে দিয়েছিল হায়দরাবাদ।
অথচ পরের বছর ফ্র্যাঞ্চাইটির হয়ে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র একটি। তাতে তাঁকে ছেড়ে দিয়েছিল হায়দরাবাদ। হায়দরাবাদ ছেড়ে দেয়ার পর সেই বছর নিলামে মাধ্যমে ২ কোটি ২০ লক্ষ রুপিতে তাকে দলে নিয়েছিল মুম্বাই। দলটির হয়ে ৭ ম্যাচ খেলে মুস্তাফিজের শিকার ছিল ৭ উইকেট। ২০২১ সালের জন্য ১ কোটি রুপিতে এই কাটার মাস্টারকে দলে ভেড়াল রাজস্থান। পুরনো দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে মুস্তাফিজ এখন পর্যন্ত আইপিএলে ম্যাচ খেলেছেন ২৫ টি। যেখানে বাঁহাতের পেস বোলিংয়ে ৭.৫১ ইকোনমিতে তিনি নিয়েছেন ২৫ উইকেট।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :