ঢাকা : ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে মাঠের বাইরের খবরেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গন সরগরম ছিল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘ব্যাডবয়’খ্যাত অলরাউন্ডার নাসির হোসেনের বিয়ে নিয়ে রীতিমতো লংকাকাণ্ড বেঁধে গিয়েছিল। আগের স্বামীকে তালাক না নিয়েই নাসিরের সঙ্গে সংসার পেতেছেন ক্যাবিন ক্রু তামিমা তাম্মি— এমন অভিযোগ করেন রাকিব হাসান নামে এক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে তামিমার স্বামী বলে দাবি করেন।
বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে রাকিবের অভিযোগ আংশিক স্বীকার করেন নাসির ও তামিমা। রাকিবকে আগের স্বামী বললেও সব নিয়মকানুন মেনে তালাক দিয়েই তিনি নাসিরের ঘরণি হয়েছেন বলে দাবি করেন তামিমা।
নতুন করে আবারও নাসির জানিয়েছেন, আগের সংসারের ইতি টেনেই স্ত্রী তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন।
রোববার (২১ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে নাসির জানান, শিগগিরই তামিমার সঙ্গে তার বিয়ের বৈধতা নিরূপণে কাগজপত্র দেখানো হবে।
মিরপুর গ্রাউন্ডে নাসিরকে পেয়ে সাংবাদিকরা সেই বিতর্কিত বিষয়টি আলোচনায় আনেন। জবাবে নাসির বলেন, এটুকুই এখন বলি— ‘আমরা এতটা গাধা না যে ডিভোর্স না দিয়ে বিয়ে করব। আমি যা-ই করেছি লিগ্যালি করেছি। হয়তো সংবাদ সম্মেলন ডেকে আপনাদের বিস্তারিত দেখিয়ে দেব। আমরা সব কাগজপত্র সেভাবে দেখাইনি এখনও। ২-৩ জন ইউটিউবার এসব নিয়ে খবর প্রচার করছে আর মানুষজন এতটাই অশিক্ষিত, একতরফাভাবে এসব শুনে মাতামাতি করছে।’
এদিকে ব্যক্তিগত জীবনের এসব বিষয় খেলায় প্রভাব ফেলবে কিনা প্রশ্নে নাসির বলেন, ‘এটা ক্রিকেট মাঠ। এখানে খেলতে এলে আমার মাথায় বাইরের চিন্তা থাকে না। কোনো খেলোয়াড়েরই থাকে না। বাইরে যাই হোক না কেন, ব্যাটিং-বোলিং করার সময় এসব চিন্তা থাকে না।’
উল্লেখ্য, গত ভালোবাসা দিবসে প্রেমিকা তামিমাকে জমকালো উদযাপনে বিয়ে করেন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন। বিয়ের সপ্তাহ না গড়াতেই নাসিরের স্ত্রীর নামে জিডি করেন রাকিব হাসান। রাকিবের অভিযোগ– নাসির তার স্ত্রীকে বিয়ে করেছে। নাসিরকে বিয়ের আগে তামিমা রাকিবকে ডিভোর্স দেননি। ওই সংসারে তাদের আট বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে।
এ নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রল শুরু হয়। নাসির-তামিমার বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ডিভোর্স পেপার ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অভিযোগে নাসির হোসেন ও তামিমার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। এর পরই সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্য হন নাসির-তামিমা।
সেদিন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে নাসির হোসেন বলেন, ‘এতদিন ও শুধু তামিমা ছিল। আজ থেকে তামিমা হোসেন। আমি চাইব না কেউ কোনোভাবে ওর বিরুদ্ধে কিছু বলুক। যারাই যেখান থেকে কিছু বলবে, আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।’
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :