ঢাকা : দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে শ্রীলঙ্কায় গেছে বাংলাদেশ দল। করোনাভাইরাসের কারণে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে হচ্ছে এই সিরিজ। দুই ম্যাচের সূচিই ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। যেখানে প্রথম ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্র হয়। উইকেট ছিল ব্যাটিংবান্ধব। তবে একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট হলেও এবার উইকেট সাহায্য করবে বোলারদের। বাংলাদেশ দলের টিম লিডার খালেদ মাহমুদ সুজন যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে হাসবেন তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজরা।
সোমবার শ্রীলঙ্কা থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় সুজন জানান, ‘আগের টেস্টের উইকেট একদম ফ্লাট ছিল। এমন উইকেটে টেস্টের রেজাল্ট বের করা খুব কঠিন। দ্বিতীয় টেস্টে আমাদের জন্য অন্য রকম কিছু অপেক্ষা করছে। ধারণা করছি সিমিং উইকেট হতে পারে, কতটুকু সিমিং হবে আমরা জানি না। মঙ্গলবার উইকেট দেখে ধারণা দিতে পারব। হয়তো কিছুটা স্পিনও ধরতে পারে। কিন্তু ফ্লাট উইকেট হবে না, এতটুকু নিশ্চয়তা আমি দিতে পারি। কারণ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা দলও এমন উইকেট পছন্দ করেনি।’
সঙ্গে যোগ করেন সুজন, ‘এই (আগের ম্যাচের) উইকেটে টেস্ট ম্যাচ জেতানো, বোলারদের জন্য খুবই কঠিন, ২০ উইকেট তোলা। আর আমাদের বোলিং আক্রমণের চেয়ে তো ওদের পেস বোলিং আক্রমণ বেশি অভিজ্ঞ। হয়তো বা আমরা স্পিনারদের দিক থেকে অভিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পেস বোলারদের দিক দিয়ে ওরা অভিজ্ঞ। ওরাও কিন্তু এখান থেকে উইকেট তুলতে পারেনি। আমরা আশা করছি পরের ম্যাচে এর থেকে ভালো উইকেট পাবো।’
যদিও ক্যান্ডির প্রথম টেস্টের উইকেট ব্যাটসম্যানদের সাহায্য করেছে, তবে লাভ হয়েছে বাংলাদেশ দলের। এর আগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে কোনো পয়েন্ট ছিল না টাইগারদের। অবশেষে সে খরা ঘুচেছে। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ড্র করে ২০ পয়েন্ট পেয়েছে অধিনায়ক মুমিনুল হকের দল। বিদেশের মাটিতে টেস্ট ড্র করে চ্যাম্পিয়নশিপের খাতায় পয়েন্ট তুলে তৃপ্ত মুমিনুল।
উইকেট থেকে ব্যাটসম্যানরা সাহায্য পেলেও শান্ত-মুমিনুলদের অর্জন খাটো করে দেখছেন না সুজন, ‘যেভাবে ছেলেরা ব্যাট করেছে তাতে আমি খুব খুশি। সত্যি কথা বলতে তামিমের দুইটা ইনিংসই আউটস্ট্যান্ডিং। প্রথম ইনিংসের নকটাতো আমাদের পুরো ড্রেসিংরুমের আবহই পরিবর্তন করে দিয়েছে। চাপের মুখে শান্ত যেভাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করেছে তা নিঃসন্দেহে ব্রিলিয়ান্ট। মুমিনুলকে নিয়ে কথা দেশের মাটিতে ছাড়া রান করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে আমি মনে করি মুমিনুলও দারুণ ব্যাট করেছে। মুশফিক, লিটন দুজনেও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে দলকে।’ বোলাররা খুব বেশি সুবিধা করতে না পারলেও প্রশংসা বন্যায় ভাসান সুজন, ‘আমি খুব খুশি তাসকিন যেভাবে বল করেছে। এবং এবাদতও, আমি মনে করি জোরে বল করেছে, এফোর্ট দিয়েছে। এই গরমে এত সহজ ছিল না। তাসকিন তো প্রায় ৩০ ওভার বল করেছে। গ্রেট এফোর্ট।’
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :