• ঢাকা
  • শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১
টোকিও অলিম্পিক

অনন্য এক কীর্তি গড়ার অপেক্ষায় সানিয়া মির্জা 


ক্রীড়া ডেস্ক জুলাই ২৪, ২০২১, ০৬:৩৯ পিএম
অনন্য এক কীর্তি গড়ার অপেক্ষায় সানিয়া মির্জা 

ঢাকা: অনন্য এক কীর্তির গড়ার অপেক্ষায় ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। রোববার অলিম্পিকে নারী দ্বৈত বিভাগে ইউক্রেনের বিপক্ষে মাঠে নামলেই ভারতের প্রথম মহিলা অ্যাথলেট হিসেবে চারটি অলিম্পিকে খেলার রেকর্ড করবেন তিনি। কয়েক মাস আগেও যে রেকর্ডের কথা ভাবতেও পারেননি সানিয়া। 

কারণ নির্ধারিত সময়ে অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হলে এমন রেকর্ড গড়া হতো না এই টেনিস তারকার। ওই সময়ে যে মাতৃত্বের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। তাই করোনার কারণে অলিম্পিক না পেছালে হয়তো খেলাই হতো না তার। 

ভারতীয় এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সানিয়া বলেন, ‘চারটা অলিম্পিকে নামার কথা কেউই ভাবতে পারে না। যখন খেলা শুরু করেছিলাম, আমি ভাবিনি। এমন অর্জন সহজ কিছু নয় আদৌ। তবে আমার ক্ষেত্রে বিষয়টা আরও বেশি কঠিনই ছিল। ইজহান (সানিয়ার ছেলে) জন্ম নেওয়ার পর আমার জীবনযাত্রাই পাল্টে গেছে। তখন আমি জানতামই না আবার কবে কোর্টে নামতে পারব।’

সানিয়া জানান, কোর্টে ফেরার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাসটা ছিল তার। তার ভাষ্য, ‘আবার টেনিস শুরু করব, এই আত্মবিশ্বাসটা ছিল। তবে সেটা কবে থেকে, সেটা জানতাম না। এ কারণেই অলিম্পিকে খেলার কথা তখন মাথাতে আনিনি। তখনকার কথা নাহয় বাদই দিচ্ছি, কয়েক মাস আগে যখন অনুশীলন শুরু করলাম, তখনও তো অলিম্পিক নিয়ে ভাবিনি। কিন্তু তারপর যত দিন এগিয়েছে, তত মনে হয়েছে পারব। সেটাই পারলাম।’

তবে আগের তিন বারের চেয়ে এবারের আসরটা সানিয়ার জন্য একটু আলাদা। তিনি বলেন, ‘আগের তিনটে অলিম্পিকে নামা, আর এ বার নামার মধ্যে একটু তফাৎ আছে। এ বার মা হয়ে নেমেছি। এটা একটা বিশেষ অনুভূতি।’

অনিশ্চয়তার আরেকটা কারণ ছিল চলমান মহামারিও। সানিয়া বললেন, ‘কোভিডের জন্য আমাদের প্রত্যেককে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। একটা সময়ে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না, কোনও পরিকল্পনা করা যাচ্ছিল না। কিন্তু হয়ত টেনিসের প্রতি ভালবাসা এবং দেশের প্রতিনিধিত্ব করার উত্তেজনাই আমাকে তৈরি করে দিয়েছে।’

উল্লেখ্য, রোববার টেনিসের নারী ডাবলসে সানিয়া জুটি গড়বেন অঙ্কিতা রায়নার সঙ্গে। প্রতিপক্ষ ইউক্রেন। যাদের বিপক্ষে কোর্টে নামলেই ভারতের প্রথম নারী অ্যাথলেট হিসেবে চার অলিম্পিকে খেলার নজির গড়বেন সানিয়া।

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!