ঢাকা: পিএসজির সঙ্গে দুই বছরের চুক্তি করেছেন লিওনেল মেসি। চাইলে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়াতে পারবেন বার্সেলোনার সাবেক এ ফরোয়ার্ড।
বেতন-ভাতা মিলিয়ে ক্লাবটিতে বছরে ৩ কোটি ৫০ লাখ ইউরো পারিশ্রমিক পাবেন তিনি। পিএসজিকে খেলোয়াড়দের বার্ষিক বেতন বাবদ প্রচুর অর্থই খরচ করতে হচ্ছে- ২৫ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড।
বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৯৫৭ কোটি। সেই হিসেবে মেসির মতো খেলোয়াড়ের পেছনে হোটেল-খরচ বাবদ বিশাল অঙ্কের অর্থ খরচ করবেন না তা কী করে হয়।
প্যারিসের লে রয়্যাল মনচিআও হোটেলে থাকছেন মেসি। পিএসজি তাকে বাড়ি খুঁজে না দেওয়া পর্যন্ত মেসি এ হোটেলেই থাকবেন। পিএসজির মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেস থেকে হোটেলটি মাত্র ১৫ মিনিটের পথ।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতি রাতে এই হোটেলের ভাড়া ১৭ হাজার পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ২০ লাখ টাকা। ১৯২৮ সালে যাত্রা শুরু করা এ হোটেল শিল্পী, সেলিব্রিটি ও বুদ্ধিজীবীদের দেখা করার জায়গা।
নেইমারও এই হোটেলে থেকেছেন। বার্সেলোনা ছেড়ে ২০১৭ সালে তিনি পিএসজিতে যোগ দেওয়ার সময় এই রয়্যাল মনচিআও হোটেলেই ছিলেন। প্যারিসের সবচেয়ে বিলাসবহুল অঞ্চলে অবস্থিত মনচিআও হোটেল। হোটেলটিতে প্রায় সময়ই নানা রকম চিত্র প্রদর্শনী হয়ে থাকে। একঘেয়েমি কাটাতে এসব প্রদর্শনীতে সময় কাটাতে পারে মেসি ও তার পরিবার।
২৩ মিটার লম্বা সুইমিং পুল (প্যারিসে হোটেলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়), সিনেমা দেখার ব্যক্তিগত জায়গা ছাড়াও ছয়টি বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট রয়েছে এ হোটেলে। মাতসুইশা রেস্টুরেন্ট এর মধ্যে সবচেয়ে খ্যাতিমান খাবার জায়গা। জাপানিজ থেকে পেরুভিয়ান রসুইঘরের খাবার পরিবেশন করা হয় এখানে।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :