ঢাকা: নাজিবউল্লাহ জাদরানের ব্যাটে স্বস্তি খুঁজে পেয়েছিল আফগানিস্তান। তার হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসে দল একশ পার করে ১৭ ওভার শেষে, চার উইকেটের বিনিময়ে। শেষ পর্যন্ত আফগানদের স্কোর ১২৪ রান। নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে এ সংগ্রহ গড়েছে নবীর দল।
ভারতকে বাড়ি পাঠিয়ে সেমিতে জায়গা করে নিতে এ লক্ষ্য তাড়া করলেই হবে কিউইদের। নবম ওভারে জিমি নিশামের শেষ দুই বলে চার, তারপর ১৪তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারকে দুইবার ছক্কা হাঁকালেন। নাজিবউল্লাহ জাদরান ছিলেন এমন আগ্রাসী। তাতে ৩৩ বলে এসে গেল হাফ সেঞ্চুরি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ ফিফটি। ১৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর গুলবাদিন নাইবের সঙ্গে ৩৭ রানের দারুণ জুটি গড়েছিলেন জাদরান।
পাঁচ ম্যাচেই নিউ জিল্যান্ডের ইশ সোধি প্রথম ওভারেই বল হাতে নিয়ে উইকেট পান। ১৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আফগানিস্তানের হয়ে ক্রিজে থিতু হতে সময় নেন নাজিবউল্লাহ জাদরান ও গুলবাদিন নাইব। এই জুটিতে পঞ্চাশ পার হয় দল। নবম ওভারে জিমি নিশামের শেষ দুই বলে চার মেরে মারমুখী জাদরান। আগে-পরে আরো দুটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। অন্য প্রান্ত আগলে খেলতে থাকা গুলবাদিন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইশ সোধির বলে বোল্ড হন দশম ওভারের শেষ ডেলিভারিতে।
পাওয়ার প্লের প্রথম ৬ ওভারে বিবর্ণ ছিল আফগানিস্তান। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩ রান করেছে তারা। নিউ জিল্যান্ডের বোলাররা ২৬টি ডট বল দিয়েছেন।
শাহজাদের বিদায়ের পরের ওভারেই ট্রেন্ট বোল্ট পেলেন সাফল্য। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে আরেক ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই ফ্লিক করে মিডউইকেটে মিচেল স্যান্টনারের সহজ ক্যাচ হন। মাত্র ২ রান করেন জাজাই। ৩.১ ওভারে ২ উইকেটে আফগানিস্তান করেছে ১২ রান।
টিম সাউদি বোলিং শুরু করেন। মোহাম্মদ শাহজাদ ও হযরতউল্লাহ জাজাই ওপেনিংয়ে। ৮ রানে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি মেরে মারমুখী ইনিংসের আভাস দেওয়া শাহজাদ ৪ রান করে ফিরে যান।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :