• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া


ক্রীড়া ডেস্ক নভেম্বর ১১, ২০২১, ১১:৫২ পিএম
পাকিস্তানকে কাঁদিয়ে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা: ডেভিড ওয়ার্নার বড় একটা ভুলই করে বসেছিলেন। শাদাব খানের অফ স্টাম্পের বাইরে পড়া বলটি স্টিয়ার করতে গিয়েছিলেন।

কিন্তু সেটি চলে যায় উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে। আবেদনে সাড়াও দিলেন আম্পায়ার। কিন্তু ওয়ার্নারও রিভিউ না দিয়ে হাঁটা দিয়েছিলেন। 

পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল বল ওয়ার্নারের ব্যাটেই লাগেনি। এমন একটা ভুলের পর পথ হারিয়ে বসেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কাস স্টয়নিস আর ম্যাথু ওয়েডের কার্যকর এক জুটিতে পাকিস্তানের হৃদয় ভেঙেছে অস্ট্রেলিয়া। 

পাকিস্তানের ১৭৬ রানের বড় সংগ্রহ অসম্ভব দৃঢ়তায় পেরিয়ে গেছে তারা। ওয়েডের ব্যাট থেকে এসেছে অবিশ্বাস্য এক ইনিংস-১৭ বলে ৪১ রানের। ৫ উইকেটের জয় নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তারা।

টানটান উত্তেজনা আর শ্বাসরূদ্ধকর সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখল বিশ্ব। ১৮তম ওভার পর্যন্ত দুই দলেরই আশা বেঁচেছিল। তবে শেষ দিকে মার্কুস স্টইনিস আর ম্যাথিউ ওয়েডের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত পাকিস্তানকে মাটিতে নামাল অজিরা। এ দুই তারকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

১৯তম ওভারে ম্যাথিউ ওয়ের তিন ছক্কায় পাকিস্তানের সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে গেল। আজ দুবাইয়ে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রিজওয়ানের ৫২ বলে ৬৯ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। এরপর ঝড় তুলেন ফখর জামান। ৩ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ৩২ বালে ৫৫ রানের ইনিংস খেললেন। এ দুই ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৭ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয় পাকিস্তান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে উইকেট হারায় অজিরা। প্রথম ওভারেই মাত্র ১ রানে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চের উইকেট তুলে নেন আফ্রিদি। ফিঞ্চ রানের খাতা খুলতেই পারেননি। এরপর শুরু হয় শাদাব খানের ঘূর্ণিবলের ভেলকি। শাদাবের বলে ৬ বলে ৫ রানেই সাজঘরে ফেরেন স্টিভেন স্মিথ। 

শুরুতে চাপের মধ্যে পড়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন ওয়ার্নার। তিনে ব্যাটিংয়ে নামা মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে ৩৬ বলে ৫১ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার। এ সময় ফের অজি শিবিরে আঘাত হানলেন শাদাব খান। ২২ বলে ২৮ রানে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা মিচেল মার্শকে আউট করেন।

৭৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়েও ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে ভর করে ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল অস্ট্রেলিয়া। হাফসেঞ্চুরির দুয়ারে পৌঁছে গিয়ে বিপদজনক হয়ে উঠেছিলেন ওয়ার্নার। সেই ওয়ার্নারকে হাফসেঞ্চুরি করতে দেননি শাদাব। শাদাবের বলে উইকেটকিপার রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ওয়ার্নার।  ৮৯ রানে ৪র্থ উইকেটটি হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলের হাল ধরতে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এবার ম্যাক্সকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে দেননি শাদাব।

১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শাদাবের বলে হারিস রউফের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ম্যাক্স। ১০ বলে ৭ রান করেই শেষ হয়েএ অলরাউন্ডারের ইনিংস।ম্যাক্সওয়েলকে দিয়ে নিজের ৪র্থতম উইকেট শিকার করেন শাদাব। শাদাবের ঘূর্ণিতে লণ্ডভণ্ড হয়ে ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর অবশ্য অলরাউন্ডার মার্কুস স্টইনিসের ব্যাটে ভর করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাথিউ ওয়েডকে নিয়ে জুটি বড় করে যাচ্ছিলেন স্টইনিস। 

শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন পড়ে ৩৭ রানের। হাতে ৫ উইকেট। খেলার এই পর্যায়ে টান টান উত্তেজনা। হাসান আলির সেই ওভারে ছক্কা হাকিয়ে ১৫ রান তোলেন ওয়েড। অর্থাৎ ১২ বলে প্রয়োজন ২১ রানের। ১৯তম ওভারটি করেন শাহিন আফ্রিদি।

শাহিন আফ্রিদির পেসকে কাজে লাগিয়ে স্কুপ শটে ছক্কা হাঁকান ওয়েড। পরের বলকেও ছক্কা হাঁকান ওয়েড। পরের বলকেও ছক্কা হাঁকান ওয়েড। সেই ওভার থেকে আসে ২২ রান। এক ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।    

সোনালীনিউজ/এআর

Wordbridge School
Link copied!