• ঢাকা
  • শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

লেভানদভস্কির রেকর্ডগড়া হ্যাটট্রিক, কোয়ার্টারে বায়ার্ন


ক্রীড়া ডেস্ক মার্চ ৯, ২০২২, ১২:৫৬ পিএম
লেভানদভস্কির রেকর্ডগড়া হ্যাটট্রিক, কোয়ার্টারে বায়ার্ন

ঢাকা : খেলা শুরুর পর হ্যাটট্রিক করতে রবার্ত লেভানদভস্কির লাগে মাত্র ২৩ মিনিট! চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে হিসেব করলে সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড এটি। আর এই পোলিশ স্ট্রাইকারের পথ ধরে গোল পান সার্জ গ্যানাব্রি, টমাস মুলার ও লেরয় সানে। এতে সালজবুর্গকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে দেয় বায়ার্ন মিউনিখ।

আর এই বিশাল জয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয় ইউলিয়ান নাগেলসমানের শিষ্যরা।

মঙ্গলবার (৮ মার্চ) রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ৭-১ গোলে সালজবুর্গকে বিধ্বস্ত করেছে বায়ার্ন। দুই দলের প্রথম লেগ ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৮-২ ব্যবধানে এগিয়ে আসরের শেষ আটের টিকিট পেয়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা।

ঘরের মাঠে আগের লেগে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিয়েছিল সালজবুর্গ। অস্ট্রিয়ান ক্লাবটির বিপক্ষে শেষ সময়ের গোলে হার এড়িয়েছিল জার্মান পরাশক্তি বায়ার্ন।

প্রথম লেগে জয়হীন থাকা বায়ার্ন এই ম্যাচে প্রথম থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ করা শুরু করে। লেভা-নাব্রি-মুলারদের একের পর এক আক্রমণ আছড়ে পড়তে থাকে সালজবুর্গের রক্ষণভাগে। ২৩ মিনিট জেতে না জেতেই নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করে ফেলেন লেভানদভস্কি।

১১ মিনিটের ব্যবধানে তিনবার সফরকারীদের জালে বল পাঠিয়ে বায়ার্নকে শুরুতেই চালকের আসনে বসান লেভানদভস্কি। দ্বাদশ মিনিটে পেনাল্টি থেকে লক্ষ্যভেদ করার পর ২১তম মিনিটে আরেকটি সফল স্পট-কিক নেন তিনি। দুবারই প্রতিপক্ষের ডি-বক্সের মধ্যে ফাউলের শিকার হয়েছিলেন তিনি। ২৩তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ হয় তার।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে হিসাব করলে সবচেয়ে কম সময়ে হ্যাটট্রিকের রেকর্ড এটি। আগের রেকর্ডটি ছিল মার্কো সিমোনের। ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের হয়ে রোসেনবোর্গের বিপক্ষে ২৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।

বিরতির আগেই ব্যবধান আরও বাড়ায় বাভারিয়ানরা। ৩১তম মিনিটে কিংসলে কোমানের পাসে নিশানা ভেদ করেন জার্মান ফরোয়ার্ড গ্যানাব্রি। দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের দাপট বজায় রাখে স্বাগতিকরা। ৫৪তম মিনিটে সানের পাসে বল জালে পাঠান অভিজ্ঞ মুলার।

প্রথমার্ধটা যদি লেভানদভস্কির হয়, দ্বিতীয়ার্ধটা গোলের দিক দিয়ে নিশ্চিতভাবেই টমার মুলারের। ৫৪ মিনিটে ইয়োসুয়া কিমিখ ও সানের যুগলবন্দীতে বল পেয়ে যান মুলার। বাঁ পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান ৫-০ করে ফেলেন এই জার্মান ফরোয়ার্ড।

৭০তম মিনিটে সালজবুর্গের হয়ে ব্যবধান কমান মরিটস কাইগার্ড। ডি-বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে মানুয়েল নয়্যারকে ফাঁকি দেন তিনি। নড়ার সুযোগই পাননি এই জার্মান গোলরক্ষক।

শেষদিকে আরও দুবার সালজবুর্গের গোলরক্ষক ফিলিপ কোনকে পরাস্ত হতে হয়। ৮৩তম মিনিটে সানের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন মুলার। তিন মিনিট পর লেভানদভস্কির পাসে সানে প্রতিপক্ষের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন।

দুই লেগের সম্মিলিত ফলাফলে ৮-২ ব্যবধানে পরের রাউন্ডে উঠে যায় বায়ার্ন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!