ঢাকা : এতো দিন দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়াটা স্বপ্নের মতো ব্যাপার ছিল বাংলাদেশের জন্য। সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিয়েছে অবশেষে। ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলার কুড়ি বছর পর অবশেষে জয়ের দেখা ২০২২ সালে এসে।
সেঞ্চুরিয়ানে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে প্রোটিয়াদের ৩১৪ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৩৮ রানের জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটে। জোহানেসবার্গের অসমান বাউন্সের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায়ও ছিল না টাইগার ব্যাটারদের। তবে তৃতীয় ম্যাচটা সেঞ্চুয়ারিয়ানে হওয়ায় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের অন্যতম খেলোয়াড় মেহেদী মিরাজ জেতার প্রত্যাশা জানিয়ে যেমনটা বলেছেন, ‘আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি, অনেক বছর ধরেই। দেশে অনেক বড় দলের সঙ্গে আমরা সিরিজ জিতেছি। দেশের বাইরে সিরিজ জেতা হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। এরকম একটা কন্ডিশনে যদি আমরা সিরিজ জিততে পারি, তাহলে আমাদের দল অনেক ওপরে যাবে। অনেক বড় দল তখন আমাদের নিয়ে চিন্তা করবে। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব ভালো ক্রিকেট খেলতে। একজন ক্রিকেটারও অনেক আত্মবিশ্বাসী থাকে, যখন দেশের বাইরে গিয়ে সিরিজ জিতে আসে। এটার অনুভূতি অন্য পর্যায়ের।’
তামিম ইকবালের নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম জয়ের স্বাদ পাওয়া বাংলাদেশের সামনে এবার ইতিহাস গড়ার পালা। কেন না, দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জেতা উপমহাদেশের দেশগুলোর জন্য বরাবরই কঠিন। সেখানে প্রথমবার ম্যাচ জিতে সিরিজ জিততে পারলে তো ইতিহাস গড়া হবে বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচ জিতে তামিম ইকবাল বলেছিলেন, ‘আমরা সিরিজ জিততে পারি। সিরিজ জেতার সুযোগ আমাদের সামনে আছে।’
দেশ ছাড়ার আগে সাকিব আল হাসানের প্রত্যাশা ছিল অন্তত একটা ম্যাচ জেতার, ‘প্রত্যাশা তো থাকবেই যেন আমরা জিততে পারি। সিরিজ জিততে পারলে খুবই ভালো, কিন্তু একটা ম্যাচও যদি জিততে পারি আমি মনে করি ভালো একটা অর্জন হবে।’
সাকিব আল হাসানের একটা ম্যাচ জেতার আশা পূরণ হয়েছে ঠিকই, এবার সিরিজ জয়টাও জয়ে যেতে পারে তার অল-রাউন্ড নৈপুণ্যে। কেন না, এই সেঞ্চুরিয়ানে প্রথম ম্যাচে ৬৪ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :