• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ে হারলো মুস্তাফিজের দল


ক্রীড়া ডেস্ক এপ্রিল ২৩, ২০২২, ১০:০৩ এএম
বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ে হারলো মুস্তাফিজের দল

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা : মুস্তাফিজুর রহমানের দিল্লি ক্যাপিটালস একটা সময় ম্যাচ থেকে ছিটকেই গিয়েছিল। তবে শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান। তখনই তিন বলে তিন ছক্কা মেরে খেলা জমিয়ে দিলেন রভম্যান পাওয়েল। তৃতীয় বলটায় ঘটে গেল নাটক। ওবেদ ম্যাকয়ের করা কোমড় থেকে একটু উঁচুতে করা এক ফুলটস থেকে তৃতীয় ছক্কাটা মারেন পাওয়েল। মাঠে থাকা দুই ব্যাটার, ডাগআউটে বসা দিল্লির খেলোয়াড়-স্টাফরা নো বলের আবেদন করলেও তাতে আর সাড়া দেননি দুই আম্পায়ার, তৃতীয় আম্পায়ারের কাছেও সিদ্ধান্তটা ছেড়ে দিতে ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দিল্লির খেলোয়াড়রা, তাতেও আম্পায়ারদের মন গলেনি। তাতে চটে গিয়ে ডাগআউট থেকে অধিনায়ক ঋষভ পান্ত ব্যাটারদের চলে আসতে বলেন মাঠ ছেড়ে, পাওয়েল আর কুলদীপ যাদব মাঠ ছাড়তে বসলে আম্পায়াররা থামান তাদের। 

এরপর পান্ত এক স্টাফকে পাঠান আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে, তবে লাভের লাভ কিচ্ছু হয়নি। এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পরই খেলার মোমেন্টাম হারিয়ে বসে দিল্লি। প্রথম তিন বল থেকে ১৮ রান তুললেও পরের তিন বল থেকে আর ১৮ তুলতে পারেনি। ম্যাচটা হারে ১৫ রানে। এর আগে রাজস্থান রয়্যালসের ছুঁড়ে দেওয়া ২২৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষটা এমন নাটুকে হবে মনে হয়নি, কেননা শুরুটা অবশ্য তেমন বলেনি। 

ওয়াংখেড়েতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির জস বাটলার রীতিমতো তাণ্ডবই বইয়ে দেন দিল্লির বোলারদের ওপর। ৯টি করে ছক্কা আর চারে তিনি ৬৫ বলে করেন ১১৬ রান। মুস্তাফিজের শিকার হয়ে তিনি অবশেষে ফিরলেও সেটাই বড় রানের ভিত গড়ে দেয় রাজস্থানের। তাতে ভর করেই ২২২ রানের পাহাড়ে চড়ে বসে রাজস্থান।

জবাবে দলকে ঝোড়ো শুরু এনে দেওয়ার পর ১৪ বলে ২৮ করে ফেরেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর তিনে নামা সরফরাজ খানকেও খুব তাড়াতাড়িই হারায় দলটি। পৃথ্বী শ, পান্তরা মিলে সেটা সামাল দেন। তবে দশম ওভারের শেষ বলে ৯৯ রানে ফেরেন পৃথ্বী। এরপর থেকে দিল্লি উইকেট খুইয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। তাতে ম্যাচটা একটু একটু করে সরে যাচ্ছিল দিল্লির হাত থেকে। এক পর্যায়ে ১৮ বলে দলটির প্রয়োজন পড়ে ৫১ রান। ট্রেন্ট বোল্টের করা ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে দুটো ছয় মেরে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন পাওয়েল। 

তবে ১৯তম ওভারে উইকেট মেইডেন নিয়ে প্রসিধ কৃষ্ণ কাজটা একপ্রকার অসম্ভবই করে দেন দিল্লির। তাতে শেষ ওভারে মুস্তাফিজদের দরকার পড়ে ৩৬ রান। প্রথম তিন বলে তিন ছক্কায় যা কয়েক মুহূর্তের জন্য সম্ভব বলেই মনে করাচ্ছিলেন পাওয়েল। তবে আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্তের পরই আবার মোড় ঘুরে যায় খেলার। পরের তিন বল থেকে মাত্র তিন রানই তুলতে পারে দিল্লি। তাতে দারুণ রোমাঞ্চের ইঙ্গিত দেওয়া ম্যাচটা শেষ হয় দিল্লির ১৫ রানের হারে।

এই হারের ফলে মুস্তাফিজরা এখন অবস্থান করছেন আইপিএল পয়েন্ট তালিকার ছয়ে। সাত ম্যাচ থেকে তিনটিতে জিতেছে দলটি। চারে থাকা লখনৌ সুপার জায়ান্টসের সঙ্গে দলটির ব্যবধান দুই পয়েন্টের।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Wordbridge School
Link copied!