ঢাকা: আগামী ৭ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিযান।
এই দলের বিপক্ষেই ৫ জুলাই থেকে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর আছে সিলেটে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থাকছে একই গ্রুপে।
আইসিসি মঙ্গলবার বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল জানান, শুরুতে আফগানদের পাওয়ার ইতিবাচক-নেতিবাচক দুটি দিকই দেখেন তিনি।
“সূচি তো আসলে আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। যেখানে যার সঙ্গেই খেলা পড়ুক, আমাদের ভালো খেলতে হবে। আর কোন দলের সঙ্গে আগে খেলা, কোন দলের সঙ্গে পরে, এসব আসলে বিশ্বকাপের মতো আসরে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। সব ম্যাচের গুরুত্ব এখানে সমান, সব প্রতিপক্ষই কঠিন। একই মানসিকতা নিয়ে খেলতে হবে।”
“আফগানিস্তানের সঙ্গে প্রথম ম্যাচ হওয়ার একটি ভালো দিক হলো, সামনে ওদের সঙ্গে আমরা চার-পাঁচটি ম্যাচ খেলব। ওদের সম্পর্কে বিস্তারিত সব ধারণা আমাদের থাকবে। তবে ওরাও আমাদের সম্পর্কে জানবে। সেই জানাশোনা কে মাঠে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে, সেটিই হবে আসল। আমরা অবশ্যই চাইব শুরুটা ভালো করতে।”
প্রথম ম্যাচের মতো বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচও খেলবে ধর্মশালায়। প্রতিপক্ষ সেখানে ইংল্যান্ড। এই মাঠে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেখানে তামিমের পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। এই ভেন্যু নিয়ে তাই তার ও দলের কয়েকজনের ভালো ধারণা আছে। তবে সেখানকার উইকেট-কন্ডিশন ইংলিশদের পক্ষেই বেশি থাকবে বলে ধারণা তামিমের।
“ধর্মশালার উইকেটে সাধারণত পেস ও বাউন্স থাকে বেশ। বেশ ঠাণ্ডাও থাকে সেখানে। অক্টোবরে তো বেশ শীত থাকার কথা। উইকেট-কন্ডিশন অনেকটা ইংল্যান্ডের মতোই থাকবে। তবে ইংল্যান্ড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, দুর্দান্ত দল এমনিতেও। ওদের সঙ্গে চ্যালেঞ্জটা সব ভেন্যুতেই কঠিন হতো। ধর্মশালায় হয়তো একটু বেশি কঠিন হবে। বিশ্বকাপে এসব চ্যালেঞ্জ তো সামলাতে হবেই।”
আপাতত কন্ডিশন আর উইকেট নিয়েই ভাবছেন তামিম। ভারতের ৬টি ভেন্যুতে খেলা। একেক রাজ্য, একেক শহরের আবহাওয়া ভিন্ন, উইকটের আচরণও হতে পারে ভিন্ন রকম। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে প্রস্তুতি পর্বে এই জায়গাতেই বেশি জোর দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“মাত্রই সূচি দেখলাম। এখনও আসলে খুব বেশি ভাবার সুযাগ পাইনি বা ভেন্যু ধরে আলাদা করে ভাবার সুযোগ পাইনি। তবে অর্ধেক ভেন্যুতেই আমরা কখনও খেলিনি। দলে এমন অনেকেই থাকবে, যারা সব ভেন্যুতেই প্রথম খেলবে। এটা একটা চ্যালেঞ্জ। ভারত তো বিশাল দেশ। কন্ডিশন একেক জায়গায় একেকরকম। উইকেট যদিও আইসিসির তত্ত্বাবধানে হবে, তার পরও ভিন্নতা থাকতে পারে। এসব নিয়েই আমাদের কথা বলতে হবে, কাজ করতে হবে।”
“তবে সত্যি বলতে, খেলা যেখানেই হোক, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় ভালো করতে হলে সব চ্যালেঞ্জ সামলানোর প্রস্তুতিই রাখতে হবে। অনেক বড় আশা নিয়ে যাব আমরা। কোন মাঠে কোন দলের সঙ্গে খেলা হলে ভালো হতো, সেই ভাবনার সুযোগ এখানে নেই। বরং যা পেয়েছি আমরা, সেই অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিতে হবে।”
৭ ও ১০ অক্টোবর ধর্মশালায় আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে বাংলাদেশ। এরপর ১৪ অক্টোবর নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ চেন্নাইয়ে, ১৯ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে পুনেতে, ২৪ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে লড়াই মুম্বাইতে। এরপর কলকাতায় বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ। প্রথমটি ২৮ অক্টোবর বাছাই পেরিয়ে আসা দলের সঙ্গে, পরেরটি তিন দিন পর পাকিস্তানের বিপক্ষে। ৬ নভেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ খেলবে বাছাই থেকে আসা আরেক দলের সঙ্গে, প্রাথমিক পর্বের শেষ ম্যাচ পুনেতে ১২ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর শুরু আগামী ৫ অক্টোবর, ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের লড়াই দিয়ে। ফাইনাল ১৯ নভেম্বর। শুরু আর শেষের দুটি ম্যাচই হবে আহমেদাবাদে।
সোনালীনিউজ/এআর