ঢাকা: ১৪ বছর পর সাফের সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বাংলাদেশের। এবার অপেক্ষা ১৮ বছর পর ফাইনাল ওঠার। তবে বেঙ্গালুরুতে সাফের ফাইনালে খেলা কঠিনই। ১ জুলাই প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সামনে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট কুয়েত।
ফাইনালে উঠতে না পারলে অবশ্য হতাশা থাকবে না বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে উঠেই যে নিজেদের সফল ভাবছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও ( বাফুফে) খুশি।
গতকাল ভুটান ম্যাচের আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বেঙ্গালুরুতে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দেন, সেমিফাইনালে উঠতে পারলে দলকে পুরস্কার দেওয়া হবে। কত টাকা পুরস্কার দেবেন সভাপতি, তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান।
তিনি জানান, ‘সভাপতি ভুটান ম্যাচের আগেই বলেছেন, ৫০ লাখ টাকা দেবেন যদি সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।’ জানা গেছে, ফাইনালে উঠলেও বাফুফের পক্ষ থেকে পুরস্কার থাকছে। টাকার অঙ্কটা হতে পারে ৫০ লাখ।
সেমিফাইনালে উঠলে কী দেবেন, এমন প্রশ্ন ফুটবলাররা আগেই করেছেন বাফুফের সভাপতিকে। সাফে যাওয়ার আগে জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় গিয়েছিলেন তপু। সেই প্রসঙ্গ টেনে তপু বলেন, ‘সভাপতিকে সেদিনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেমিফাইনালে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা করব আমরা। সঙ্গে বলেছিলাম, সেমিতে উঠলে কিন্তু বোনাস দিতে হবে আমাদের।’
সেমিফাইনালে উঠে ফুটবলাররা এখন উজ্জীবিত। তারা ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ফুটবলাররা নেই তাদের পরিবারের কাছে। সবাই পরিবারকে মিস করেছেন। আগের রাতে ভুটানকে হারিয়ে হোটেলে ফেরার পর অনেকের ঘুম হয়নি। তার ওপর ফুটবলাররা আজ সকাল ৯টায় বেঙ্গালুরুতে ঈদের নামাজ পড়েছেন স্থানীয় রিসালদার পার্কে। হোটেল থেকে সেই পার্ক হেঁটে ৮ থেকে ১০ মিনিটের পথ। নামাজ পড়েই সবাই আবার হোটেলে ফেরেন। কোথাও ঘোরাঘুরি হয়নি। বেঙ্গালুরুতে নেই কোনো ঈদের আমেজ।
নামাজের পর হোটেলে আলাদা করে সেমাই ও পায়েসের ব্যবস্থা করা হয় ফুটবলারদের জন্য। এমনিতে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা মিষ্টি খেতে দেন না তার শিষ্যদের। বাংলাদেশের ফুটবলারদের মেন্যুতে মিষ্টি মোটামুটি নিষিদ্ধই বলা চলে। তবে ঈদের জন্য আজ হালকা একটু ছাড় দেন কোচ।
ফুটবলারদের ঈদ বলতে এটুকুই। তপু জানিয়েছেন, সাফের সেমিফাইনালে ওঠায় ফুটবলারদের সবারই মন অবশ্য ভালো। সেমিফাইনালে না উঠলে দিনটা হয়তো খারাপ যেত তাদের। আজ এমনিতে মাঠের অনুশীলন নেই। তবে জিম-সুইমিং সেশন আছে হোটেলে।
সোনালীনিউজ/এআর