ঢাকা : সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ২০০৩ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। এরপর ২০ বছর পেরিয়ে গেলেও আর শিরোপা জেতা হয়নি। সবশেষ সেমিফাইনাল খেলেছিল সেই ১৮ বছর আগে।
ভারতের বেঙ্গালুরুতে সাফের চলমান আসরে জামাল ভূঁইয়াদের সামনে সুযোগ অনেক দিনের না পারার গ্লানি দূর করার। এরই মধ্যে ১৪ বছর পর টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। এখন ২০০৫ সালের পর ফের ফাইনালে পা রাখতে হলে তাদের হারাতে হবে শক্তিশালী কুয়েতকে।
১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে খেলেছিল কুয়েত। বাংলাদেশ যাদের বিপক্ষে সবশেষ খেলেছিল সেই ৩৭ বছর আগে।
রেকর্ড বলছে এখন পর্যন্ত মাত্র দুইবার একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও কুয়েত। দুটিতেই বাংলাদেশের হার।
১৯৭৩ সালে দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ হয় মারদেকাকাপে। কুয়েত ম্যাচটা জিতে নেয় ১-২ ব্যবধানে। কুয়ালালামপুরে হয়েছিল ম্যাচটি।
এরপর বাংলাদেশ ও কুয়েতের সাক্ষাৎ ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে। সেই ম্যাচ বাংলাদেশ হেরেছিল ০-৪ ব্যবধানে।
দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সাফে কুয়েত খেলছে অতিথি দল হিসেবে। ‘এ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রতিযোগিতা শুরুর পর পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেয় ৪-০ গোলে। এরপর ভারতের বিপক্ষে ১-১ ড্র করে। তিন খেলার দুটিতে জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
বাংলাদেশ তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে রানার্সআপ হয়। আসরের আরেক অতিথি দল লেবাননের বিপক্ষে ০-২ গোলে হেরে নিজেদের মিশন শুরু করে দলটি। তবে এরপর মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে তুলে নেয় ৩-১ গোলের জয়।
লেবানন এই গ্রুপ থেকে সেরা হয়েছে। যারা সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলবে। বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে দুটি সেমিফাইনালই হবে শনিবার।
বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ৩টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও কুয়েত। আর রাত ৮টায় মুখোমুখি হবে লেবানন ও ভারত।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২। কুয়েত আছে ১৪৩তম স্থানে। তবে ভালো ফুটবল খেলে তাদের হারাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
শুক্রবার ম্যাচপূর্ব সংবাদসম্মেলনে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া যেমন বললেন, ‘কুয়েত তাদের গ্রুপে সেরা হয়েছে। এটাই ইঙ্গিত দেয় যে, তারা অনেক শক্তিশালী দল। তবে আমাদের নিজেদের ভেতরেও আত্মবিশ্বাস আছে। আমাদের এমন একটা দল আছে যারা লড়তে জানে এবং প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলতে পারে।’
দেশ রূপান্তরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দলের নির্ভরযোগ্য তারকা বিশ্বনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব। আমরা যেন ফাইনালটা খেলতে পারি। ৯০ মিনিটের খেলা, যদি ওপরওলা সহায় হন, আমার বিশ্বাস কুয়েতকেও আমরা হারাতে পারব। ব্যক্তিগতভাবে এটা আমার বিশ্বাস, ওদের হারিয়ে ফাইনাল খেলা সম্ভব। ফাইনাল খেলাটা আমার স্বপ্ন।’
সোনালীনিউজ/এমটিআই