ঢাকা: বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে শক্তিশালী কুয়েতের কাছে এক গোলে হারল বাংলাদেশ।এই পরাজয়ের ফলে সাফ থেকে বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশকে।আর লাল সবুজ জার্সিধারীদের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে উঠে গেছে কুয়েত।
শনিবার (১ জুলাই) ভারতের বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য সমতায় ছিল দুই দল।
৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ৭ মিনিটেও গোল করতে পারেনি কোনো দল। এর ফলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত (৩০ মিনিট) সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের ১৫ মিনিটের মধ্যে গোল খেয়ে বসে বাংলাদেশ।
সংঘবদ্ধ আক্রমণে বক্সের মধ্যে বল ঠেলে দেন কুয়েত মিডফিল্ডার। বক্সের মধ্যে আব্দুল্লাহর মার্কিংয়ে ছিলেন পরীক্ষিত ডিফেন্ডার তপু বর্মণ। তিনি চার্জে আসেননি আবার ঠিক মতো ব্লকও করতে পারেননি। তপুর পায়ের ফাঁক দিয়ে আব্দুল্লাহর শট জড়ায় বাংলাদেশের জালে। সেই গোল আর শোধ করা যায়নি।
এর আগে ম্যাচের প্রথমে গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। গত দুই ম্যাচে গোল করা তরুণ ফুটবলার শেখ মোরসালিন এদিন একেবারে সহজ সুযোগ মিস করেছেন। মোরসালিন বক্সের মধ্যে গোলরক্ষককে একা পান। তাকে বাধা দেওয়ার মতো সেখানে কোনো ডিফেন্ডারই ছিলেন না। এমন সুযোগ পেয়েও বল জালে পাঠাতে পারেননি তরুণ ফরোয়ার্ড।
মোরসালিনের গোল মিসের পর কুয়েত বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয়। ডিফেন্ডার ইসা ফয়সাল গোললাইন থেকে একটি বল সেভ করেন। নইলে তখনই পিছিয়ে পড়তে পারতো হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। ম্যাচের বাকি সময় বাংলাদেশ পরিকল্পিত ফুটবলই খেলেছে। জামাল ভূঁইয়া কয়েকবার রাকিব ও মোরসালিনের উদ্দেশ্যে বল ঠেলেছিলেন। কুয়েত অবশ্য সেই বিপদগুলো ঠান্ডাভাবেই মোকাবিলা করেছে।
বাংলাদেশ একাদশ:
আনিসুর রহমান জিকো (গোলরক্ষক), তপু বর্মণ, বিশ্বনাথ ঘোষ, তারিক কাজী, শেখ মোরসালিন (মোহাম্মদ ইব্রাহিম), মো. হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া (ফয়সাল আহমেদ ফাহিম), সোহেল রানা, ইশা ফয়সাল, সোহেল রানা-২ ও রাকিব হোসেন।
সোনালীনিউজ/আইএ