ঢাকা: আফগানিস্তান সিরিজের মধ্যেই দেশের ক্রিকেটাঙ্গন সরগরম ছিল তামিম ইকবালের অবসর ইস্যুতে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে তামিম ক্রিকেটে ফিরলেও করে এসেছিলেন বড় আবদার।
বিশ্বকাপে মাশরাফিকে মেন্টর হিসেবে চান। এই ইচ্ছের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান তামিম। প্রধানমন্ত্রীও দেশ সেরা এই ওপেনারের আবদার ফেলতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গে মাশরাফিকে বলেন, প্রস্তুত থাক।
তামিমের ভাষ্যমতে, প্রধানমন্ত্রীকে আমি বলেছি, মাশরাফি ভাইকে বিশ্বকাপের সময় এক-দেড় মাসের ছুটি দিন। আমরা তাকে বিশ্বকাপে মেন্টর হিসেবে পেতে চাই। প্রধানমন্ত্রী তখনই হেসে বলেছেন, অবশ্যই মাশরাফি যাবে।
প্রধানমন্ত্রী সায় দিলেও আইসিসির মেগা ইভেন্টে টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ককে বিশ্বকাপ দলের মেন্টর বা পরামর্শক হিসেবে পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
কারণ, মাশরাফিকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আনুষ্ঠানিক আলাপচারিতার জন্য তাকেই প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। তবে সেখানেও যথেষ্ট আনুষ্ঠানিকতার অভাব লক্ষণীয়।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের কথাতেও সেটি স্পষ্ট, এখন সিদ্ধান্ত তো বোর্ডের। নিশ্চয়ই মাশরাফি একজন সংসদ সদস্য, সাবেক অধিনায়ক। সে তো আসার কথা। আনুষ্ঠানিকভাবে আসুক আমাদের কাছে। সে ভালো অধিনায়ক, ভালো নেতা। বোর্ডে এলে আমরা আলাপ করব।
অন্যদিকে বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে সিরিজ হেরেছে সাকিব-শান্তরা। যা কিনা বিশ্বকাপের আগে দলের জন্য বড় ধাক্কা। এ প্রসঙ্গে বিসিবির এই পরিচালকের দাবি, এটা একটা ভালো সংকেত। অনেকের হয়তো ঘাটতি থাকতে পারে। ক্রিকেট খেলায় যেকোনো সময় অঘটন হতেই পারে।
সোনালীনিউজ/এআর