ঢাকা : ওনস জাবুর ও মার্কেতা ভনদ্রুসোভা দুজনই গ্র্যান্ড স্ল্যামের পরাজিত ফাইনালিস্ট। আজ আরেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে মুখোমুখি দুজন। যেই জিতুক, গ্র্যান্ড স্ল্যামের শিরোপা জয়ের স্বাদ পাবেন, আর উইম্বলডন পাবে নতুন চ্যাম্পিয়ন। ফাইনাল জিতে ইতিহাস গড়তে চান জাবুর। অবাছাই মার্কেতা ভনদ্রুসোভা কি পারবেন তাকে থামাতে।
তিউনিশিয়ান জাবুর গেল বছর দুটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠেই গড়েছিলেন ইতিহাস। প্রথম আফ্রিকান-আরব নারী হিসেবে উঠেছিলেন উইম্বলডন গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে। হেরে যান এলিনা রিবাকিনার কাছে। সেই রিবাকিনাকে এবার কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে প্রতিশোধ নেন। ষষ্ঠ বাছাই জাবুর পরে সেমিফাইনালে হারান দ্বিতীয় বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে। প্রথম সেট টাইব্রেকে ৭-৬ এ জেতেন সাবালেঙ্কা। ঘুরে দাঁড়িয়ে পরের দুই সেট ৬-৪, ৬-৩ জিতে ফাইনালে ওঠেন ২৮ বছরের জাবুর।
এর আগে শেষ ষোলোতে দুইবারের উইম্বলডন জয়ী পেট্রা কেভিতোভাকে। র্যাংকিংয়ের সেরা দশে থাকা তিন খেলোয়াড়কে এর আগে উইম্বলডনে হারিয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস, ২০১২-তে। কঠিন পথ পাড়ি দেওয়ার পর শিরোপা জিতেছিলেন সেরেনা। সেরেনার মতো জাবুরও ষষ্ঠ বাছাই। পাওয়া সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না এবার, ‘আমার এখন লক্ষ্য একটাই (ফাইনালে জয়)। আমি শতভাগ প্রস্তুত। আশা করছি এবার শুধু তিউনিশিয়া নয় আফ্রিকার জন্য ইতিহাস গড়ব।’
প্রতিপক্ষ ভনদ্রুসোভা র্যাংকিংয়ে তার চেয়ে ৩৬ ধাপ নিচের। তবু সতর্ক থাকছেন তিউনিশিয়ান টেনিস তারকা। ‘ফাইনাল ফাইনালই হয়। সেটা আপনি কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে খেলেন বা না খেলেন। আমার মনে হয় কঠিন হবে ম্যাচটা। দুজনের জন্যই ম্যাচটি কঠিন হতে পারে। যে আবেগ ধরে রেখে কোর্টের জন্য বেশি তৈরি থাকবে সেই ম্যাচ জিতবে।’
অপর সেমিতে অবাছাই ভনদ্রুসোভা ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিটে হারান এলিনা সিতোলিনাকে। তাতে টেনিসের উন্মুক্ত যুগে প্রথম অবাছাই খেলোয়াড় হিসেবে উইম্বলডনের নারী এককের ফাইনালে ওঠার কীর্তি গড়েন ভনদ্রুসোভা। গ্রাস কোর্টের এই টুর্নামেন্টে এর আগে কখনো দ্বিতীয় রাউন্ডই পার হতে পারেননি তিনি। এক বছর আগে ভনদ্রুসোভা বলেছিলেন, ‘যখন খেলা ক্লে-কোর্ট বা হার্ড কোর্টে আমি বলব সম্ভব।’ তবে সেই ভনদ্রুসোভাই এবার উইম্বলডনের ফাইনালে।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে খেলবেন চেক প্রজাতন্ত্রের ভনদ্রুসোভা। এর আগে ২০১৯ সালে খেলেছিলেন ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনাল। সেই ম্যাচে হেরেছিলেন অ্যাশলে বার্টির কাছে।
কব্জির অস্ত্রোপচারের পর গত বছর ৬ মাস ভনদ্রুসোভা ছিলেন কোর্টের বাইরে। গেল বছর নাইকি নিজেদের সরিয়ে নেয় ভনদ্রুসোভার স্পনসর থেকে। এবার উইম্বলডনে তার দারুণ পারফরম্যান্সের পর আবারও নতুন স্পনসর পাবেন ভনদ্রুসোভা তা বলাই যায়। এবারের উইম্বলডন নিয়ে বলেন, ‘যা হচ্ছে সেটা দারুণ। আমার লক্ষ্য এখন ফাইনাল। টেনিসে যে কোনো কিছুই হতে পারে।’
ভনদ্রুসোভার শরীরে ট্যাটু আছে। কোচের সঙ্গে তিনি বাজি ধরেছেন এই ট্যাটু নিয়ে। যদি ভনদ্রুসোভা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন, তার কোচ ট্যাটু করবেন।
র্যাংকিংয়ে জাবুর এগিয়ে থাকলেও মুখোমুখি লড়াইয়ে দুজনের জয় সমান। ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় জাবুর ও ভনদ্রুসোভার। তবে শেষ দুই লড়াইয়ে জাবুর হেরেছেন। দুটিই ২০২৩-এ। সবশেষ ইন্ডিয়ান ওয়েলসের থার্ড রাউন্ডে চেক প্রজাতন্ত্রের খেলোয়াড়ের কাছে হেরে যান জাবুর। তবে ঘাসের কোর্টে এর আগে এক দেখায় জিতেছিলেন জাবুর।
সোনালীনিউজ/এমটিআই