ঢাকা: আবারো ব্যাট হাতে আলো ছড়ালেন তাওহিদ হৃদয়। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে জাফনা কিংসের জয়ে বড় অবদান রাখলেন বাংলাদেশের তরুণ এই ব্যাটসম্যান।
এদিকে ব্যাটিংটা একেবারেই ভালো হলো না সাকিব আল হাসানের। চাপের সময় নেমে বিদায় নিলেন গল টাইটান্সের বিপদ আরও বাড়িয়ে। পরে বল হাতে ২ উইকেট নিলেও ওভার প্রতি খরচ করেন প্রায় আট করে।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে শুক্রবার ৮ উইকেটে জিতেছে জাফনা। ৪৪ বল বাকি থাকতে তারা পেরিয়ে গেছে গলের ১১৭ রান। আসরে এটি জাফনার দ্বিতীয় জয় আর সাকিবদের প্রথম হার।
রান তাড়ায় তিনে নেমে ২৩ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। গলের হয়ে পাঁচে নেমে ৯ বলে ৬ রানে থামেন সাকিব। পরে ৪ ওভারে ৩১ রানে বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নেন ২ উইকেট।
পাল্লেকেলে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে দুই ওপেনারকে হারায় গল। নবম ওভারে ফিরে যান শেভন দানিয়েল। দশম ওভারে ক্রিজে আসেন সাকিব।
জাফনার স্পিনারদের সামনে তেমন সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। ক্রমেই বাড়ছিল চাপ। চেষ্টা করেছিলেন ছক্কায় গা ঝাড়া দেওয়ার, কিন্তু সফল হননি।
ত্রয়োদশ ওভারে দুনিথ ওয়েল্লালাগেকে স্লগ করে সীমানায় ধরা পড়েন সাকিব। যতটা চেয়েছিলেন ততটা ওপরে তুলতে পারেননি, যথেষ্ট দূরেও পাঠাতে পারেননি। ব্যাট হাতে ভালো করতে পারেননি তার কোনো সতীর্থও। ৯ উইকেটে ১১৭ রানে থামে গল।
বোলিংয়ে অবশ্য শুরুতেই সাফল্য পান সাকিব। তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে বিদায় করেন চারিথ আসালঙ্কাকে।
এরপর ক্রিজে গিয়েই সিঙ্গেল নিয়ে রানের খাতা খোলেন হৃদয়। ওই ওভার থেকে আসে চার রান। ঝড় বয়ে যায় সাকিবের পরের ওভারে। শুরুটা করেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ছক্কা মেরে। পরে স্ট্রাইক পেয়ে হৃদয় টানা দুই বলে মারেন ছক্কা ও চার। ওভার থেকে আসে ১৭ রান।
রিভিউ নিয়ে ৪৮ রানে বেঁচে যাওয়া গুরবাজ ফেরেন পঞ্চাশ ছুঁয়ে। নিজের শেষ ওভারে তাকে বোল্ড করে ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন সাকিব। আফগান ওপেনার ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৯ বলে করেন ৫৪ রান।
ডেভিড মিলারকে নিয়ে বাকিটা অনায়াসে সারেন হৃদয়। আকিলা ধনাঞ্জয়াকে পরপর দুই বলে ছক্কা মেরে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। তার অন্য ছক্কাটি তাবরাইজ শামসির বলে, দারুণ ইন সাইড আউট শটে লং অফের উপর দিয়ে।
সোনালীনিউজ/এআর
আপনার মতামত লিখুন :