• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১

মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে খোয়ালেন চাকরি


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ৫, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
মেসির অটোগ্রাফ নিতে গিয়ে খোয়ালেন চাকরি

ঢাকা : প্রিয় খেলোয়াড়ের সাথে স্মরণীয় মুহূর্ত নাকি বেঁচে থাকার অবলম্বন হিসেবে একটি চাকরি। কে কোনটা বেছে নেবেন, তা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে, প্রিয় খেলোয়াড়ের নাম যদি হয় লিওনেল মেসি, তবে চাকরি বিসর্জন দেওয়ার কথাই ভাবতে পারেন অনেকে।

মেসির নতুন ক্লাব ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়ামে দেখা গেল এমন এক পাগলাটে সমর্থককে। ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা নামের সেই সমর্থক ছিলেন ইন্টার মায়ামির স্টেডিয়ামের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। জন্মগতভাবে কলম্বিয়ান হলেও আরও দশজন লাতিন আমেরিকানের মতোই লিওনেল মেসির পাগলাটে ভক্ত তিনি।

ঘটনাটি ঘটে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে। মাত্রই ফ্লোরিডা ডার্বি খেলতে বাস থেকে নেমেছেন মেসি। বাইরে থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী সালামাঞ্চা সেই সুযোগ আর হারালেন না। মেসিকে ডাক দিলেন ‘হেই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ বলে। সেইসঙ্গে দেখালেন হাতে থাকা আর্জেন্টিনার জার্সি। মেসিও তার ভক্তকে ফেরাননি। এগিয়ে গিয়ে অটোগ্রাফ দিলেন সেই ভক্তকে। আর তাতেই কপাল পুড়েছে সালামাঞ্চার।

ইন্টার মায়ামির নিয়ম অনুযায়ী, ক্লাবের কোন কর্মচারী খেলোয়াড়দের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেনা। মাত্রই নিয়োগ পাওয়া সালামাঞ্চা তা জানতেন হয়ত। তবে, মেসিকে দেখে নিজেকে সামলে রাখার চেষ্টাও করেননি তিনি।

আর্জেন্টাইন দৈনিক লা ন্যাশিওনে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন এই কলম্বিয়ান, ‘বাস যেখানে রাখা হয় সেখানে দুটো বাথরুম পরিষ্কার করাই ছিল আমার কাজ। সৌভাগ্যবশত, আমি যখন সেখানে গিয়েছিলাম, তখন বাসটা এসেছিল এবং সব খেলোয়াড় বেরিয়ে আসছিলেন। সবার শেষেই বেরিয়ে আসেন মেসি।’

‘তাকে চিৎকার করে বললাম, “এই যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন!” শুনে তিনি ফিরে তাকালেন। আমি ওপরের ইউনিফর্মটি ওপরে তুলে ধরি, যার নিচে আর্জেন্টিনার জার্সি ছিল এবং আমার সঙ্গে একটা মার্কারও ছিল। তিনি আমাকে অটোগ্রাফ দিলেন।’

আনন্দের সেই মুহুর্তের পরেই ছাঁটাই হয়েছেন সালামাঞ্চা, ‘সে আমাকে অটোগ্রাফ দিলো, সঙ্গে সঙ্গেই সিকিউরিটি এসে আমাকে নিয়ে যায় আর আমাকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করে। কিন্তু, এর মাঝে প্রতিটা সেকেন্ডই ছিল মূল্যবান।’      

চাকর হারিয়ে অবশ্য মন খারাপ করেননি ক্রিস্টিয়ান সালামাঞ্চা। সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির অটোগ্রাফ পেয়েছেবন, সাক্ষাৎ করেছেন। এমন দিনে চাকরি হারালেও আক্ষেপ নেই তার।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!