ঢাকা: অবশেষে বেতন-ভাতার দিক থেকে ঐতিহাসিক সুবিধা পেতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। এর আগে এত বেশি বেতন বৃদ্ধি হয়নি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। যার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) একে বলছে ‘ঐতিহাসিক’ পরিবর্তন।
ক্রিকেটারদের দাবি ছিল, পুরো কেন্দ্রীয় চুক্তিই ঢেলে সাজানো হোক। এর মধ্যে বেতন বৃদ্ধি তো আছেই, পাশাপাশি বিমা সুবিধা, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অংশগ্রহণের নিয়মে পরিবর্তন এবং লভ্যাংশ বণ্টনের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার দাবি ছিল বাবরদের।
পিসিবির সঙ্গে ক্রিকেটারদের ২০২২-২৩ মৌসুমের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। কিন্তু নতুন চুক্তিতে সই করেননি বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। কারণ, বেতন বাড়লেও, সেই অঙ্কে খুশি ছিলেন না ক্রিকেটাররা। মূলত ক্রিকেটারদের চাপেই ঐতিহাসিক বেতন বৃদ্ধি করতে বাধ্য হচ্ছে পিসিবি।
আর সেই মতোই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলতে না দেওয়া হলে, তার ক্ষতিপূরণসহ নানা সুযোগসুবিধে যুক্ত করা হয়েছে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। ক্রিকেট পাকিস্তানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন পিসিবি প্রধান জাকা আশরাফ।
বিশ্বের বাকি ক্রিকেট বোর্ড যেমন বেতন দেয়, সেই মতো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদেরও বেতনের দাবি করেছিলেন বাবর আজমরা। তার জন্য পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ৪৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর দাবি করেছিলেন।
নতুন চুক্তিতে তিন সংস্করণে খেলা ক্যাটাগরি 'এ' ক্রিকেটার, যেমন-বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাহিন শাহ আফ্রিদিরা মাসে পাবেন প্রায় ৪৫ লাখ পাকিস্তান রুপি (প্রায় ১৫,৯০০ ডলার)। যা আগের চেয়ে তিন গুনের বেশি। বাবর-রিজওয়ানদের আগের বেতন ছিল ১০-১২ লাখ টাকা।
ক্যাটাগরি 'বি'তে থাকা খেলোয়াড়রা মাসে ৩০ লাখ পাকিস্তানি রুপি, 'সি' এবং 'ডি' ক্যাটাগরির খেলোয়াড়রা পাবেন সাড়ে ৭ লাখ থেকে ১৫ লাখ রুপি। এছাড়া ক্রিকেটারদের অন্য খাতেও আয় বাড়ানোর কথা ভাবছে পিসিবি।
চুক্তির পুরো বিষয়টি করা হচ্ছে সাবেক তিন অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক, ইনজামাম-উল-হক ও মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে গড়া ক্রিকেট টেকনিক্যাল কমিটির সহায়তায়। পাকিস্তানের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহর নেতৃত্বে এই কমিটি ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। যে কারণে চুক্তি হওয়া নিয়ে আশাবাদী পিসিবি।
সোনালীনিউজ/এআর