• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২ পৌষ ১৪৩১

কার কাঁধে উঠছে নেতৃত্ব, তারা কী বলছেন


ক্রীড়া ডেস্ক আগস্ট ৬, ২০২৩, ১২:০৭ পিএম
কার কাঁধে উঠছে নেতৃত্ব, তারা কী বলছেন

ঢাকা: অবসর ভাঙলেও আর বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের নেতৃত্বে থাকছেন না তামিম ইকবাল। শুক্রবার (৪ আগস্ট) অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এমন অবস্থায় দেশের ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনা বলতে গেলে একটাই- কে হবেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক। এই প্রশ্নে মুখ খুলেছেন অনেকেই। এর মধ্যে খালেদ মাহমুদ সুজনের পছন্দ সাকিব আল হাসানই।

ফারুক আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ওয়ানডে দলটা তামিম ইকবাল ভালোই গুছিয়ে নিয়েছিল। এরপর যা হলো, তা আমাদের জন্য ভালো হয়নি, এটা আমি আগেও বলেছি। বিশ্বকাপে তামিমই বাংলাদেশের জন্য আদর্শ অধিনায়ক হতে পারত। কিন্তু এখন যেহেতু সেটা হচ্ছে না, আপনাকে সেরা বিকল্পটাই বেছে নিতে হবে। আর সামনে যেহেতু অনেক গুরুত্বপূর্ণ দুটি টুর্নামেন্ট আছে, আমাদের এখন স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাই করা উচিত।

অবশ্যই সাকিব আমাদের সেরা বিকল্প। সে অভিজ্ঞ, পারফর্মারও। সব সময়ই দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। সবকিছুই তার মধ্যে আছে। জাতীয় দলকে আরও অনেক কিছু দেওয়ার মতো সামর্থ্য সাকিবের আছে। সে খুবই চালাক ও বুদ্ধিদীপ্ত। সে অনেকবার সেটা প্রমাণ করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, সে পারফর্মার। অধিনায়ক যখন পারফর্ম করে, তখন তা নেতৃত্ব দিতেও সাহায্য করে। এই মুহূর্ত সাকিবকেই আদর্শ বিকল্প মনে হচ্ছে।

গাজী আশরাফ হোসেন জানান, তামিম ইকবালের চোটের মাত্রাটা যখন সবার সামনে এল, তখন পরিস্থিতি অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে একজন খেলোয়াড়ই কিন্তু নিজের শরীরটা সবচেয়ে ভালো বুঝতে পারে। তামিমের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। সে বুঝতে পেরেছে, এই চাপটা তার জন্য কঠিন হবে। এখন বিসিবি দুটি পথে চিন্তা করতে পারে, একটা সাময়িক, আরেকটা দীর্ঘমেয়াদি।

এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ যেহেতু সামনে, বিসিবি এই দুই ইভেন্টে সফলতা চাইলে সবচেয়ে ক্ষুরধার মস্তিষ্ককেই নেতৃত্বে চাইবে। তখন সাকিব আল হাসানের নাম আসবে। কিন্তু সাকিবের জন্য তিন সংস্করণের দায়িত্ব নেওয়া কঠিনও হতে পারে। এটা তার শেষ বিশ্বকাপ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। সে ক্ষেত্রে সে নিশ্চয়ই চাইবে, ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো বড় কিছু করতে। অধিনায়কত্বের চাপটা তার ওপর না থাকলেই তাই ভালো হবে বলে আমি মনে করি।

আতহার আলী খান বলেন, তামিম ইকবালের ক্ষেত্রে যা হলো, তা খুবই দুঃখজনক। অধিনায়ক হিসেবে তামিম দারুণ ছিল। আর ওপেনার তামিমের ব্যাপারে আলাদা করে নিশ্চয়ই কিছু বলার নেই। কিন্তু চোটের সঙ্গে তো আর লড়াই করা যায় না। এটা সবাইকে বুঝতে হবে, মেনে নিতে হবে। কিছু করার নেই। যেকোনো ক্রিকেটারেরই এমন অবস্থায় পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফেরা উচিত। এটার ভালো দিকটা দেখুন, সে বুঝেছে পরিস্থিতিটা কী, সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার মনে হয়, সে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দারুণভাবে ফিরে আসবে।

নাজমূল আবেদীন বলেন, তামিম ইকবালের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তটাকে সাহসী বলতেই হয়। সিদ্ধান্তটা সঠিক ও অধিনায়কোচিত। সে দলের কথাটা ভেবেছে। এখন বোর্ডের পক্ষে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়াটা সহজ হবে। আমি নিশ্চিত, সে চোট থেকে ভালোভাবে ফিরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার জন্য মরিয়া হয়ে আছে।

তামিম দায়িত্ব ছাড়ায় অধিনায়ক হিসেবে শুধু সাকিব আল হাসানকেই দেখি। আমাদের তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে শুধু সাকিবেরই বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সে তারকা ক্রিকেটার হিসেবে খেলেছে, গড়পড়তা ক্রিকেটার হিসেবেও খেলছে। সে-ই একমাত্র তারকা ক্রিকেটার, যাকে বেঞ্চেও থাকতে হয়েছে। এই অভিজ্ঞতার কারণে সে জানে, বিভিন্ন সময়ে খেলোয়াড়রা কিসের ভেতর দিয়ে যায়।

এআর

Wordbridge School
Link copied!