ঢাকা: ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে স্বাগতিক ডালাস তখন এগিয়ে ৪-২ গোলের ব্যবধানে। তখনই হয়ত লিগ কাপ থেকে ইন্টার মায়ামির বিদায় দেখে ফেলেছিল অনেকেই। যুক্তরাষ্ট্রে লিওনেল মেসির প্রথম হারের উত্তাপ টের পাচ্ছিলেন সবাই।
কিন্তু মাঠে যখন মেসি, তখন হাল ছাড়ার আর উপায় কি! মেসি লিখলেন আরও একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প। লিগস কাপের শেষ ষোলোয় ডালাস এফসির বিপক্ষে ইন্টার মায়ামিকে উদ্ধার করলেন মেসিই। ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে দারুণ এক ফ্রি কিকে দলকে নিয়ে গেলেন সমতায়।
যে সমতায় চড়ে ম্যাচ গেল টাইব্রেকারে। আর সেখানে ৫-৩ ব্যবধানে জিতে লিগস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ইন্টার মায়ামি।
ডালাসের টয়োটা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচটি ছিল ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মেসির প্রথম অ্যাওয়ে ম্যাচ। আগের ৩ ম্যাচে ৫ গোল করা আর্জেন্টাইন তারকা প্রতিপক্ষের মাঠে গোল পেয়েছেন শুরুতেই। ম্যাচের ৬ মিনিটেই বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে বল জালে জড়ান মেসি। মায়ামিতে এটিই তার দ্রুততম গোল। তবে শুরুর এই লিড ধরে রাখতে পারেনি মায়ামি।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে আট মিনিটের ব্যবধানে দুটি গোল দিয়ে ফেলে ডালাস। এর মধ্যে ৩৭ মিনিটে গোল করেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ফাকুন্দো কুইগনোন, ৪৫তম মিনিটে তানজানিয়ার বার্নার্ড কামুনগো।
প্রথমার্ধের শেষ দিকের এই ছন্দ দ্বিতীয়ার্ধেও ধরে রাখে ডালাস এফসি। এ সময়ে মায়ামি রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যায় দলটি। যে ধারায় ৬৩ মিনিটে ডালাস পেয়ে যায় তৃতীয় গোলও। ফ্রি কিক থেকে আসা বলে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান ২১ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন উইঙ্গার অ্যালান ভ্যালেসকো।
জর্দি আলবার গোলমুখে বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে ব্যবধান ৩-২ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি।
এর পাঁচ মিনিট পরই ম্যাচে আবার নাটকীয়তা। এবার নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন মায়ামির মিডফিল্ডার রবার্ট টেলর। তবে আত্মঘাতি থেকে পাওয়া গোলের সুবিধাটা বেশিক্ষণ রাখতে পারেনি ডালাস। ৮০ মিনিটে মায়ামিকে আত্মঘাতি গোল ‘উপহার’ দেন ডালাসের মার্কো ফারফান।
তবে এই গোলে ‘অ্যাসিস্টে’র দাবি করতেই পারেন মেসি। তার নেওয়া মাপা ফ্রি কিকেই হেডে বল জালে জড়ান ফারফান। ম্যাচের স্কোরলাইন পরিণত হয় ৪-৩ এ।
সমতা আনতে বাকি যে গোলটি দরকার ছিল, ৮৫ মিনিটে সেটিই এনে দেন মেসি। বক্সের সামান্য বাইরে পাওয়া ফ্রি কিক কাছের গোল পোস্ট দিয়ে জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। দেয়াল হয়ে দাড়ানো ডালাস খেলোয়াড়রা লাফিয়ে উঠলেও নাগাল পাননি, বল যায় তাদের মাথার ওপর দিয়ে, আবার বল আসছে বুঝে সঠিক দিকে ঝাঁপিয়ে নাগাল পাননি দলটির গোলরক্ষকও। দারুণ ফ্রি কিক গোলে মায়ামিকে ৪-৪ সমতায় নিয়ে আসেন মেসি।
শেষ পর্যন্ত ৪-৪ সমতায় থাকা ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকে। যেখানে ডালাসকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছে মেসির ইন্টার মায়ামি।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :