ঢাকা: আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লড়াই হলো দারুণ। সেভিয়া এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরল ম্যানচেস্টার সিটি। লড়াই গড়াল টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে উয়েফা সুপার কাপ জয়ের উল্লাসে মাতল পেপ গুয়ার্দিওলার দল।
প্রথমবার খেলতে এসেই নতুন ট্রফির স্বাদ পেয়ে গেল সিটি। ২০০৬ সালে একবারই জেতা সেভিয়া এ নিয়ে হারল টানা ৬ বার।
গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সের কারাইসকাকিস স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে ম্যাচ ১-১ সমতায় ছিল। প্রথমার্ধে সেভিয়াকে এগিয়ে দেন ইউসেফ এন নেসিরি। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান সিটির কোল পালমার। উয়েফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের পরিবর্তে এরপর সরাসরি খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে সিটি।
টাইব্রেকারে সিটির হয়ে জাল কাঁপান আর্লিং হলান্ড, হুলিয়ান আলভারেজ, মাতেও কোভাচিচ, জ্যাক গ্রিলিশ ও অধিনায়ক কাইল ওয়াকার। সেভিয়ার হয়ে প্রথম চারটি শটে সফল হন লুকাস ওকাম্পোস, রাফা মির, ইভান রাকিতিচ ও মন্তিয়েল। কিন্তু শেষ শট নেওয়া গুলেদি ব্যর্থ হন। উঁচুতে নেওয়া তার কিক বারে লেগে ফিরতেই উৎসবে মেতে ওঠে পেপ গার্দিওলার সিটি।
রোমাঞ্চকর এ জয়ে সিটিজেনদের কোচ হিসেবে শুধু সম্ভাব্য সব শিরোপাই জেতেননি গার্দিওলা; কার্লো আনচেলত্তির গড়া রেকর্ডেও ভাগ বসিয়েছেন। আনচেলত্তির পর দ্বিতীয় কোচ হিসেবে ৪ বার উয়েফা সুপার কাপ জিতলেন গার্দিওলা। তবে আরেকটি জায়গা অনন্য কীর্তি গড়লেন ৫২ বছর বয়সী এ স্প্যানিশ। প্রথম কোচ হিসেবে ৩টি ভিন্ন ক্লাবকে তিনি এই ট্রফির স্বাদ পাইয়ে দিলেন। সিটির আগে বায়ার্ন মিউনিখ (২০১৩) ও বার্সেলোনাকে (২০০৯ ও ২০১১) এই শিরোপা জিতিয়েছিলেন গার্দিওলা।
এআর