ঢাকা: কদিন আগেও ক্লাব ফুটবলে অপরিচিত ছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। দারুণ ছন্দে জিতল প্রথম লিগ শিরোপাও। আর সেটি আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির কল্যাণেই। যার ছোঁয়া পেয়ে বদলে গেছে মায়ামি সেই নায়কেই আরো এক ফাইনালে উঠল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটি।
৬ গোলের রোমাঞ্চকর সেমি-ফাইনালে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে এফসি সিনসিনাতিকে হারিয়ে দিল মায়ামি। মেসির সামনে তাই হাতছানি আরও একটি শিরোপার।
ইউএস ওপেন কাপের সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচটি শেষ হয় ৩-৩ সমতায়। টাইব্রেকারে মায়ামি জিতে যায় ৫-৪ গোলে।
২-২ গোলে মায়ামি সমতায় ফেরার পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৯৩ মিনিটে বেঞ্জামিন ক্রেমাশির পাস থেকে বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া শটে গোল করে মায়ামিকে ৩-২ গোলে এগিয়ে দেন হোসেফ মার্তিনেজ। কিন্তু নাটকীয় এই ম্যাচে শেষ অঙ্কের চিত্রনাট্য তখনও শেষ হয়নি।
অতিরিক্ত সময়ে পরের অর্ধে ১১৪ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে বল ‘ক্লিয়ার’ করতে পারেননি মায়ামির ডিফেন্ডার। সুবিধামতো জায়গায় বল পেয়ে ডান পায়ের বাঁকানো শটে গোল করে ম্যাচের স্কোর ৩-৩ করেন সিনসিনাটির জাপানি অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ইয়ুয়া কুবো।
লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার ১৮ মিনিটে করা গোলে প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল সিনসিনাটি। ৫৩ মিনিটে ব্রান্ডন ভাসকেজের গোলে সেটাই ২-০। মায়ামি এখান থেকে মেসির দুই ‘অ্যাসিস্ট’ এ ঘুরে দাঁড়ালেও রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে।
ঠিক আগের ম্যাচটাও টাইব্রেকারে জিতেছিল মেসির দল, ন্যাশভিলকে হারিয়ে হাতে তুলেছে লিগস কাপের ট্রফি। আর আজকের ম্যাচে ন্যাশভিলের চেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল সিনসিনাটি। মেজর লিগ সকারে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দল সিনসিনাটি আর মায়ামি সেখানে তলানির দল। কিন্তু তাতে কী! যে দলে মেসি খেলেন, সে দল তো যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই বিপজ্জনক।
জোড়া গোল করা কাম্পানার প্রথম গোলের উৎসও মেসি। মায়ামি তখন ২-০ গোলে পিছিয়ে। ৬৮ মিনিটে মাঠের একদম বাঁ প্রান্তে ফ্রি কিক পেয়েছিল মায়ামি। মেসির ফ্রি কিকটা বক্সে একদম জটলার মধ্যে ফেলেছিলেন। বল ভালো, কাম্পানার একদম মাথার ওপর! একটু লাফিয়ে হেডে গোল করেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড। মায়ামির হয়ে ৮ ম্যাচে ১০ গোলের পাশাপাশি ৩টি গোল করালেন মেসি। যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর আজই প্রথম গোল পাননি আর্জেন্টাইন তারকা।
টাইব্রেকারে সিনসিনাটির হয়ে প্রথম শটেই লক্ষ্যভেদ করেন কুবো। মায়ামির হয়ে প্রথম শটটি নেন মেসি। বাঁ পাশের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর সিনসিনাটির সান্তিয়াগো আরিয়াস ও মায়ামির ফাকুন্দো ফারিয়াস দুজনেই লক্ষ্যভেদ করেন।
বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে মায়ামিকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানের জয় এনে দেন। ১৮ বছর বয়সী এই ক্রেমাশির বাবা-মা আর্জেন্টাইন। জয়ের পর তাকে অভিনন্দন জানান মেসি।
ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল ২৭ সেপ্টেম্বর। বুধবার অন্য সেমিফাইনালে হিউস্টন ডায়নামো-রিয়াল সল্ট লেকের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে ইন্টার মায়ামি।
এআর