ঢাকা: পাকিস্তানি পেসারদের তোপের মুখে প্রথম পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সাকিব আল হাসান-মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা।
কিন্তু এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার ছাড়া আরও কেউই সুবিধা করতে পারেননি। ফলে দুইশর আগেই অলআউট বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৮ ওভার ৪ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।
রউফের জোড়া আঘাত
মুশফিকুর রহিম-কট বিহাইন্ড। তাসকিন আহমেদ-কট বিহাইন্ড। অফ স্টাম্পের বাইরে লেংথ ডেলিভারিতে পাঞ্চ করতে গিয়েছিলেন তাসকিন, রউফের মতো বোলারকে কোনো নয় নম্বর ব্যাটসম্যানের যেটি উচ্চাভিলাষী শটই বলতে হবে।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে শামিমের বিদায়
সাকিবের বিদায় পর বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছেন শামীম হোসেন। কিন্তু পারলেন না। আগের ওভারেই শাহিন আফ্রিদিকে ছক্কা মেরে পরের ওভারেই ইফতিখারকে একই ভঙ্গিতে ছক্কা মারতে গিয়ে উপরে তুলে দেন শামিম। ক্যাচ নেন ইমাম উল হক। ২৩ বলে ১৬ রান করেন বাহাতি এ্ই ব্যাটসম্যান।
জুটি গড়ে সাকিবের বিদায়
সালমান আগার পর ইফতিখার আহমেদ-বাবর আনলেন তাদেরকেও। কিন্তু ব্রেকথ্রু এনে দিলেন ফাহিম আশরাফ। সেই পুরোনো শর্ট বলের তত্ত্বে গেলেন ফাহিম, সে ফাঁদে পা দিলেন সাকিব। পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে ধরা পড়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সাকিব ও মুশফিকের জুটি ভেঙেছে ঠিক ১০০ রানেই। সাকিব ফিরেছেন ৭ চারে ৫৭ বলে ৫৩ রান করেন সাকিব।
বোল্ড তৌহিদ হৃদয়
গতি, গতি! ফুললেংথের সোজা লাইনের বল। কিন্তু গতিতে পরাস্ত তাওহিদ হৃদয়। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলটি ব্যাট ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করে গেছেন পুরোপুরি। স্টাম্পের বল আঘাতের সেই ভয়ঙ্কর শব্দ শুনতে হয়েছে এরপর। এটি রউফের দ্বিতীয় আঘাত।
উড়িয়ে মারতে গিয়ে নাঈমের বিদায়
লিটন ফেরার পর থেকেই খোলসে ঢুকে গিয়েছিলেন নাঈম। সর্বশেষ ৯ বলে করেছিলেন ৫ রান। দশম বলে আউট বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। নাসিমের জায়গায় আসা হারিস রউফের শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন। খাড়া ওপরে উঠেছে ক্যাচ। নিজেই সেটি নিয়েছেন রউফ। তৌহিদ ফিরেছেন ২ রান করে।
ফিরে গেলেন লিটনও
ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ক্ষেত্রে ভেতরের দিকে ঢোকা ডেলিভারি-আফ্রিদির সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরা হয়। তবে এখন পর্যন্ত তেমন কিছু করতে পারেননি। ভিন্ন পথ ধরলেন, লিটনও ধরা পড়লেন তাতেই।
অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব আ লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়েছেন লিটন। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে রিজওয়ানের কাছে। লিটন ও নাঈমের জুটি বাউন্ডারিতে সওয়ার হয়েছিল, লিটনের উইকেটে ছন্দপতন। ১৩ বলে ১৬ রান লিটনের।
মিরাজের বিদায়
দুই দিনের ব্যবধানেই মুদ্রার দুই পিঠ দেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পাকিস্তানের এমন পেস বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে মিরাজকে ওপেনিংয়ে পাঠানো বেশিই ঝুঁকি, সেটিই যেন প্রমাণ হলো। নাসিম শাহের শর্ট অব আ লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাক করে ফিরে গেছেন মিরাজ।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :