• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১
এশিয়া কাপ

ভারতকে হারিয়ে বীরের বেশে বিদায় নিল বাংলাদেশ


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ১১:৪৮ পিএম
ভারতকে হারিয়ে বীরের বেশে বিদায় নিল বাংলাদেশ

ঢাকা: শেষ ভালো যার সব ভালো তার। একথাটাই এখন বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনুপ্রেরণা। কারণ এশিয়া কাপের ফাইনালিস্টদের হারিয়ে বীরের বেশেই এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে সাকিবের দল।

তানজিভের দারুণ বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত ৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি দ্বিতীয় জয়। প্রথমটি এসেছিল ২০১২ সালে মিরপুরে। 

এশিয়া কাপে দেখা গেল আরেকটি রোমাঞ্চকর লড়াই, যেটি গড়াল শেষ ওভার পর্যন্ত। ২৬৬ রানের লক্ষ্যে শুরুতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত। তবে লম্বা একটা সময় তাদের লড়াইয়ে রেখেছিলেন শুবমান গিল। 

তার উইকেটের পর অবশ্য ব্যাকফুটে থাকা ভারতকে এগিয়ে নিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। শেষের আগের ওভারেও বাংলাদেশের কাছ থেকে ম্যাচ বের করে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছিলেন তিনি। 

ব্যাটিংয়ে বোলাররা যেমন আজ বাংলাদেশের হয়ে দারুণ করেছেন, বোলিংয়ে নিজেদের কাজটিও করেছেন দারুণভাবে। সাকিবও তার বোলারদের ব্যবহার করেছেন দারুণভাবে। 

তাসকিন, হাসান মাহমুদরা ছাড়াও বাংলাদেশের এ জয় আত্মবিশ্বাস জোগানোর কথা বোলারদের। আর বাজে একটি এশিয়া কাপের শেষে ভারতকে হারানো বাংলাদেশের জন্য হতে পারে সান্ত্বনার চেয়েও বেশি কিছু।

৪৯তম ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন ফিজ। আউট করেন ৩৪ বলে ৪২ করে বাংলাদেশের হাত থেকে ম্যাচ ছুটিয়ে নিতে চাওয়া অক্ষরকেও।

শেষ ওভারে জিততে ১২ দরকার ভারতের। অভিষিক্ত পেসার তানজিম তামিমের হাতে বল তুলে দেন সাকিব। তানজিদ প্রথম তিন বলে রান আটকে রাখেন। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন মোহাম্মদ শামি। 

পঞ্চম বল ফাইন লেগে ঠেলে দুই নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তানজিদ তামিমের দুর্দান্ত থ্রোতে উইকেট ভেঙে দেন লিটন দাস। বাংলাদেশ শিবিরে উচ্ছ্বাস।

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ভারতের সামনে বাংলাদেশ ছুড়ে দিয়েছিল ২৬৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য। মাঝারি পুঁজি নিয়ে দারুণ বোলিং করে টাইগাররা। একশর আগে (৯৪ রানে) ভারত হারায় ৪ উইকেট।

তানজিম সাকিবের আজই অভিষেক হয়েছে আন্তর্জাতিক আঙিনায়। নিজের দ্বিতীয় বলে উইকেট নিলেন রোহিত শর্মার মতো ব্যাটারের। এরপর তিলক ভার্মা পরাস্ত হলেন দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে। বল ছেড়ে দিয়ে বোল্ড হলেন তিলক। তানজিম সাকিবের জন্য এর চেয়ে সুন্দর শুরু আর কী হতে পারতো!

প্রথম ওভারের দ্বিতীয় রোহিত শর্মা (০) ড্রাইভ খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন কভার পয়েন্টে। এরপর তানজিম সাকিব নিজের পরের ওভারে বোল্ড করেন তিলককে (৫)। যে বলটি বেরিয়ে যাবে ভেবে ছেড়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটার, কিন্তু সাকিবের সুইংয়ে ভেঙে যায় স্টাম্প। ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বসে ভারত।

সেখান থেকে জুটি গড়েন লোকেশ রাহুল আর শুভমান গিল। গিল বেশ স্বচ্ছন্দ্যে ব্যাট করলেও রাহুলকে হাত খুলে খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। অবশেষে ধীরগতির রাহুলকে ফেরান শেখ মেহেদি। ৩৯ বলে ১৯ রান করে মিডউইকেটে শামীম হোসেন পাটোয়ারীর হাতে ধরা পড়েন রাহুল।

ইশান কিশানও বেশিদূর এগোতে পারেননি। ৫ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর থিতু হওয়ার চেষ্টা করা সূর্যকুমারকে (৩৪ বলে ২৬) বোল্ড করেন সাকিব। মোস্তাফিজ বোল্ড করেন জাদেজাকে (৭)।

কিন্তু শুভমান গিল একপ্রান্ত ধরে সেঞ্চুরি তুলে নেন। দলীয় ২০৯ রানের মাথায় ভারতের সপ্তম ব্যাটার হিসেবে তাকে আউট করেন শেখ মেহেদি। ১৩৩ বলে ১২১ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংসে ৮টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা হাঁকান ভারতীয় ওপেনার।

মোস্তাফিজ ৫০ রানে নেন ৩টি উইকেট। তানজিম সাকিব ৩২ রানে ২টি আর শেখ মেহেদি ৫০ রানে নেন ২টি উইকেট।

এআর
 

Wordbridge School
Link copied!