• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

ভারতকে ধরে ফেলার সুযোগ শ্রীলঙ্কার


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম
ভারতকে ধরে ফেলার সুযোগ শ্রীলঙ্কার

ঢাকা : এশিয়া কাপের সবচেয়ে নিয়মিত দৃশ্য হচ্ছে ফাইনালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা মুখোমুখি। ১৯৮৪-তে এশিয়া কাপের শুরু, সেবার আলাদা করে ফাইনাল হয়নি। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় আসরে শ্রীলঙ্কা স্বাগতিক, রাজনৈতিক কারণে ভারত যায়নি সিংহল দ্বীপে।

এরপর টানা চার আসরের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও শ্রীলঙ্কা। ঢাকা, কলকাতা, শারজাহ; ৭ বছরের ভেতর ৩ ফাইনালে ভারতের কাছে হারের বদলা শ্রীলঙ্কা নেয় ১৯৯৭ সালে।

আজকের ফাইনালের ভেন্যু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এরপর ফাইনালে ভারতকে পেলেই ট্রফি শ্রীলঙ্কার, এমন একটা অবস্থা। ২০১০ সালে ভারত আবার জিতল শ্রীলঙ্কাকে তাদের মাঠেই হারিয়ে। পক প্রণালীর দুই পাড়ের দুই দেশের সেবারই এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ দেখা।

এরপর ভারত দুই বার জিতেছে মহাদেশীয় শিরোপা, শ্রীলঙ্কাও জিতেছে দুইবার। মাঝের সময়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে ভারত আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ক্রিকেট ইতিহাসেই কোনো দুই দলের এত বার ফাইনালে দেখা হওয়াটা বিরল।

এশিয়া কাপের শিরোপা এখন পর্যন্ত ৭ বার ঘরে তুলছে ভারত। অন্যদিকে ৬ বার জিতেছে শ্রীলঙ্কা। আজ ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কা জিতলেই তারা ছুয়ে ফেলবে ভারতকে।

প্রেমাদাসায় ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে দুই দলই পেয়েছে দুঃসংবাদ। ভারতের স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেল স্টাম্পিং এড়াতে ডাইভ দিয়ে ক্রিজে পড়ার সময় কব্জিতে ব্যথা পেয়েছেন। তার হ্যামস্ট্রিংয়েরও সমস্যা রয়েছে। অক্ষর খেলতে না পারলে তার বিকল্প হিসেবে ওয়াশিংটন সুন্দরকে উড়িয়ে আনা হয়েছে কলম্বোতে।

শ্রীলঙ্কা দলের জন্য দুঃসংবাদ, তাদের ‘রহস্য বোলার’ মাহেশ থিকশানা হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে পারছেন না। তার বদলে দলে ডাকা হয়েছে সাহান আরচাচিগেকে। যদিও একাদশে খেলার সম্ভাবনা লেগস্পিনার দুষন হেমন্তর কারণ তার ব্যাটিংয়ের হাতটা ভালো।

ফাইনালে মাঠে নামার আগে বিরাট কোহলি, হার্দিক পান্ডিয়া, জাসপ্রিত বুমরাহদের বিশ্রাম দিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা খেলেছিল ভারত। সেই ম্যাচে ৬ রানের হার সাহস জোগাচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে।

অধিনায়ক দাসুন শানাকা জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশ দেখিয়েছে এই উইকেটে কী করা যায়। ব্যাটিং উইকেটে ভারতই ফেভারিট, তবে আমরাও সহজে ওদের জিততে দেব না’।

শানাকার দলের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে ঘরের মাঠে দর্শকদের অকুণ্ঠ সমর্থন। প্রেমাদাসার গ্যালারি জুড়ে শ্রীলঙ্কার সমর্থকদের উল্লাস আর সমর্থনই হতে পারে শানাকাদের সপ্তম এশিয়া কাপ জয়ের জ্বালানি, যে আসরে তাদের আবির্ভাব আন্ডারডগ হয়ে।

এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!