• ঢাকা
  • রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
এশিয়া কাপ

শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারত


ক্রীড়া ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারত

ঢাকা: ৫০ রানে অলআউট হওয়া শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেট হারিয়ে শিরোপা জিতল ভারত। এক প্রকার দ্বিতীয় সারির দল নিয়েই আসর শুরু করেছিল লঙ্কানরা। কিন্তু সময় যত গড়িয়েছে ততই অবাক করেছেন তারা। সেটা মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে। অথচ ফাইনালের বড় মঞ্চে এসে পুরো অচেনা দাসুন শানাকার দল। ঘরের মাঠে খেলতে নেমে মোহাম্মদ সিরাজের সুইং আর পেসে রীতিমতো ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি অবস্থা। ফলে কোনো রকম প্রতিদ্বন্দ্বীতা ছাড়াই শিরোপা জিতলো ভারত। 

কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করতে নেমে লঙ্কানরা খেলতে পেরেছে কেবল ৯২ বল। এই সময়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে তুলতে পেরেছে ৫০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৭ রান এসেছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাট থেকে। দলের ৯ ব্যাটারই এদিন দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি।

ভারতের হয়ে ২১ রানে ৬ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মোহাম্মদ সিরাজ। ৫১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। রান তাড়ায় ঈশান কিষাণ ১৮ বলে ২৩ আর শুবমন গিল করেন ১৯ বলে ২৭।

এ নিয়ে এশিয়ার মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে ১৬ আসরের অর্ধেকবারই ট্রফি হাতে তুলল ভারত। মাত্র ২১.৩ ওভার স্থায়ী ম্যাচটিতে শ্রীলঙ্কার অনুকূলে ছিল শুধু টস। যে টসে জিতলে রোহিত শর্মাও ব্যাটিং নিতেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে ব্যাটসম্যানরা যখন অসহায় হয়ে পড়েন, তখন আর আগে-পরে ব্যাটিংয়ে কী আসে-যায়!

শুরুটা করেন জশপ্রীত বুমরা। তৃতীয় বলেই কুশল পেরেরাকে উইকেটের পেছনে লোকেশ রাহুলের ক্যাচ বানান ডানহাতি এ পেসার। তখনো বোঝা যায়নি শ্রীলঙ্কার সামনে কী আসছে। আরেক প্রান্তে বোলিং করতে আসা সিরাজ নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট। শুরু হয় অনবদ্য এক বোলিং ধংসযজ্ঞের। ওই ওভারেরই তৃতীয় বলে সাদিরা সামারাবিক্রমা, চতুর্থ বলে চারিথ আসালঙ্কা আর ষষ্ঠ বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে তুলে নেন সিরাজ। পরের ওভারে এসে শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক শানাকাকে বোল্ড পূর্ণ করেন ব্যক্তিগত পাঁচ উইকেট, শ্রীলঙ্কা হারায় ১২ রানে ৬ উইকেট। 

এই বিপর্যয় থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। কুশাল মেন্ডিস ও দুশান হেমন্ত সপ্তম উইকেটে ২১ রান যোগ করলে ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে (৩৫, জিম্বাবুয়ে) অলআউটের শঙ্কা থেকে বাঁচে তারা। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে দুই ইনিংসও খেলেন এ দুজনই (মেন্ডিস ১৭, হেমন্ত ১৩)। মেন্ডিসকে বোল্ড করে এই জুটিও ভাঙেন সিরাজ। আর ২.২ ওভার বল করে শ্রীলঙ্কার শেষ ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া।

এআর

Wordbridge School
Link copied!