- ঢাকা
- রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১
ঢাকা: অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, অভাবনীয় কিংবা অননুমেয় বললেও এশিয়া কাপ ফাইনালকে বোধ হয় জুতসইভাবে বিশেষায়িত করা যাবে না।
একপেশে ফাইনাল হওয়ার উদাহরণ ভূরি ভূরি আছে। কিন্তু ভারতের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা আজ যা খেলল, ম্যাচ শুরুর মিনিট পাঁচেক আগেও কেউ কি ভেবেছিলেন? সেটাও লঙ্কানদের হাতের তালুর মতো চেনা মাঠ কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে!
অথচ এই এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান; কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেট দল পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় খেলাগুলো হয় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায়। পাকিস্তানে হয় মাত্র ৪টি ম্যাচ। বাকি ৯টি ম্যাচ হয় শ্রীলঙ্কায়। গত ৩০ আগস্ট লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-নেপাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে এশিয়া কাপের ১৬তম আসরের। রোববার ভারত-শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ফাইনালের মধ্য দিয়ে শেষ হয় টুর্নামেন্ট।
এবারের এশিয়া কাপে প্রথমবার খেলার সুযোগ পায় নেপাল। বাছাই পর্বে যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে তারা মূলপর্বে খেলার সুযোগ পায়। এবারের আসরে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও নেপাল এই ছয়টি দেশ অংশ নেয়।
শিরোপা জিতে ২ লাখ ডলার আর্থিক পুরস্কার পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশি টাকায় যা দুই কোটি ১৮ লাখ টাকা। এই টাকা দলের সব সদস্য এবং সাপোর্ট স্টাফদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করে দেওয়া হয়।
ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হওয়া শ্রীলঙ্কা পায় ১ লাখ ডলার। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান পেয়েছে ৫১ লাখ টাকা করে। পঞ্চম স্থানাধিকারী আফগানিস্তান পেয়েছে ১০ লাখ টাকা। তবে প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে এসে ষষ্ঠ দল হিসেবে শেষ করা নেপাল কোনো অর্থ পায়নি।
প্রতিটি ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার পায় ৪ লাখ টাকা করে। ফাইনাল ম্যাচে ৬ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা হয়ে ৪ লাখ টাকা পান মোহাম্মদ সিরাজ।
ফাইনালে সেরা ক্যাচের পুরস্কার হিসেবে আড়াই লাখ টাকা পেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা পেলেন কুলদীপ যাদব।
এআর
