ঢাকা : প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল থেকে মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পথটা শেন জার্গেনসনের কাছে হাতের তালুর মতোই চেনা। ২০১১ থেকে ২০১৪, বছর তিনেক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান। শুরুতে ছিলেন বোলিং কোচ, এরপর প্রধান কোচের দায়িত্বও পেয়েছিলেন। এবার বাংলাদেশে এসেছেন নিউজিল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব নিয়ে। অনেক চেনা মুখের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা জানিয়েছেন ভিডিওবার্তায়।
অন্যদিকে জার্গেনসনের সঙ্গীদের বেশিরভাগই যে বাংলাদেশের মানুষের কাছে অচেনা। কারণ বিশ্বকাপ দলে থাকা অনেককে বিশ্রামে রেখেই যে বাংলাদেশে এসেছে ব্ল্যাকক্যাপরা।
চ্যাড বোজ, ডেন ক্লিভার, ডিন ফক্সক্রফট, কোল ম্যাককোনচি...এই নামগুলো বাংলাদেশের ক্রিকেট দর্শকদের কাছে অচেনাই ঠেকবে। প্রথম দুজন অল্পবিস্তর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। ফক্সক্রফট অভিষেকের অপেক্ষায়। নিউজিল্যান্ড দলে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় নতুন মুখই বেশি। পেসারদের তালিকায় অবশ্য চেনা মুখেরা আছেন। ট্রেন্ট বোল্ট, লকি ফার্গুসন, কাইল জেমিসন, অ্যাডাম মিলনেরা আছেন। স্পিন বোলিং বিভাগটাও সমৃদ্ধ। রাচিন রবীন্দ্র, ঈশ সোধি দুজনই আছেন। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ ২-২ ব্যবধানে ড্র করে এসেছে কিউইরা। যদিও সেই দলে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন।
ঢাকায় নেমে চেনা মুখদের অনেক দিন পর দেখে খুশি হয়েছেন জার্গেনসন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটকে দেওয়া ভিডিওবার্তায় বলেছেন, ‘অনেক দিন পর আসা হলো। চেনা মুখগুলো দেখে ভালো লাগছে। যারা বাংলাদেশ দলে কাজ করার সময় আমাদের সাহায্য করত, কিছু চেনা সাংবাদিকের মুখ, এখানে মানুষের সমর্থন...সবকিছু দেখেই খুব ভালো লাগছে। বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট খুব পছন্দ করে। আমরা কয়েকটা ম্যাচ খুব কাছাকাছি গিয়ে হেরেছিলাম আগেরবার, সেটা ভেবে যেমন একটু দুশ্চিন্তা আবার ফিরে এসে ভালো লাগছে।’
ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ড, যেখান থেকেই খেলোয়াড়রা এসেছেন, তার চেয়ে ঢাকার আবহাওয়া এখন অনেক বেশি উত্তপ্ত। জার্গেনসন সেটাই বললেন যে গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই হবে প্রথম কাজ, ‘গরম আর আর্দ্রতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই হবে প্রথম কাজ। আমরা যেখান থেকে এসেছি তার সঙ্গে এখানকার পরিবেশের অনেক তফাত। উইকেটে স্বাভাবিকভাবেই স্পিন ধরবে। সেই সঙ্গে আমাদের ব্যাটসম্যানদের সামনেও একটা সুযোগ নিজেদের প্রমাণ করার।’
২০১৩ সালের বাংলাদেশ সফরে এসে অভিষেক হয়েছিল কিউই স্পিনার ইশ সোধির। অনেক দিন পর এলেন বাংলাদেশে। জানালেন অভিজ্ঞতাটা, ‘এখানে অনেক দিন পরে এলাম। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে এখানে এসেছিলাম, এখন বেশ খানিকটা অভিজ্ঞ হয়েছি। এখানে স্পিনারদের ভালো সুযোগ থাকবে। এত বছরে আমার রানআপে একটু পরিবর্তন এসেছে। আগেরবার যখন এসেছিলাম, তখন একটু হেঁটে এসে বল করতাম আর এখন একটু দৌড়ের ওপর বল করি। রাচিন মাত্র এল, উইলের সঙ্গে আলাপ করলাম কীভাবে এখানে বল করা যায়। আমরা আশা করছি, বল হাতে সফল একটা সিরিজ পার করতে পারব আর এখানকার অভিজ্ঞতা সামনের দিনে কাজে লাগাব।’
আজ আর কাল, দুদিনই সময় পাচ্ছে কিউইরা অনুশীলন করার। কারণ পরদিন তো সিরিজই শুরু হয়ে যাচ্ছে।
এমটিআই