ঢাকা: ম্যাচের সময় প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের ক্ষ্যাপাতে রাগী উদযাপন নিয়মিত ঘটনা বানিয়ে ফেলেছিলেন কোহলি। অনেকে তার এমন উদযাপনের সমালোচনা করলেও কেউ কেউ আবার তার এমন উদযাপন ম্যাচের উত্তেজনা বাড়ানোর উপলক্ষ হিসেবে দেখতেন।
কিন্তু সেটি এখন আর দেখা যায়না। হঠাৎ কোথায় হারিয়ে গেল কোহলির এমন উদযাপন। একটা প্রচলিত কথা হলো, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আরও শান্ত হয়। কোহলির ক্ষেত্রেও বয়সের প্রভাব হয়তো পড়েছে, তবে রূপান্তরের কাজটা তো নিজেকেই করতে হয়েছে!
আইসিসির সঙ্গে আলাপচারিতায় সে কথাই বলেছেন কোহলি, ‘গত আড়াই বছরে আমি অনেক কিছু শিখেছি। সেই রাগী উদ্যাপনগুলো এখন অতীত। অনেকের কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পেয়েছি। লোকে বলেছে, আমি যা করছি সেটা ভুল।’
কোহলি জানিয়েছেন, তার এই পাল্টে যাওয়াটা মনস্তাত্ত্বিক, ‘নিজের সেরা সময়ের সব ভিডিও আমি দেখেছি। বলের জন্য সেই একই প্রাথমিক নড়াচড়া, একই অ্যাপ্রোচ এবং যা কিছু আমার মাথার মধ্যে ঘটেছে চলেছে (বোঝার চেষ্টা করেছি)। আমি এটা কাউকে বুঝিয়ে বলতে পারিনি।’
গত বছর সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করে তিন সংস্করণ মিলিয়ে দীর্ঘদিনের সেঞ্চুরি খরা ঘোচান কোহলি। এরপর ওয়ানডে ও টেস্টেও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আর তিনটি সেঞ্চুরি করলেই ওয়ানডেতে শচীন টেন্ডুলকারের (৪৯) রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন কোহলি।
সামনে যেহেতু ওয়ানডে বিশ্বকাপ তাই এই টুর্নামেন্টকেই পাখির চোখ করার কথা ভারতীয় তারকা। বদলে যাওয়া কোহলি টেন্ডুলকারের রেকর্ড এই বিশ্বকাপেই ভেঙে ফেলেন কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এআর