ঢাকা: ২০০৭ থেকে শুরু করে ২০২৩ পর্যন্ত পাঁচটি বিশ্বকাপ। এক দিন বাদেই ভারতে ২০২৩ আইসিসি ওয়ানডে ওয়ার্ল্ড কাপের পর্দা উঠবে। পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামা দুজনের একজন সাকিব আল হাসান, তার নেতৃত্বেই লড়বে বাংলাদেশ।
অন্যজন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম, বিশ্বকাপে বড় কিছুর স্বপ্নে এ দুজন এখনো ষোলো কোটি বাঙালির আশা-ভরসার অনন্য নাম। চোট না থাকলে তামিম ইকবালও থাকতে পারতেন সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গে।
বাশার-নাফিস দিয়ে লেখা শুরুর অন্যতম কারণ সাকিব-মুশফিক ছাড়া সাতে খেলা সেই বিশ্বকাপের তিনজন মাত্র ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িত আছেন। মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে বাকি দুই নাম হলো মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফরহাদ রেজা। তিনজনই ঘরোয়া ক্রিকেট কিংবা ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেট লিগ খেলে বেড়ান। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে।
বাকিদের মধ্যে বাশারের সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলে আছেন আব্দুর রাজ্জাক, কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত আফতাব আহমেদ-রাজিন সালেহ, বাকিদের মধ্যে কেউ ব্যবসা করছেন, কেউ বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন।
সেই বিশ্বকাপে সাকিব-মুশফিকদের সমবয়সী ছিলেন, নাফিস, আফতাব, ফরহাদ, শাহাদাত হোসেন রাজিব ও সৈয়দ রাসেল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে নিজেদের বদলে মেলে ধরতে না পারায় তারা হারিয়ে যান অকালেই। সেই জায়গায় সাকিব-মুশফিকরা দুরন্ত, দুর্দান্ত।
দুজনের বয়সই ছত্রিশের ঘরে। তারুণ্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের ফিট রেখে এখনো ২২ গজ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দর্পের সঙ্গে। আগের বিশ্বকাপে সাকিবতো রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন, গড়েছিলেন রেকর্ডও।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ২৯ ম্যাচে ৪৫.৮৪ গড়ে সাকিব ১১৪৬ রান করেন। সেঞ্চুরি ২টি ও হাঁফ সেঞ্চুরি ১০টি। সমান ম্যাচে ওভার প্রতি ৫.১১ রান দিয়ে সাকিব উইকেট নিইয়েছেন ৩৪টি।
অন্যদিকে মুশফিক ২৯ ম্যাচে ৩৮.১৩ গড়ে ৮৭৭ রান করেন। সেঞ্চুরি ১টি ও হাফসেঞ্চুরি ৬টি। অভিজ্ঞ মুশফিকের এবার নিজেকে ছড়িয়ে যাওয়ার পালা।
শুধু দেশি ক্রিকেটাররা নয়, সাকিব-মুশফিকদের সঙ্গে ২০০৭ বিশ্বকাপ খেলা সব ক্রিকেটারই এখন বাইশ গজের বাইরে। সেখানে সাকিব-মুশফিকের সামনে সুযোগ পঞ্চম বিশ্বকাপে বিশ্বকে মুগ্ধ করার।
মুশফিক তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের কাভারে একটি ছবি দিয়েছেন, সেখানে এবারেরসহ গত চার আসরের ছবি জুড়ে দিয়েছেন, সঙ্গে লিখেছেন, ‘দ্য আল্টিমেট জার্নি।’
এই জার্নি শুধু মুশফিকের নয়, বাংলাদেশেরও। আর সাকিব-মুশফিককে নিয়ে এই জার্নি শেষ হবে ভারত বিশ্বকাপেই।
এআর