ঢাকা: লক্ষ্য ৩৪৫, জিততে হলে বিশ্বকাপের রেকর্ড গড়তে হবে পাকিস্তানকে। অথচ শুরুতেই ফিরে গেলেন ইমাম আর বাবর। এরপর যে কারওই মনে হতে পারে, ইমাম-বাবর যা যখন পারলেন না, বিশাল এই রান তাড়ায় কি থই পাবেন শফিকের মতো অনভিজ্ঞ কেউ!
শেষ পর্যন্ত সেই শফিকই চমক দেখালেন। অভিজ্ঞ মোহাম্মদ রিজওয়ানের সংগত পেয়ে তিনি শ্রীলঙ্কার বোলারদের জন্য হয়ে উঠলেন ভয়ংকর। ১০ চার ও ৩ ছয়ে ১০৩ বলে ১১৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেললেন। রিজওয়ানের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ১৫৬ বলে গড়লেন ১৭৬ রানের জুটি, যে জুটিতে তার অবদান ৮৬ বলে ৯৯ রান।
মূলত এই জুটিতে ভর করেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করল পাকিস্তান। শফিক আউট হয়ে গেলেও রিজওয়ান মাঠ ছেড়েছেন পাকিস্তানকে ম্যাচ জিতিয়ে। ৮ চার ও ৩ ছয়ে ১২১ বলে অপরাজিত ১৩১ রান করেছেন রিজওয়ান।
হায়দরাবাদে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এবারের বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল বাবরের দল। এই জয়ে বিশ্বকাপে সফল রান তাড়ার রেকর্ডও গড়ল পাকিস্তান। এর আগে বিশ্বকাপে সফল রান তাড়ার রেকর্ডটি ছিল আয়ারল্যান্ডের। ২০১১ বিশ্বকাপে চেন্নাইয়ের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২৮ রান তাড়া করে আইরিশরা জিতেছিল ৩ উইকেটে। আর বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এত রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড এই প্রথম।
এর আগে পাকিস্তানের বোলারদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন মেন্ডিস, সেঞ্চুরি পেয়েছেন সামারাবিক্রমাও। জোড়া সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান তুলে শ্রীলঙ্কা।
এআর