ঢাকা: বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। লেগ স্পিন অলরাউন্ডার শাদাব খানকে বিশ্রাম দিয়ে ওসামা মীরকে একাদশে নেন তারা।
তিনিই শুরুতে ওয়ার্নারের দেওয়া সহজ ক্যাচ ফেলেন। ওই ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত ১২৪ বলে ১৬৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছেন। ১৪টি চার ও নয়টি ছক্কা মেরেছেন।
শেষটায় টেনে ধরেছিলেন পাকিস্তানের বোলাররা। ডেভিড ওয়ার্নার ও মিশেল মার্শ যেভাবে শুরু করেছিলেন বিশ্বকাপের রেকর্ড রান সময়ের ব্যাপার মনে হচ্ছিল।
সুযোগ নিয়ে ওয়ার্নার দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন। মিশেল মার্শও শতক ছুঁয়েছেন। তাদের দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ৯ উইকেটে ৩৬৭ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
তার সঙ্গে জুটি গড়ে ওপেনার মিশেল মার্শ ১০৮ বলে ১২১ রান করেন। ডানহাতি এই ব্যাটার দশটি চারের সঙ্গে নয়টি ছক্কার শট তোলেন। তারা দলকে ২৫৯ রানের জুটি দেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যা ওপেনিংয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। এছাড়া বিশ্বকাপে চতুর্থবারের মতো দুই ওপেনার সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন। তাদের ৩৩.৫ ওভারে দুর্দান্ত ওই জুটির সুবিধা ঠিকঠাক নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
পরের ব্যাটররা নিয়মিত আউট হন। মার্শের পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। চারে ব্যাট করতে নেমে স্টিভ স্মিথ ৭ রান করে আউট হন। পরে মার্কোস স্টইনিস ২১ ও জস ইংগলিশ ১৩ রান করেন। মার্নাস লাবুশানে (৮), মিশেল স্টার্করা (২) বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান।
শুরুতে সুবিধা করতে না পারা শাহিন শাহ আফ্রিদি শেষ দিকে জ্বলে উঠে ১০ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। হাসান আলী ৮ ওভারে ৫৭ ও ইফতিখার ৮ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য থাকেন।
হ্যারিস রউফ শুরুতে ৪ ওভারে ৫৯ রান দেন। পরে ৮ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। লেগ স্পিনার উসামা ৯ ওভারে ৮২ রান হজম করে ১ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মোহাম্মদ নাওয়াজ ৭ ওভারে ৪৩ রান দিয়েছেন।
এআর