ঢাকা: শেষ দিকে সেভাবে রান তুলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। শামির ৫ উইকেটের পরও মিচেলের সেঞ্চুরিতে কিউইরা যে রান তুলেছে তাতে চ্যালেঞ্জিং স্কোরই গড়েছে কিউইরা।
৪০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ছিল ৪ উইকেটে ২১৯। তবে স্লগ ওভারে মোহাম্মদ শামির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়লো কিউইরা। পুরো ৫০ ওভার খেললেও নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে গেছে ২৭৩ রানে। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২৭৪।
৬টি উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৫৪ রান তুলতে পেরেছে কিউইরা। তবু শেষদিকে ড্যারেল মিচেল কিছুটা রান বাড়িয়েছেন, বাকিরা কিছুই করতে পারেননি।
দুই দলই নিজেদের প্রথম চার ম্যাচে জিতেছে। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। ভারত আর নিউজিল্যান্ডের লড়াইটি তাই এখন দাঁড়িয়েছে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার।
ধর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে টস জিতেছে ভারত। প্রথমে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে শুরুতেই কিউইদের চেপে ধরেন ভারতীয় বোলাররা। ১৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট তুলে নেয় তারা।
মোহাম্মদ সিরাজের বলে ডেভন কনওয়ে শূন্য রানেই ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ২৭ বলে ১৭ করা উইল ইয়ংককে বোল্ড করেন মোহাম্মদ শামি। তবে শুরুর সেই বিপদ দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেন রাচিন রাবিন্দ্র আর ড্যারেল মিচেল। ১৫২ বলে ১৫৯ রানের মারকুটে জুটি গড়েন তারা। অবশেষে ৩৪তম ওভারে এই জুটি ভেঙে স্বাগতিক শিবিরে স্বস্তি ফেরালেন মোহাম্মদ শামি।
শামির অফকাটারের লোভে পড়ে লংঅনে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েছিলেন রাবিন্দ্র। শুভমান গিল নেন সহজ ক্যাচ। ৮৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ৭৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাবিন্দ্র। এরপর টম লাথাম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। কিউই অধিনায়ককে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন কুলদ্বীপ যাদব। ৭ বলে ৫ করেন লাথাম।
তবে দেখেশুনে খেলে ১০০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন ড্যারেল মিচেল। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি ইনিংস।
এআর