ঢাকা: চলতি বিশ্বকাপে সব মিলিয়ে খুব একটা স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ। চোটের থাবা পড়েছে দলের ভেতরে। ভারতের সঙ্গে হাইভোল্টেজ ম্যাচে খেলতে পারেননি দলের দুই সেরা অস্ত্র সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষেও তাদের খেলা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
যদিও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভাষ্য, সাকিব আগের থেকে ভালো, তাসকিনের ম্যাচ খেলতে সমস্যা নেই। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের যে অবস্থা, তাতে নিশ্চিত করে কিছুই বলার উপায় নেই। ক্রিকেটারদের দৃষ্টি আকর্ষণে ব্যর্থ হচ্ছেন সাংবাদিকরা।
পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেও অন্য দিকে তাকিয়ে থাকেন খালেদ মাহমুদ সুজন। এটা নাকি চলতি বিশ্বকাপের ‘টিম রুলস’। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সাকিব-তাসকিন খেলবেন কি না, তা নিয়েও মুখে কুলুপ এঁটেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ-পায়ের উরুর চোটে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাকিব। এরপর থেকে টাইগার ভক্তদের প্রশ্ন একটাই- সাকিবের ইনজুরি কতটা গুরুতর। ঘটনার সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে এখনও টু শব্দটি পর্যন্ত করছেন না বোর্ড কর্তা, টিম ম্যানেজমেন্ট বা কোচদের কেউই।
বিষয়টি নিয়ে টিম ম্যানেজার রাবীদ ইমামও ধোঁয়াশা রেখেছেন। তবে ঢাকা থেকে পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের মন্তব্য, সাকিবের বদলি পাঠাবে না বিসিবি। সেক্ষেত্রে টিম ডিরেক্টর সুজনের বক্তব্য অনুসারে বলা যায়, খেলতে পারেন সাকিব।
দেশের এক গণমাধ্যমকে সুজন জানিয়েছেন, সাকিব আগের ম্যাচেও খেলতে চেয়েছিল। মাঠে প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল সে। আশা করি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবে। ও তো খেলতেই চায়, আমরা খেলতে দিই না। কারণ, বড় কিছু হয়ে গেলে বাকি ম্যাচগুলোতে পাওয়া যাবে না।
এদিকে রোববার দুপুরে অনুশীলন সেরেছেন সাকিব। এ সময়ে হালকা রানিং ও নেটসেশন করেছেন তিনি। জানা গেছে, সোমবার (২৩ অক্টোবর) বোলিং এবং জোরে রানিং করবেন তিনি।
অন্যদিকে দলীয় অনুশীলনে নেটে একটিও বল করেননি তাসকিন। ফিজিও বায়েজিদুল ইসলামের নির্দেশনায় শুধু ছায়া বোলিং করেছেন এ পেসার।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চোটে পড়েন পেসার তাসকিন আহমেদ। যদিও এটি আগেরই চোট, তবে সেই ম্যাচে বেড়েছে তাসকিনের ব্যথা। যে কারণে নিজের খেলা তিন ম্যাচের কোনোটিতেই নির্ধারিত কোটা পূরণ করা হয়নি এ পেসারের।
তাসকিন ও সাকিবের খেলার সম্ভাবনার বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, আজ দুইজনের বোলিং দেখার পর সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
এআর