ঢাকা: চলতি বছর যে ২৩টি দল ওয়ানডে খেলেছে, শুধু পাকিস্তানেরই প্রথম পাওয়ার প্লেতে ছিল না কোনো ছক্কা। অদ্ভুত এ রেকর্ড নিয়ে সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছিল আলোচনা।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল পাকিস্তানের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমাম-উল-হককে। মজা করে তিনি বলেছিলেন, হয়তো শর্করার চেয়ে আমিষ বেশি খেলে ছক্কা মারতে পারবেন তারা। অবশ্য এ ব্যাপারটি তাদের তেমন ভাবাচ্ছে না, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
তবে তাতে অবশ্য আলোচনা সেভাবে থামেনি। শফিকের মারা ওই ছক্কার পর আবার সামনে এসেছে সেটি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ১১৬৯টি বল খেলার পর এ বছর ছক্কার দেখা পেল পাকিস্তান। সব মিলিয়ে ছক্কার এ খরা ১৩৬২ বলের।
সর্বশেষ গত বছরের জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মুলতানে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ছক্কার দেখা পেয়েছিল পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে কিমো পলের শর্ট বলে স্কয়ার লেগ দিয়েই সে ছক্কাটি মেরেছিলেন ইমাম।
পাকিস্তান অবশ্য আজ প্রথম পাওয়ার প্লেতে পেয়েছে দুটি ছক্কার দেখা। নাভিনের পর মুজিব উর রেহমানকে পরের ছক্কাটিও মারেন শফিক। ইনিংসের অষ্টম ওভারে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মিড অফের ওপর দিয়ে সেটি মারেন তিনি।
এবার বিশ্বকাপেরই সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড গড়লেও পাকিস্তান ব্যাটিং করেছে একই ধাঁচে। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেয়ে উইকেট ধরে রাখার দিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। ফলে ছক্কা মারার দিকেও তেমন মনোযোগ ছিল না তাদের।
এ ম্যাচের আগে পাকিস্তানের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান মিলে ৪ ম্যাচে খেলা মোট ১২ ইনিংসে মেরেছিলেন মাত্র ৫টি ছক্কা। এ তালিকায় পাকিস্তানের নিচে ছিল শুধু নেদারল্যান্ডসের টপ অর্ডার। শুধু টপ অর্ডার নয়, দল হিসেবেই ছক্কা মারার দিক দিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে পিছিয়ে ছিল পাকিস্তান। এ ম্যাচের আগে এবারের আসরে সবচেয়ে কম ১৫টি ছক্কা ছিল তাদের।
এআর