• ঢাকা
  • সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
পাকিস্তানকে ওয়াসিম

প্রতিদিন আটকেজি করে খাসির মাংস খেলে এমন তো হবেই


ক্রীড়া ডেস্ক অক্টোবর ২৪, ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম
প্রতিদিন আটকেজি করে খাসির মাংস খেলে এমন তো হবেই

ঢাকা: বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। এর উপর আফগানিস্তানের কাছে হারায় পাকিস্তানকে শূলে ছড়াচ্ছেন অনেকে। সব খেলায় হারজিত থাকবে। সেটা ঠিক আছে কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো বটেই পুরো টুর্নামেন্টে জুড়ে পাকিস্তান যেভাবে ফিল্ডিং করেছে তা অনেকটা হাস্যরসের জম্ম দিয়েছে। পাড়ার ক্রিকেটের ফিল্ডিংকেও হার মানিয়েছে বাবর আজমের দল।

আফগানিস্তানের ইনিংসের ১৬তম ওভারে লং অনে তুলে মেরেছিলেন গুরবাজ। কিন্তু শাহিন আফ্রিদি তা ঠেকাতে পারেননি। স্কুল ক্রিকেটে যেমনটা ঘটে অনেকটা তেমন ভুল করে বসেন আফ্রিদি। তার এমন কাণ্ড দেখে উইকেটরক্ষক রিজওয়ান মুখ ঢেকে ফেলেন। অধিনায়ক বাবর আজমও বাজে ফিল্ডিং করেছেন। আগের ম্যাচে ক্যাচও ফেলেছিলেন বাবর।

দলের এমন ফিল্ডিং দেখে চুপ থাকতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের স্পোর্টস চ্যানেল 'এ স্পোর্টস' এ দ্য প্যাভিলিয়ন এ বিশেষজ্ঞ মত দিচ্ছেন আকরাম। সেখানেই নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সাবেক এ অধিনায়ক। তিনি খেলোয়াড়দের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। 

বলেছেন, 'খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও ফিল্ডিং দেখুন। আমরা তিন সপ্তাহ ধরে বলছি এই খেলোয়াড়রা দুই বছরের মধ্যে কোনো ফিটনেস পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায়নি। এখন আমি নাম ধরে বলতে পারি, তবে তারা অসন্তুষ্ট হবে। দেখে তো মনে হয় তারা প্রতিদিন আট কেজি করে খাসির মাংস খায়। তাহলে কি ফিটনেস পরীক্ষাটা হওয়া উচিত নয়?'

আফগানিস্তানের বিপক্ষে গতকাল খেলায়াড়দের বাজে ফিল্ডিং দেখে মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি টিম ডিরেক্টর মিকি আর্থার। এক পর্যায়ে ড্রেসিংরুমে ঢুকে যান তিনি।

ওয়াসিম আকরাম খেলোয়াড়দের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। বলেন, 'পেশাদার দৃষ্টিকোণ থেকে দেশের হয়ে খেলার জন্য তোমরা অর্থ পাচ্ছ। সে কারণে কিছু মাণদণ্ড থাকতেই হবে। মিসবাহ যখন কোচ ছিল তখন এটা ছিল। খেলোয়াড়রা তাকে পছন্দ করতো না, কিন্তু কাজটা হয়েছে। ফিল্ডিং তো ফিটনেসের ওপর নির্ভর করে আর আমরা এখানে পিছিয়ে রয়েছি। আমরা এখন সেই আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছি। যেখানে বসে যদি ও কিন্তুর প্রার্থনা করতে হয়।

দলের এ অবস্থার জন্য ওয়াসিম আকরাম ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিও আঙ্গুল তুলেছেন। বলেন, ওয়াসিম খান ও এহসান মানি কষ্ট করে একটা হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে একটা প্রক্রিয়া দাঁড় করিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমান কর্মকর্তারা তা নষ্ট করে ফেলেছে। সেখানে গত আট মাসে কোনো ক্যাম্প হয়নি।

এআর

Wordbridge School
Link copied!